সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করবে পুলিশ
- আপডেট সময় ০৮:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার শঙ্কা তৈরি করে তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন তিনি।
বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে ইতোমধ্যে একটি নিরাপত্তা শঙ্কা ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদি কোনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কীভাবে সামাল দেবে পুলিশ? সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। তবে কিন্তু সমাবেশের আড়ালে কেউ যদি সহিংস পরিস্থিতি ঘটনোর চেষ্টা করে কিংবা ঢাকার সোয়া দুই কোটি নাগরিকের জীবন ও মালামালের শঙ্কা দেখা দিলে যেকোনো পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
২৮ অক্টোবর ঘিরে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আরও একটি শাপলাচত্বর ঘটনোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এ বিষয়ে ডিএমপির প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, শুধু ২৮ অক্টোবর নয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের মানুষকে বিভ্রান্তি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে আমি মনে করছি দেশের মানুষ, ঢাকার মানুষ সচেতন। তারা গুজবে কান দেবে না, বরং গুজব প্রতিহত করতে তারা সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি আমাদের মিডিয়াগুলো গুজব প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। গুজবকে আমরা উড়িয়ে দিয়ে সঠিক পথেই এগিয়ে যাবো এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করব।
হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএমপি পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সবাই এ বিষয়ে কাজ করছে। এমন যদি কোনো তথ্য পায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা জানেন ২০১৩ ও ১৪ সালে ঢাকাসহ সারাদেশে এমন অপচেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলো কিন্তু দেশের মানুষ ও পুলিশ শক্ত হাতে প্রতিরোধ করেছে। সন্ত্রাসীরা কিন্তু পরাজিত হয়েছে।