ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মানবতার গান-সুরের ভেলায় কমলগঞ্জে লালনকে স্মরণ শেরপুর ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রে ফ তা র কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত  বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি,জনতার ঢল মহাসড়ক সংস্কারসহ ৪’দফা দাবীতে মৌলভীবাজার মানববন্ধন খালেদা জিয়া-তারেক রহমান জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন সিলেটে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ রোরবার মৌলভীবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া আমাদের মূল লক্ষ্য” — নাসের রহমান জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

স্কুল শিক্ষার্থী আনজুম খু°নের ঘা°তক জুনেলর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / ২০৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার স্কুল শিক্ষার্থী নাফিসা জান্নাত আনজুম এর হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় রাস্তা অবরোধ ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রিট আদালতের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে বেশ কয়েকটি গাড়ি যুগে কুলাউড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার লোক মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা দায়রা জজ ও সিজিএম এর কোর্টের সামনে এসে অবস্থান নিয়ে আনজুম এর বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা প্রেসক্লাব সন্মুখে এসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় আনজুমের সহপাঠিরা ও এলাকাবাসী জানান, আনজুমের খুনি জুনেলের বিচারের দাবীতে তারা রাজপথে নেমেছেন, যতক্ষন পর্যন্ত ফাঁসির রায় কার্জকর না হবে ততক্ষন পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আর কোনও মেয়ে যেন নির্যাতনের শিকার হয়ে এভাবে মৃত্যুবরন না করতে হয়। তারা এবিষয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, এপিপি এডভোকেট নিয়ামুল হক, সাংবাদিক মু. ইমাদ উদ-দীন, রাজনীতিবিদ মাহমুদ খান আক্তার, ইউপি সদস্য ছয়ফুল ইসলাম ও  লুৎফুর রহমান, ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাচ্চু, ছাত্র সমন্বয়ক কাজী মুনজের, শিক্ষক খালেদ আহমদ, তাজুল ইসলাম, ইহাম মুজাহিদ, নিহত আনজুমের পিতা আব্দুল খালিক, ভাই আফিফ ইসলাম রাদিন, শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান লিমন, সৈয়দা রেহানা আক্তার, সামিয়া আক্তার প্রমুখ।

 

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রমাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্ঠা, আইন উপদেষ্ঠা, স্বরাস্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

নিহতের পিতা আব্দুল খালিক তার মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূরক শাস্তির দাবী জানান।

 

বক্তরা বলেন,মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে খুনি জুনেল।

 

এসময় পিপি মো: আব্দুল মতিন, একাত্মতা জানিয়ে জানান, শাস্তি নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালিয়ে যাবেন।

১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ৫নং আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ বিল্লাহ তারেকের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য পুলিশ গ্রেফতারকৃত জুনেলকে হাজির করে। এসময় আসামী জুনেলের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। কিন্তু আসামী জুনেল বিজ্ঞ বিচারকের সামনে চাঞ্চল্যকর খুনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়নি। এরআগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষার্থী আনজুমকে সে কিভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দী রেকর্ড রয়েছে পুলিশের কাছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, কুলাউড়ায় শিক্ষার্থী আনজুম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রতিবেশী জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করা হয়েছে। নিহত আনজুমকে ধর্ষণ চেষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্দ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ছড়ায় ফেলে রাখেন ঘাতক জুনেল। আসামি জুনেলের দেখানো মতে এবং পুলিশের তল্লাশীকালে হত্যাকান্ডের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা নিহত আনজুমের পরিহিত বোরকা, স্কুল ব্যাগ, বই ও একটি জুতা উদ্ধার করে পুলিশ।

 

 

নিহত আনজুম ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিকের মেয়ে এবং স্থানীয় শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর ঘাতক জুনেল একই ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহির মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থী আনজুম হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল সমগ্র কুলাউড়া। ঘাতক জুনেলের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রতিদিন একের পর এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী, স্থানীয় লোকজন ও যুবসমাজ। গত ১৫ জুন ঘাতক জুনেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। ওইদিন রাতে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজারেও বিক্ষোভ মিছিল করে ঘাতকের ফাঁসি দাবি জানান এলাকাবাসী। পরদিন ১৬ জুন কুলাউড়া শহরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এদিকে ১৮ জুন দুপুরে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ১৯ জুন দুপুরে মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং ভাটেরা স্টেশন বাজারে সচেতন যুব সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। আন্দোলনকারী জানান, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যতক্ষণ না পর্যন্ত ঘাতক জুনেলের বিচার না হবে ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কুল শিক্ষার্থী আনজুম খু°নের ঘা°তক জুনেলর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৫:১৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার স্কুল শিক্ষার্থী নাফিসা জান্নাত আনজুম এর হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় রাস্তা অবরোধ ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রিট আদালতের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে বেশ কয়েকটি গাড়ি যুগে কুলাউড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার লোক মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা দায়রা জজ ও সিজিএম এর কোর্টের সামনে এসে অবস্থান নিয়ে আনজুম এর বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা প্রেসক্লাব সন্মুখে এসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় আনজুমের সহপাঠিরা ও এলাকাবাসী জানান, আনজুমের খুনি জুনেলের বিচারের দাবীতে তারা রাজপথে নেমেছেন, যতক্ষন পর্যন্ত ফাঁসির রায় কার্জকর না হবে ততক্ষন পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আর কোনও মেয়ে যেন নির্যাতনের শিকার হয়ে এভাবে মৃত্যুবরন না করতে হয়। তারা এবিষয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, এপিপি এডভোকেট নিয়ামুল হক, সাংবাদিক মু. ইমাদ উদ-দীন, রাজনীতিবিদ মাহমুদ খান আক্তার, ইউপি সদস্য ছয়ফুল ইসলাম ও  লুৎফুর রহমান, ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাচ্চু, ছাত্র সমন্বয়ক কাজী মুনজের, শিক্ষক খালেদ আহমদ, তাজুল ইসলাম, ইহাম মুজাহিদ, নিহত আনজুমের পিতা আব্দুল খালিক, ভাই আফিফ ইসলাম রাদিন, শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান লিমন, সৈয়দা রেহানা আক্তার, সামিয়া আক্তার প্রমুখ।

 

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রমাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্ঠা, আইন উপদেষ্ঠা, স্বরাস্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

 

নিহতের পিতা আব্দুল খালিক তার মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূরক শাস্তির দাবী জানান।

 

বক্তরা বলেন,মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে খুনি জুনেল।

 

এসময় পিপি মো: আব্দুল মতিন, একাত্মতা জানিয়ে জানান, শাস্তি নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালিয়ে যাবেন।

১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ৫নং আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ বিল্লাহ তারেকের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য পুলিশ গ্রেফতারকৃত জুনেলকে হাজির করে। এসময় আসামী জুনেলের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। কিন্তু আসামী জুনেল বিজ্ঞ বিচারকের সামনে চাঞ্চল্যকর খুনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়নি। এরআগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষার্থী আনজুমকে সে কিভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দী রেকর্ড রয়েছে পুলিশের কাছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, কুলাউড়ায় শিক্ষার্থী আনজুম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রতিবেশী জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করা হয়েছে। নিহত আনজুমকে ধর্ষণ চেষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্দ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ছড়ায় ফেলে রাখেন ঘাতক জুনেল। আসামি জুনেলের দেখানো মতে এবং পুলিশের তল্লাশীকালে হত্যাকান্ডের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা নিহত আনজুমের পরিহিত বোরকা, স্কুল ব্যাগ, বই ও একটি জুতা উদ্ধার করে পুলিশ।

 

 

নিহত আনজুম ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিকের মেয়ে এবং স্থানীয় শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর ঘাতক জুনেল একই ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহির মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থী আনজুম হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল সমগ্র কুলাউড়া। ঘাতক জুনেলের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রতিদিন একের পর এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী, স্থানীয় লোকজন ও যুবসমাজ। গত ১৫ জুন ঘাতক জুনেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। ওইদিন রাতে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাজারেও বিক্ষোভ মিছিল করে ঘাতকের ফাঁসি দাবি জানান এলাকাবাসী। পরদিন ১৬ জুন কুলাউড়া শহরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এদিকে ১৮ জুন দুপুরে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ১৯ জুন দুপুরে মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘাতক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং ভাটেরা স্টেশন বাজারে সচেতন যুব সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। আন্দোলনকারী জানান, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যতক্ষণ না পর্যন্ত ঘাতক জুনেলের বিচার না হবে ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।