ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
৭ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কুলাউড়ায় জামায়াতের নির্বাচনী কর্মশালা সম্পন্ন বিশ্ব ডিম দিবস দুর্গাপুরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা ব্রিস্টল বাংলাদেশি ক্রিকেট ক্লাবের ঐতিহাসিক অর্জন ও ২০ বছরের গৌরবময় যাত্রা টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও হালাল: গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃ/ত্যু,চিকিৎসাধীন দুই শিশু রেলওয়ে সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সড়ক দুর্ঘটনায় নি/হ/ত প্রবাসীদের কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে পালকপুত্র গ্রে/ফ/তা র কোটচাঁদপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন সিলেট রেলপথে অব্যবস্থা ও বৈষম্য: সংস্কার এখন সময়ের দাবি

সেতু এনজিওর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • / ৬৮৫ বার পড়া হয়েছে

মঈন উদ্দিন:  সেতু এনজিওর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ সব অভিযোগের পেক্ষিতে ম্যানেজারকে প্রত্যহার করেছেন কতৃপক্ষ। এতে করে ওই প্রতিষ্টানে অর্থ লগ্নি করা গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। এ অবস্থা বিরাজ করছে সেতুর কোটচাঁদপুর শাখায়।

সেতুর ম্যানেজার উদয় দাস জানান,২০১৯ সালের শেষের দিকে কোটচাঁদপুর গাবতলা পাড়ার ছোট খোকার বাসা ভাড়া করেন সেতু এনজিও। এরপর শুরু করেন তাদের ঋণদান কার্যক্রম। একে একে গড়ে তুলেছন ৪৩ টি সমিতি। ঋন দিয়েছেন ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সম্প্রতি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অর্থআত্মসাতের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে ফিল্ড কর্মকর্তা মিতুল মিয়াকে দোষারোপ করেন ওই ম্যানেজার। এরপর বাকবিতন্ডা হয় তাদের মধ্যে।

পরে ম্যানেজার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই ফিল্ড কর্মকর্তাকে জোরপূবক চাকুরি থেকে অব্যহতি করান। এ ব্যাপারে মিতুল মিয়া জানান, ম্যানেজার গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হয়রানি করেন। টাকা নিয়ে বইতে না তুলে নিজের পকেটে রাখত। বিষয়টি নিয়ে বললে,তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে সরানোর চেস্টা করেন। একপর্যায় ৩ এপ্রিল ওই ম্যানেজার জোরপূর্বক চাকুরির অব্যহতি পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। বিষয়টি অস্বীকার করে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সে আমার বিরুদ্ধে যে,অভিযোগ করেছেন,সেটা মিথ্যা। বরং মিতুল এ অফিসে যোগদানের পর থেকে আমার সঙ্গে খারাপ আচারন করে আসছিল। সে অফিসের কোন নিয়ম মানেন না।

এমনকি আমাকে ম্যানেজার বলেও মানতেন না। এ ব্যাপারে সেতু এনজিওর ভুক্তভোগী গ্রাহক রাব্বি হাসান জানান,আমি ওই এনজিও থেকে ২৫ হাজার টাকা লোন নিয়ে ছিলাম। লোনটি প্রায় পরিশোধের দিকে। আমার হিসাব মত ১৮ শ টাকা পাবে সংস্থাটি। কিন্তু তারা আমার কাছে ৮ হাজার টাকা দাবি করেছেন। বিষয়টি এখনও মিমাংসা হয়নি।

আরেক গ্রাহক রত্না ঘোষের স্বামী নারায়ণ ঘোষ জানান,প্রথমে ওই এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা লোন নেয়া হয়েছিল। তা পরিশোধ করা হয়। এরপর আবারও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোন নেয়া হয়। পরে তা পরিশোধ করলে ৪ লাখ টাকা লোন দেবেন বলে ঘুরাতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, ওই লোনের টাকা একজনের কাছ থেকে সুদে করে নিয়ে পরিশোধ করি।

পরে তারা লোন না দেয়ায় আমাকে ৩০ হাজার টাকা সুদ গুনতে হয়েছে। এনজিওটি তালসার গ্রামের পাতা বিশ্বাসের সঙ্গে ও একই কাজ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণ ঘোষ। এ ছাড়া রয়েছেন লক্ষিকুন্ড গ্রামের অহেদুল খা,আফরোজা খাতুন,জসিমউদদীন ও জগন্নাথপুর গ্রামের শারমিন খাতুন। এরা প্রত্যেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এ দিকে ঘটনাটি এনজিওর উপরি মহলে জানাজানি হলে তদন্তে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। যার মধ্যে রয়েছে এনজিওর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম ও অডিট কর্মকর্তা নাজিরুল ইসলাম। তারা বলেন, কোন শাখা থেকে কাউকে বদলি করা হলে,এ ধরনের তদন্ত করা হয় শাখায়। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে কি অবস্থা আছে তা বলা যাবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সেতু এনজিওর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

মঈন উদ্দিন:  সেতু এনজিওর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ সব অভিযোগের পেক্ষিতে ম্যানেজারকে প্রত্যহার করেছেন কতৃপক্ষ। এতে করে ওই প্রতিষ্টানে অর্থ লগ্নি করা গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে। এ অবস্থা বিরাজ করছে সেতুর কোটচাঁদপুর শাখায়।

সেতুর ম্যানেজার উদয় দাস জানান,২০১৯ সালের শেষের দিকে কোটচাঁদপুর গাবতলা পাড়ার ছোট খোকার বাসা ভাড়া করেন সেতু এনজিও। এরপর শুরু করেন তাদের ঋণদান কার্যক্রম। একে একে গড়ে তুলেছন ৪৩ টি সমিতি। ঋন দিয়েছেন ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সম্প্রতি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অর্থআত্মসাতের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে ফিল্ড কর্মকর্তা মিতুল মিয়াকে দোষারোপ করেন ওই ম্যানেজার। এরপর বাকবিতন্ডা হয় তাদের মধ্যে।

পরে ম্যানেজার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই ফিল্ড কর্মকর্তাকে জোরপূবক চাকুরি থেকে অব্যহতি করান। এ ব্যাপারে মিতুল মিয়া জানান, ম্যানেজার গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হয়রানি করেন। টাকা নিয়ে বইতে না তুলে নিজের পকেটে রাখত। বিষয়টি নিয়ে বললে,তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে সরানোর চেস্টা করেন। একপর্যায় ৩ এপ্রিল ওই ম্যানেজার জোরপূর্বক চাকুরির অব্যহতি পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। বিষয়টি অস্বীকার করে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সে আমার বিরুদ্ধে যে,অভিযোগ করেছেন,সেটা মিথ্যা। বরং মিতুল এ অফিসে যোগদানের পর থেকে আমার সঙ্গে খারাপ আচারন করে আসছিল। সে অফিসের কোন নিয়ম মানেন না।

এমনকি আমাকে ম্যানেজার বলেও মানতেন না। এ ব্যাপারে সেতু এনজিওর ভুক্তভোগী গ্রাহক রাব্বি হাসান জানান,আমি ওই এনজিও থেকে ২৫ হাজার টাকা লোন নিয়ে ছিলাম। লোনটি প্রায় পরিশোধের দিকে। আমার হিসাব মত ১৮ শ টাকা পাবে সংস্থাটি। কিন্তু তারা আমার কাছে ৮ হাজার টাকা দাবি করেছেন। বিষয়টি এখনও মিমাংসা হয়নি।

আরেক গ্রাহক রত্না ঘোষের স্বামী নারায়ণ ঘোষ জানান,প্রথমে ওই এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা লোন নেয়া হয়েছিল। তা পরিশোধ করা হয়। এরপর আবারও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোন নেয়া হয়। পরে তা পরিশোধ করলে ৪ লাখ টাকা লোন দেবেন বলে ঘুরাতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, ওই লোনের টাকা একজনের কাছ থেকে সুদে করে নিয়ে পরিশোধ করি।

পরে তারা লোন না দেয়ায় আমাকে ৩০ হাজার টাকা সুদ গুনতে হয়েছে। এনজিওটি তালসার গ্রামের পাতা বিশ্বাসের সঙ্গে ও একই কাজ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণ ঘোষ। এ ছাড়া রয়েছেন লক্ষিকুন্ড গ্রামের অহেদুল খা,আফরোজা খাতুন,জসিমউদদীন ও জগন্নাথপুর গ্রামের শারমিন খাতুন। এরা প্রত্যেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এ দিকে ঘটনাটি এনজিওর উপরি মহলে জানাজানি হলে তদন্তে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। যার মধ্যে রয়েছে এনজিওর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম ও অডিট কর্মকর্তা নাজিরুল ইসলাম। তারা বলেন, কোন শাখা থেকে কাউকে বদলি করা হলে,এ ধরনের তদন্ত করা হয় শাখায়। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে কি অবস্থা আছে তা বলা যাবে।