সদ্য কারামুক্ত বিএনপির নেতৃবৃন্দর সাথে মতবিনিময় করলেন নাসের রহমান
- আপডেট সময় ০৭:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ২১৫ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
বুধবার রাতে সদর উপজেলার সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের বাহার্মদ্দানের বাড়ীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সংগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া দীর্ঘ কারাভোগকারী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
এসময় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন, সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক,জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বদরুল আলম,মো.হেলু মিয়া,আশিক মোশাররফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিসবাহ উর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান সফি,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমদ চৌধুরী মামনুন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমুহের সদ্য কারামুক্ত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।মতবিনিময়কালে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কারাভোগকারী নেতৃবৃন্দর কাছ থেকে তাদের উপর নির্যাতনের বর্ননা শুনেন। এসব বর্ননা দিতে গিয়ে একাধিক নেতা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান সকল নেতৃবৃন্দকে ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সংগ্রামে যেসকল নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তাদের অবদান দল কখনো ভুলবে না। তাদের অবশ্যই যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
এরপর নাসের রহমান মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আহমদের অগ্নি সংযোগে ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসা পরিদর্শন করেন। এর পর ওই রাতেই সদ্যকারামুক্ত জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের বাসায় তাকে দেখতে যান।
নাসের রহমান বলেন- দেশটা টোটাল একটা রামরাজত্ব হয়ে গেছে। এরেস্ট করতে গেলে কোর্টের অর্ডার লাগে। ওয়ারেন্ট লাগে। এগুলোর কোনো তোয়াক্কার কিচ্ছু নাই। এমনকি একটা অভিযোগ থাকতে হয়। যে অমুক অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাকে এরেস্ট করা হইল। কোনো অভিযোগের কিচ্ছু নাই। জাস্ট যারে যেমনিভাবে একটা ফ্যাসিষ্ট সরকারের যে আচরণ করে সেভাবে যাকে যেখান থেকে ধরে তুলে নিয়ে গিয়ে পরে তারে একটা মিথ্যা সাজানো মামলায় আসামি করা হয়।
তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন -বাংলাদেশের একটা বৃহত্তম দল বিএনপির মহাসচিবসহ স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বারদের পর্যন্ত জেলের কনডেম সেলের ফ্লোরের মধ্যে দুইদিন রাখার পরও ডিভিশন দেয় নাই। পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে ডিভিশন পেতে হয়েছে।তিনি বলেন, দেশে ভোটাভুটির আর কিচ্ছু নাই।
ইলেকশন কমপ্লিটলি একজনের হাতে। কারে জিতাবে কারে হারাবে। কারে কত ভোট দেখাবে সব ওই একজনই কন্ট্রোল করেন। গত সাত জানুয়ারী দেশের কোথাও ভোট হয়নি। ডামি মার্কা এ নির্বাচনটা ছিল আওয়ামী লীগ – আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মানুষও ভোট সেন্টারে যায়নি।