ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জাতীয় ইমাম সমিতি একাটুনা ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটি গঠিত শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা দল পুনর্গঠনে জেলা নেতাদের কঠোর বার্তা কোটচাঁদপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ পালন বিএনএসবি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ডা:ছাদিক আহমদ মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী রুবেল হ/ত্যা/কা/ণ্ডে/র ঘটনায় মূল আসামি গ্রে/প্তা/র,আলামত উদ্ধার হাজীপুরে জব্দ করা ১৩ কোটি টাকার বালু প্রকাশ্য নিলাম স্থগিত জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন সভাপতি রেজা, সম্পাদক মতিউর সিলেটে জিপিস্টার পার্টনারদের স্বীকৃতি দিলো গ্রামীণফোন বিএনপি যদি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা এই পুলিশ কে বিএনপির পুলিশ বানাবো না – জি কে গউছ সিলেটে পাথর লু ট,প্রশাসনের বি রু দ্ধে শুরু হচ্ছে অ্যাকশন

সালমান শাহ মৃত্যুর মৃত্যুর ২৬ বছরেও রহস্য পুরোাপুরি উদঘাটন হয়নি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৃত্যুর ২৬ বছরেও সালমান শাহ মৃত্যুর রহস্য পুরোাপুরি উদঘাটন হয়নি যেনো। ভক্তদের দাবি, সালমানকে হত্যা করা হয়েছে।

যদিও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়নি, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এই নায়ক কেনো আত্মহত্যা করেছেন তার পাঁচটি কারণও তারা উল্লেখ করেছেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ হলো-

১. চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।

২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ

৩. বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা।

৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয়

৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা

২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি  দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সালমান শাহ মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত শেষে মৃত্যুর এই পাঁচ কারণ তুলে ধরেন  পিবিআই।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

এরপর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। ওই সময় অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে থানা পুলিশের পরিবর্তে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

এরই মধ্যে তার মৃত্যুর ২৩ বছর পেরিয়ে যায়। এর মাঝে কয়েক দফা তদন্তে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তবে তা বরাবরই নাকচ করেছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।

এ অবস্থায় ২০১৬ সালের শেষ দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নতুন করে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়। এর সূত্র ধরেই  তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সালমান শাহ মৃত্যুর মৃত্যুর ২৬ বছরেও রহস্য পুরোাপুরি উদঘাটন হয়নি

আপডেট সময় ০৬:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৃত্যুর ২৬ বছরেও সালমান শাহ মৃত্যুর রহস্য পুরোাপুরি উদঘাটন হয়নি যেনো। ভক্তদের দাবি, সালমানকে হত্যা করা হয়েছে।

যদিও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়নি, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এই নায়ক কেনো আত্মহত্যা করেছেন তার পাঁচটি কারণও তারা উল্লেখ করেছেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচটি কারণ হলো-

১. চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।

২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ

৩. বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা।

৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয়

৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা

২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি  দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সালমান শাহ মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত শেষে মৃত্যুর এই পাঁচ কারণ তুলে ধরেন  পিবিআই।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

এরপর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। ওই সময় অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে থানা পুলিশের পরিবর্তে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

এরই মধ্যে তার মৃত্যুর ২৩ বছর পেরিয়ে যায়। এর মাঝে কয়েক দফা তদন্তে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তবে তা বরাবরই নাকচ করেছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।

এ অবস্থায় ২০১৬ সালের শেষ দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নতুন করে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়। এর সূত্র ধরেই  তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই।