ব্রেকিং নিউজ
স্বাস্থ্য ও চোখের আলোয় নবজীবন
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ১১:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩৫ বার পড়া হয়েছে
রেডিও পল্লীকণ্ঠের সিনিয়র স্টেশন ম্যানাজার মোঃ মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু, ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুহিব, এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি ও মৌলভীবাজার ২৪.কম এর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাহেল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি পুরন ওড়াং।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাস্থ্য ও চোখের আলোয় নবজীবন নিয়ে একটি প্রতিবেদন শুনানো হয়। প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে অতিথিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। পরে মিরতিংগা চা বাগানের জনসাধারণ সরাসরি অতিথিদের স্বাস্থ্য ও চোখের চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন।
আলোচনা শেষে অতিথিরা মিরতিংগা চা বাগানের জনসাধারণকে প্রতিশ্রুতি দেন এবং এসব সমস্যা সমাধানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম প্রডিউসার আল-আমীন, মার্কেটিং অফিসার দুলাল রায়, নিউজ প্রডিউসার পলি রানী দেবনাথ, অনুষ্ঠান প্রযোজক পিংকি রানী দাস, ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হৃদয় সূত্রধর, অফিস সহকারী আরিফ হোসেন।
প্রভাষক দীপংকর শীল বলেন, ভাষা শুধু প্রকাশ মাধ্যমই নয়, বরং ভাষা প্রকাশের বিষয়কে নতুন রূপ দিয়ে অর্থবহ করে তোলে। তাই শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষার ভূমিকাই প্রধান। কিন্তু এদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আদিবাসী শিশুদের জন্য নেই কোনো আদিবাসী ভাষায় পুস্তক কিংবা আদিবাসী ভাষাভাষী কোনো শিক্ষক। মিরতিংগা চা বাগানে যে ওড়াং সম্প্রদায় আছেন তাদের মাতৃভাষা হচ্ছে কুরুখ ভাষা।বাংলাদেশে কুরুখ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। কুরুখ ভাষায় লোকসংগীত, গল্প, ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদির চর্চা আছে। ভাষাটি এখন বিপন্ন। অনেকে ভুলতে বসেছে।এ ভাষাটি টিকিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
মিঠুন ওড়াং জানান, তাদের পরিবারে মা-বাবা, মুরব্বিরা সব সময় কুরুখ ভাষায় কথা বলেন। কিন্তু শিশু-কিশোর বা যুবকদেরও অনেকে কুরুখ ভাষা জানেন না, কথা বলেন না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই ভাষার চর্চা বাড়াতে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুহিব বলেন, আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে যে জনগোষ্ঠী রয়েছে, তারাই মূলত পুষ্টিহীনতায় ভোগে বেশি। তবে ক্রয়ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সচেতনতার অভাবে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, এমন একটি বড় জনগোষ্ঠীও রয়েছে এ কাতারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা অপুষ্টিসহ নানা কারণে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে।চা বাগান অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত রোগের প্রকোপ রয়েছে। কারণ তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। এছাড়াও তাদের মধ্যে পানিবাহিত রোগের প্রকোপও অনেক বেশি।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং অপুষ্টি প্রতিরোধে কাজ করা খুবই জরুরি।
বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু বলেন, দৃষ্টি ঠিক রাখতে চোখের যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। চোখের প্রতি যত্নশীল হতে হলে যেমন ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন, তেমনি পুষ্টিকর খাবারও আবশ্যক। চোখের কোনো সমস্যায় অবহেলা করা যাবে না। কারন চোখ আমাদের খুব জরুরি অঙ্গ। তাই চোখের সঠিকভাবে যত্ন নিন।
ট্যাগস :