ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
১২ অক্টোবর থেকে মৌলভীবাজারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু মৌলভীবাজারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন এম. নাসের রহমান মৌলভীবাজার পূজা মন্ডপে মিষ্টি উপহার পাঠালেন পৌর বিএনপির সভাপতি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির মৌলভীবাজারের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মৌলভীবাজার জেলায় কমিটি গঠন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা গেজেটভুক্ত আহত জুলাই যোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় দখলে বিলিন হচ্ছে খেলার মাঠ; প্রশাসন নিরবতা পালন করছে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উদ্যাগে বৃক্ষ রোপন ও সংবাদকর্মীদের মাঝে চারা বিতরণ কুলাউড়ায় নতুন সংগঠন এর আত্মপ্রকাশ মৌলভীবাজারে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে শুভেচ্ছা উপহার দিলেন জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল

সম্প্রীতির এক উদাহরণ শারদীয় দুর্গাপূজায় মুন্সিবাড়ির উদারতা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ি পরিবার সবসময়ই সমাজসেবা ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই পরিবার আবারও একটি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। সুবিধাবঞ্চিত হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করে তারা ধর্মীয় সহাবস্থানের একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র দরিদ্রদের সাহায্য করেছে না, বরং সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়েছে।

দুর্গাপূজা হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি প্রধান উৎসব, যা শরতকালে উদযাপিত হয়। এই উৎসবে মা দুর্গার পূজা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আনন্দের মাঝে মানুষের মিলনমেলা ঘটে। কিন্তু মুন্সিবাড়ির এই উদ্যোগ এই উৎসবকে আরও বিস্তৃত করে তুলেছে। পরিবারের সদস্য স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, যিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর, নিজে উপস্থিত থেকে বস্ত্র বিতরণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ২০০-এরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন ছিলেন, যা প্রমাণ করে যে সেবা ও সহানুভূতির কোনো ধর্মীয় সীমানা নেই।


এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশের মতো বহুসাংস্কৃতিক দেশে সম্প্রীতি হলো আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। মুন্সিবাড়ির মতো ঐতিহ্যবাহী পরিবারগুলো যখন এমন উদ্যোগ নেয়, তখন তা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে।

স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীর মতো নেতৃত্বের ফলে সমাজের নিচুতলার মানুষরা না শুধুমাত্র সাহায্য পান, বরং তারা অনুভব করেন যে তারা একা নন। এই বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে যেন একই পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছিলেন—হাসি, কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসার মাধ্যমে।

আজকের এই বিভক্ত বিশ্বে, যেখানে ধর্মীয় বিভেদ প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়, মুন্সিবাড়ির এই কাজ একটি আলোকবর্তিকা। এটি আমাদের শেখায় যে, উৎসবের আনন্দ শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তা অসম্পূর্ণ। সত্যিকারের সম্প্রীতি তখনই আসে যখন আমরা সকলে মিলে একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিই। মুন্সিবাড়ির এই উদাহরণ অনুসরণ করে যদি আরও অনেকে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর ও ঐক্যবদ্ধ হবে।

এই ধরনের উদ্যোগগুলোকে আমাদের সকলের সমর্থন করা উচিত। শুধুমাত্র সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভর না করে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্তরে এমন কাজ চালিয়ে যাওয়া দরকার। মুন্সিবাড়ি পরিবারকে ধন্যবাদ এমন একটি সম্প্রীতির উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য। আশা করি, এই ঘটনা অন্যান্য এলাকায়ও অনুরূপ উদ্যোগের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সম্প্রীতির এক উদাহরণ শারদীয় দুর্গাপূজায় মুন্সিবাড়ির উদারতা

আপডেট সময় ০৬:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মুন্সিবাড়ি পরিবার সবসময়ই সমাজসেবা ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই পরিবার আবারও একটি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। সুবিধাবঞ্চিত হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করে তারা ধর্মীয় সহাবস্থানের একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র দরিদ্রদের সাহায্য করেছে না, বরং সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়েছে।

দুর্গাপূজা হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি প্রধান উৎসব, যা শরতকালে উদযাপিত হয়। এই উৎসবে মা দুর্গার পূজা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আনন্দের মাঝে মানুষের মিলনমেলা ঘটে। কিন্তু মুন্সিবাড়ির এই উদ্যোগ এই উৎসবকে আরও বিস্তৃত করে তুলেছে। পরিবারের সদস্য স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, যিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর, নিজে উপস্থিত থেকে বস্ত্র বিতরণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ২০০-এরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন ছিলেন, যা প্রমাণ করে যে সেবা ও সহানুভূতির কোনো ধর্মীয় সীমানা নেই।


এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশের মতো বহুসাংস্কৃতিক দেশে সম্প্রীতি হলো আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। মুন্সিবাড়ির মতো ঐতিহ্যবাহী পরিবারগুলো যখন এমন উদ্যোগ নেয়, তখন তা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে।

স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীর মতো নেতৃত্বের ফলে সমাজের নিচুতলার মানুষরা না শুধুমাত্র সাহায্য পান, বরং তারা অনুভব করেন যে তারা একা নন। এই বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে যেন একই পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছিলেন—হাসি, কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসার মাধ্যমে।

আজকের এই বিভক্ত বিশ্বে, যেখানে ধর্মীয় বিভেদ প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়, মুন্সিবাড়ির এই কাজ একটি আলোকবর্তিকা। এটি আমাদের শেখায় যে, উৎসবের আনন্দ শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তা অসম্পূর্ণ। সত্যিকারের সম্প্রীতি তখনই আসে যখন আমরা সকলে মিলে একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিই। মুন্সিবাড়ির এই উদাহরণ অনুসরণ করে যদি আরও অনেকে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর ও ঐক্যবদ্ধ হবে।

এই ধরনের উদ্যোগগুলোকে আমাদের সকলের সমর্থন করা উচিত। শুধুমাত্র সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভর না করে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্তরে এমন কাজ চালিয়ে যাওয়া দরকার। মুন্সিবাড়ি পরিবারকে ধন্যবাদ এমন একটি সম্প্রীতির উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য। আশা করি, এই ঘটনা অন্যান্য এলাকায়ও অনুরূপ উদ্যোগের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।