ঢাকা ০৭:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালমান শাহর মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা ২৭ বছরেও অজানা রয়ে গেছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৯২ বার পড়া হয়েছে

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর সালমান শাহ’র আজ ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে বাংলা সিনেমার একটি ক্ষণস্থায়ী উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

তবে বাংলা সিনেমার চিরসবুজ এ নায়কের মৃত্যু রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। ফলে সালমান শাহর মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা ২৭ বছরেও অজানা রয়ে গেছে। মামলাটির সর্বশেষ তদন্ত সংস্থা পিবিআই বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে তার মায়ের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় সালমান শাহর। তার মৃত্যুতে রাজধানীর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সালমান শাহর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। কিন্তু মৃত্যুর একবছর না যেতেই ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে আদালতে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান। ফলে সালমান শাহর মৃত্যুর নতুন রহস্যের আকার ধারণ করে।

সেই থেকে সালমান ভক্তদের মনে আজও রহস্য রয়ে গেছে নায়ক আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তবে কয়েক দফা তদন্তে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তা এখনো মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার ও ভক্তরা। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক সিরাজুল সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত পিবিআই এর দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। এরপর আবার সালমান শাহর পরিবারের পক্ষ থেকে রিভিশন দায়েরের আবেদন করা হয়। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ রিভিশন আবেদন গ্রহণ করেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রিভিশন বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।

মামলাটিতে প্রথমে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই প্রতিবেদন গৃহীত হয়। কিন্তু সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। প্রায় ১৫ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।

২০১৪ সালের ৩ আগস্ট তৎকালীন ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন।

২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী তৎকালীন ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, নজরুল শেখ সামিরা হক, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও মনোয়ারা বেগম—এই ১১ জন সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

মামলাটিতে ‌র‌্যাবকে তদন্ত ভার দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন ঢাকার বিশেষ জজ-৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‌্যাব মামলাটি আর তদন্ত করতে পারবে না বলে আদেশ দেন। এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উপর তদন্তের ভার পড়ে।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ জানান, পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আমরা এর বিরুদ্ধে নারাজি দেব মর্মে আদালতকে অবহিত করি। কিন্তু সালমান শাহর মা দেশের বাইরে থাকায় নারাজি দাখিল করতে পারিনি। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। আমরা এর বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেছি। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি হবে। আমরা নতুন কোনো সংস্থা দিয়ে মামলাটি তদন্তের আবেদন করব। আশা করি রিভিশন শুনানিতে আমারা ন্যায় বিচার পাব।

সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম জানান, আমরা মারা গেলেও তার ভক্তরা মামলা চালিয়ে যাবে। বিচারের মালিক আল্লাহ। মাটিতে যারা থাকেন তারা অমানুষ। তা না হলে সালমান শাহকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে গোসল করাল, নতুন কাপড় পরাল। সালমান শাহ অসুস্থ তার মাকে ফোন দিয়ে পর্যন্ত জানাল না। এর ভিতর তো রহস্য আছে। মামলাটি চলছে, চলবে।

তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করল। এরপর সাংবাদিকদের ডেকে তদন্তের বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করল। এটা তো আদালত অবমাননা করার সামিল। এতে করে সালমান শাহের মামলাকে দুর্বল করে ফেলল। তার পরিবারকে হেয় করল।

সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তিনি অসুস্থ। দেশের বাইরে আছেন। তিন মাস পর দেশে ফিরবেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সালমান শাহর মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা ২৭ বছরেও অজানা রয়ে গেছে

আপডেট সময় ১২:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর সালমান শাহ’র আজ ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে বাংলা সিনেমার একটি ক্ষণস্থায়ী উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

তবে বাংলা সিনেমার চিরসবুজ এ নায়কের মৃত্যু রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। ফলে সালমান শাহর মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা ২৭ বছরেও অজানা রয়ে গেছে। মামলাটির সর্বশেষ তদন্ত সংস্থা পিবিআই বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে তার মায়ের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় সালমান শাহর। তার মৃত্যুতে রাজধানীর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সালমান শাহর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। কিন্তু মৃত্যুর একবছর না যেতেই ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে আদালতে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান। ফলে সালমান শাহর মৃত্যুর নতুন রহস্যের আকার ধারণ করে।

সেই থেকে সালমান ভক্তদের মনে আজও রহস্য রয়ে গেছে নায়ক আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তবে কয়েক দফা তদন্তে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তা এখনো মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার ও ভক্তরা। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক সিরাজুল সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত পিবিআই এর দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। এরপর আবার সালমান শাহর পরিবারের পক্ষ থেকে রিভিশন দায়েরের আবেদন করা হয়। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ রিভিশন আবেদন গ্রহণ করেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রিভিশন বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।

মামলাটিতে প্রথমে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই প্রতিবেদন গৃহীত হয়। কিন্তু সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। প্রায় ১৫ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।

২০১৪ সালের ৩ আগস্ট তৎকালীন ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন।

২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী তৎকালীন ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, নজরুল শেখ সামিরা হক, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও মনোয়ারা বেগম—এই ১১ জন সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

মামলাটিতে ‌র‌্যাবকে তদন্ত ভার দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন ঢাকার বিশেষ জজ-৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‌্যাব মামলাটি আর তদন্ত করতে পারবে না বলে আদেশ দেন। এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) উপর তদন্তের ভার পড়ে।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ জানান, পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আমরা এর বিরুদ্ধে নারাজি দেব মর্মে আদালতকে অবহিত করি। কিন্তু সালমান শাহর মা দেশের বাইরে থাকায় নারাজি দাখিল করতে পারিনি। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। আমরা এর বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেছি। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি হবে। আমরা নতুন কোনো সংস্থা দিয়ে মামলাটি তদন্তের আবেদন করব। আশা করি রিভিশন শুনানিতে আমারা ন্যায় বিচার পাব।

সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম জানান, আমরা মারা গেলেও তার ভক্তরা মামলা চালিয়ে যাবে। বিচারের মালিক আল্লাহ। মাটিতে যারা থাকেন তারা অমানুষ। তা না হলে সালমান শাহকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে গোসল করাল, নতুন কাপড় পরাল। সালমান শাহ অসুস্থ তার মাকে ফোন দিয়ে পর্যন্ত জানাল না। এর ভিতর তো রহস্য আছে। মামলাটি চলছে, চলবে।

তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করল। এরপর সাংবাদিকদের ডেকে তদন্তের বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করল। এটা তো আদালত অবমাননা করার সামিল। এতে করে সালমান শাহের মামলাকে দুর্বল করে ফেলল। তার পরিবারকে হেয় করল।

সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তিনি অসুস্থ। দেশের বাইরে আছেন। তিন মাস পর দেশে ফিরবেন।