শ্রীমঙ্গল এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার
- আপডেট সময় ০১:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেল লাইনের পাশ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার রেল লাইনের পাশ থেকে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাহাদ রহমান (১৮)। সে উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা। শ্রীমঙ্গল সাব-রেজিষ্টার অফিসের মোহরী হাজী ফজলুর রহমান ফজলুর বড় ছেলে। ফাহাদ চলতি বছরে শহরের শাহ মোস্তফা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আজ ছিল তার প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাতের খাবার খেয়ে ফাহাদ তার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরের কোন এক সময় পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়।
সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের কি.মি ২৮৭/৭ সেকশনের রেল লাইনের পাশে মুমুর্ষু অবস্থায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ৯৯৯-এ কল করেন। পরে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত ফাহাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু তাহের জানান, এলাকার জনি আলম নামের এক ব্যক্তি ঘটনার খবর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে জানানো হয়। খবর পাবার সাথে-সাথেই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ফাহাদকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাফিউল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং এলাকাবাসীর বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি দুর্ঘটনা। তবে আরো অধিক নিশ্চিত হবার জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে কৃতি শিক্ষার্থী ফাহাদ রহমানের মৃত্যুর খবরে পুরো শ্রীমঙ্গলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুর খবর শহরে প্রচারিত হবার পরপরই হাজার-হাজার মানুষ হাসপাতালে ভিড় করেন। এ সময় তার পরিবারের আহাজারিতে হাসপাতাল এলাকার পরিবেশ ভাড়ি হয়ে ওঠে।