ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্মার্টফোনকে মাস্টার নয়, সার্ভেন্ট ভাবুন: শফিকুল ইসলাম

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

তথ্য প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ প্রযুক্তির কল্যাণে অসংখ্য সুবিধা পাচ্ছে এতে সন্দেহ নেই। আর ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গির উপর এর কল্যাণ বা অকল্যাণ নির্ভর করে এটাও প্রমাণিত। স্মার্টফোন এমন একটা প্রযুক্তি যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে হাতের মুঠোয় পুরো পৃথিবী। কিন্তু এই স্মার্টফোন সার্বক্ষণিক ব্যবহারের ফলে শরীর ও মনের যে বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছে সেটাও আজ দৃশ্যমান। একজন ব্যবহারকারী সার্ভেন্ট হয়ে মোবাইলের নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।রিংটোন বাজলে ব্যস্ত, ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখতে ব্যস্ত, স্ট্যাটাসে কে কি কমেন্ট পড়লো দেখতে ব্যস্ত, বড়দের সাথে কথা বলছেন সেখানে স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ফোনে ব্যস্ত, ঘুম থেকে উঠেও স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত। এতসব ব্যস্ততা মানে হলো আমরা স্মার্টফোনের সার্ভেন্ট, মাস্টার নয়। স্মার্টফোন আমার প্রয়োজন হলে কাজ করে দিবে, আমার দরকার হলে ব্যবহৃত হবে, অপ্রয়োজনে সেটি চুপচাপ বসে থাকবে, তখন গিয়ে বলা যাবে আমি স্মার্টফোনের বস কিংবা চালক। কথা হলো, স্মার্টফোন একজন মানুষকে কখনো পরিচালিত করতে পারে না বরং একজন মানুষই স্মার্টফোনকে নিয়ন্ত্রণ করবে, ঠিক তার প্রয়োজন মতোই। আর যুক্তির কথাও এটাই।বিল গেটস তার সন্তানকে ১৪ বছর হওয়ার আগে ফোন দেই নাই। আর আমাদের দেশের শিশুদের শখ করে ফোন কিনে দিচ্ছে অভিভাবক। অতি আদরের শিশু ফোন নিয়ে গেইম খেলে, ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পদচারণ করে। ভার্চুয়াল জগত নিয়ে খুব ব্যস্ত কিন্তু বাস্তব সমাজের সাথে সে খাপছাড়া। খাবার টেবিলে বসেও বড়রা ফোন ব্যবহার করে, শিশুরা করে এমনকি গৃহিনী যখন রান্না করে তখনও স্মার্টফোনে ব্যস্ত।

বহুদিন পরে দেখা করে বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিতে বসে পারস্পরিক কোন কথা বলে না, অথচ স্মার্টফোনে সবাই ব্যস্ত ভার্চুয়াল বন্ধুদের নিয়ে। ঘুম নাই, ঘুম আসেনা। সমাধানের পথ না ধরে উল্টো স্মার্টফোনে ব্যস্ত অসংখ্য মানুষ। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যেভাবে রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে, গর্ভের পেটের শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত সমবয়সীর জন্য এখন অভিশাপ হতেই পারে। সুতরাং বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্মার্টফোনকে মাস্টার নয়, সার্ভেন্ট ভাবুন: শফিকুল ইসলাম

আপডেট সময় ০৬:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

তথ্য প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ প্রযুক্তির কল্যাণে অসংখ্য সুবিধা পাচ্ছে এতে সন্দেহ নেই। আর ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গির উপর এর কল্যাণ বা অকল্যাণ নির্ভর করে এটাও প্রমাণিত। স্মার্টফোন এমন একটা প্রযুক্তি যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে হাতের মুঠোয় পুরো পৃথিবী। কিন্তু এই স্মার্টফোন সার্বক্ষণিক ব্যবহারের ফলে শরীর ও মনের যে বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছে সেটাও আজ দৃশ্যমান। একজন ব্যবহারকারী সার্ভেন্ট হয়ে মোবাইলের নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।রিংটোন বাজলে ব্যস্ত, ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখতে ব্যস্ত, স্ট্যাটাসে কে কি কমেন্ট পড়লো দেখতে ব্যস্ত, বড়দের সাথে কথা বলছেন সেখানে স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও ফোনে ব্যস্ত, ঘুম থেকে উঠেও স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত। এতসব ব্যস্ততা মানে হলো আমরা স্মার্টফোনের সার্ভেন্ট, মাস্টার নয়। স্মার্টফোন আমার প্রয়োজন হলে কাজ করে দিবে, আমার দরকার হলে ব্যবহৃত হবে, অপ্রয়োজনে সেটি চুপচাপ বসে থাকবে, তখন গিয়ে বলা যাবে আমি স্মার্টফোনের বস কিংবা চালক। কথা হলো, স্মার্টফোন একজন মানুষকে কখনো পরিচালিত করতে পারে না বরং একজন মানুষই স্মার্টফোনকে নিয়ন্ত্রণ করবে, ঠিক তার প্রয়োজন মতোই। আর যুক্তির কথাও এটাই।বিল গেটস তার সন্তানকে ১৪ বছর হওয়ার আগে ফোন দেই নাই। আর আমাদের দেশের শিশুদের শখ করে ফোন কিনে দিচ্ছে অভিভাবক। অতি আদরের শিশু ফোন নিয়ে গেইম খেলে, ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পদচারণ করে। ভার্চুয়াল জগত নিয়ে খুব ব্যস্ত কিন্তু বাস্তব সমাজের সাথে সে খাপছাড়া। খাবার টেবিলে বসেও বড়রা ফোন ব্যবহার করে, শিশুরা করে এমনকি গৃহিনী যখন রান্না করে তখনও স্মার্টফোনে ব্যস্ত।

বহুদিন পরে দেখা করে বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিতে বসে পারস্পরিক কোন কথা বলে না, অথচ স্মার্টফোনে সবাই ব্যস্ত ভার্চুয়াল বন্ধুদের নিয়ে। ঘুম নাই, ঘুম আসেনা। সমাধানের পথ না ধরে উল্টো স্মার্টফোনে ব্যস্ত অসংখ্য মানুষ। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যেভাবে রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে, গর্ভের পেটের শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত সমবয়সীর জন্য এখন অভিশাপ হতেই পারে। সুতরাং বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে।