স্ত্রীর দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন
- আপডেট সময় ০৪:১১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৬৭৫ বার পড়া হয়েছে
ইতালি প্রবাসী শাহাবুদ্দিন মোল্লা`র(২৬) বাড়িতে দুই দিন ধরে স্ত্রীর দাবিতে অনশন করছেন আতিকা খানম(২১) নামের এক নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। এদিকে শাহাবুদ্দিন মোল্লা নতুন বিয়ে করা স্ত্রী ও বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘরে তালা মেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ।
মঙ্গলবার(২৯ আগস্ট) সকাল দশটা থেকে ওই বাড়িতে অনশনে বসেছেন। অনশনরত আতিকা খানম উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের যোগীবরাট গ্রামের অলিয়ার রহমানের মেয়ে। তিনি ফরিদপুর জেডএম নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের উমর আলী মোল্লার ছেলে ইতালি প্রবাসী শাহাবুদ্দিন মোল্লা`র বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে হাজির হন আতিকা খানম। তারপর থেকে দুই দিন ধরে তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান নিয়েছেন।
আতিকা খানম বলেন, ২০১৮ সাল থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। ইতালি থাকা অবস্থায় মোবাইলে নিয়মিত কথা-বার্তা হতো। শাহাবুদ্দিন আমার সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্কিন শর্ট ও বিভিন্ন ধরনের ছবি ভিডিও ফুটেজ দিয়ে আমার ও আমার পরিবারকে ব্লাকমেইল করে আমার বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে একাধিকবার। ২০২৩ সালে তিনি ইতালি থেকে দেশে আসেন। গত ১৭ আগস্ট আমাকে তিনি কাবিনের মাধ্যমে নিয়মকানুন অনুযায়ী বিয়ে করেন। এরপর জানতে পারি গত ২৫ আগস্ট আমাকে কিছু না জানিয়ে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে তার বাড়িতে চলে আসি। শাহাবুদ্দিন আমার বিয়ে করা স্বামী। আমি আমার শ্বশুর বাড়ি উঠেছি। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই। আমার উপস্থিতি দেখে আমাকে মারধর করে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তারা সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে মরে গেলেও যাবো না।
আতিকা খানমের মামাতো ভাই আকবর মিয়া বলেন,আমার বোনকে মারধর করে তারা ঘরে তালা মেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। গতকাল সকাল থেকে সে কিছুই খায়নি৷ তার কথা আমি মরে গেলেও আমার স্বামী শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে যাবো না।