সিটি নির্বাচনে ‘দুশ্চিন্তায়’ আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় ০৮:৪০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
- / ৫৭১ বার পড়া হয়েছে
ষ্টাফ রির্পোটার: আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়েছেন ক্ষমতাসীনরা। দলের কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ গোপনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও নির্বাচনে দায়িত্বশীলদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের কারণে সিলেটে নৌকার প্রার্থী হেরেছিলেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই চিন্তায় এখনই ‘ঘুম হারাম’তাদের। তবে, দলীয় কোন্দল নিরসনে কাজ করছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, সিলেটে আওয়ামী লীগকে জিততে হলে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে দলকে আনোয়ারুজ্জামানের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এখানে আওয়ামী লীগের বিপরীতে অন্য যেকোনো প্রার্থী চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেন। কারণ, এখানে বিরোধী ভোট এবং আওয়ামী লীগের একাংশের ভোটও যুক্ত হবে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাক্সে।
যেহেতু নির্বাচনের আগে আরও সময় আছে, সেহেতু কিছুটা ধীরগতিতে বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চায় আওয়ামী লীগ। তার আগে দলটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা দুই সিটিতে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেবেন।
দলীয় সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে আছেন। দেশে ফেরার পর দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন তিনি। পাঁচ সিটি এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা তাদের কাছ থেকে জানবেন। ওই বৈঠকে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলোও ওই বৈঠকে মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘জীবনের পরতে পরতে চ্যালেঞ্জ আছে। নির্বাচন মানেই একটা চ্যালেঞ্জ। সেখানে জনগণের রায় পক্ষে আনা, নির্বাচিত হওয়া— বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। জনগণকে সুসংগঠিত করতে হয়। ভোটারদের সন্তুষ্ট করে পক্ষে নিয়ে আসতে হয়। আশা করি, এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হব।