ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারের শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘বার্ড পার্ক অ্যান্ড ইকো ভিলেজ’ বাই সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণে মৌলভীবাজারের রুহিত মৌলভীবাজার শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জরিমানা ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হলেন ডা. শাকিল মৌলভীবাজার ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আ/ট/ক – ১ গৌরব,ঐতিহ্য,সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৭ বছর উদযাপন মৌলভীবাজারে জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি গণভোট আয়োজন সহ ছয় দফা দাবি খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল মৌলভীবাজারের কারাতে চমকপ্রদ সাফল্য ৪ সোনাসহ মোট ২০ পদক মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় সড়ক দু র্ঘ ট না য় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ ত্যু

স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি: শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / ১১৭৬ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক মুমিনুর রহমানকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন।

লাখাই থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বিয়ষটি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় একজনকেই আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রী লাখাই উপজেলার এক স্কুলের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুমিনুর রহমান তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তার শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানিরও চেষ্টা করেছেন একাধিকবার।

গত ১৬ মার্চ সকালে স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) শুরু হলে ওই ছাত্রী অসুস্থতা বোধ করায় সমাবেশে না গিয়ে স্কুল ভবনের তৃতীয় তলায় শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক মো. মুমিনুর রহমান গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। ওই সময় বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন এবং আয়া গৌড়ী সেখানে গেলে মুমিনুর তড়িঘড়ি নিচে নেমে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি আবারও গিয়ে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে মুমিনুর তার মুখ চেপে ধরেন। তার চিৎকারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল করিমসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে মুমিনুর ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যারও চেষ্টা করে বলে দাবি করেন তার বাবা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ চৌধুরীকে জানানো হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত ও তার বিচার দাবিতে বুধবার হবিগঞ্জ-লাখাই সড়াইল-নাসিরনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি তাৎক্ষণিক তাকে সাময়িক বরখাস্তের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি: শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০১:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক মুমিনুর রহমানকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন।

লাখাই থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বিয়ষটি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় একজনকেই আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রী লাখাই উপজেলার এক স্কুলের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুমিনুর রহমান তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। তার শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানিরও চেষ্টা করেছেন একাধিকবার।

গত ১৬ মার্চ সকালে স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) শুরু হলে ওই ছাত্রী অসুস্থতা বোধ করায় সমাবেশে না গিয়ে স্কুল ভবনের তৃতীয় তলায় শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক মো. মুমিনুর রহমান গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। ওই সময় বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন এবং আয়া গৌড়ী সেখানে গেলে মুমিনুর তড়িঘড়ি নিচে নেমে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি আবারও গিয়ে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে মুমিনুর তার মুখ চেপে ধরেন। তার চিৎকারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল করিমসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে মুমিনুর ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যারও চেষ্টা করে বলে দাবি করেন তার বাবা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ চৌধুরীকে জানানো হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত ও তার বিচার দাবিতে বুধবার হবিগঞ্জ-লাখাই সড়াইল-নাসিরনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি তাৎক্ষণিক তাকে সাময়িক বরখাস্তের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।