ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত রাজনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিদর্শনে এম নাসের রহমান নবগঠিত রেড ক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের পরিচিতি সভা সাবেক জেলা আমিরেে কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন আমীরে জামায়াত কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির পথচলা উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক কমিটি গঠন আবারও শ্রীমঙ্গল সীমান্ত এলাকায় পুশ-ইন জামেয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় সিরাজুল ইসলাম মতলিবের স্মরণে আলোচনা সভা নবনির্বাচিত উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করাল জেলা বিএনপি হবিগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন আটক

সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আশ্বাস দেন  সব ধরনের সহায়তার।
রবিবার ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্দী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্দী জহুরার জীবন  জীবিকা ও তাঁর বাস্তব চিত্র।
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে,র। রবিবার দুপুরে তিনি জহুরাকে দেখতে ছুটে যান কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর দাসপাড়ার সড়কের পাশে বসবাস করা ঝুপড়িতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।
নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, দুই জন গণমাধ্যম কর্মী সহ জহুরার দেখা- শোনা করা রুমা খাতুনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য,প্রতিবন্ধী জহুরা খাতুন (৫৮)। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা বৃত্তি করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে  মেয়েটিকে বড় করেন। এরপর বিয়ে দেন তাকে। গেল ২ বছর আগে সেও মারা যায়। হারিয়ে ফেলে জহুরা শারিরীক শক্তি ও মনোবল। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।
ভিক্ষা বৃত্তি ও করতে পারেন না। এ সময় সলেমানপুর দাসপাড়ার ৪ জন নারী পাশে দাড়ান জহুরার। যার মধ্যে রয়েছে রুমা বেগম,রাহেলা বেগম,সাজেদা বেগম ও পারভিনা বেগম। তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টিন আর বেড়া চেয়ে এনে পরের জায়গায় রাস্তার পাশে থাকার ঝুপড়ি ঘরটি বানিয়ে দেন।
যার মধ্যে বসবাস করেন জহুরা। খাবার আর ওষুধের ব্যবস্থাও করেন তারা। কয়েক দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে পানিতে ডোবার উপক্রম হয়েছে জহুরার ঝুপড়ি।
বিষয়টি নিয়ে ১৬ তারিখের বেশ কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে প্রকাশিত হয় সংবাদটি। এরপর রবিবার তাকে দেখতে যান নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে । আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। তিনি বলেন, জহুরা ও তাঁর ঘরটি আমরা স্বজমিনে  দেখে গেলাম। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওনার জন্য কি করা যায়। ওই সময় তিনি প্রতিবন্দী জহুরার ঝুপড়িতে আলোর ব্যবস্থাও করতে বলেন সংশ্লিষ্টদের।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৫:৪০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আশ্বাস দেন  সব ধরনের সহায়তার।
রবিবার ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্দী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্দী জহুরার জীবন  জীবিকা ও তাঁর বাস্তব চিত্র।
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে,র। রবিবার দুপুরে তিনি জহুরাকে দেখতে ছুটে যান কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর দাসপাড়ার সড়কের পাশে বসবাস করা ঝুপড়িতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।
নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, দুই জন গণমাধ্যম কর্মী সহ জহুরার দেখা- শোনা করা রুমা খাতুনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য,প্রতিবন্ধী জহুরা খাতুন (৫৮)। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা বৃত্তি করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে  মেয়েটিকে বড় করেন। এরপর বিয়ে দেন তাকে। গেল ২ বছর আগে সেও মারা যায়। হারিয়ে ফেলে জহুরা শারিরীক শক্তি ও মনোবল। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।
ভিক্ষা বৃত্তি ও করতে পারেন না। এ সময় সলেমানপুর দাসপাড়ার ৪ জন নারী পাশে দাড়ান জহুরার। যার মধ্যে রয়েছে রুমা বেগম,রাহেলা বেগম,সাজেদা বেগম ও পারভিনা বেগম। তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টিন আর বেড়া চেয়ে এনে পরের জায়গায় রাস্তার পাশে থাকার ঝুপড়ি ঘরটি বানিয়ে দেন।
যার মধ্যে বসবাস করেন জহুরা। খাবার আর ওষুধের ব্যবস্থাও করেন তারা। কয়েক দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে পানিতে ডোবার উপক্রম হয়েছে জহুরার ঝুপড়ি।
বিষয়টি নিয়ে ১৬ তারিখের বেশ কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে প্রকাশিত হয় সংবাদটি। এরপর রবিবার তাকে দেখতে যান নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে । আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। তিনি বলেন, জহুরা ও তাঁর ঘরটি আমরা স্বজমিনে  দেখে গেলাম। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওনার জন্য কি করা যায়। ওই সময় তিনি প্রতিবন্দী জহুরার ঝুপড়িতে আলোর ব্যবস্থাও করতে বলেন সংশ্লিষ্টদের।