সাবেক এমপি কে নিয়ে কটুক্তি,বিএনপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

- আপডেট সময় ০৮:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমানকে কটুক্তির অভিযোগে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলালকে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন এর যৌথ স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উক্ত নোটিশে তাকে বলা হয়,’আপনার উপস্থিতিতে বিগত ১৫ এপ্রিল একাটুনা ইউনিয়নের এক সভায় মৌলভীবাজার- রাজনগর – ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান কে নিয়ে নুরুল ইসলাম নানু মিয়া, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি, ৬ নং একাটুনা ইউনিয়ন বিএনপি কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। আপনি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকা সত্বেও সভায় উপস্থিত থেকে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আপনার উপস্থিতিতে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য এম নাসের রহমান কে নিয়ে কটুক্তি করার জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এব্যাপারে আপনার বক্তব্য আগামী সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হল।”
এ কারণ দর্শানোর নোটিশ মুহিতুর রহমান হেলাল বরাবর পাঠিয়ে এর অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেট বিভাগ জি কে গউস,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী-কে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল একাটুনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নানু মিয়াকে তার এ ঔদ্ধত্য পূর্ণ বক্তব্য প্রদানের জন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পর্যায়ের পদ পদবী থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি।
উল্লেখ্য নুরুল ইসলাম নানু তার কুরুচিপূর্ণ নিজের বক্তব্যর জন্য ফেসবুক ভিডিওর মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে এম নাসের রহমান সহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে তার এহেন কর্মকান্ডের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর এ ঔদ্ধত্য পূর্ণ আচরণের পেছনে সমস্ত কলকাঠির হোতাকে চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভের ঝড় উঠে।
