ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য লাঙল জোয়ালের হালচাষ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৮৩ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য লাঙল জোয়ালের হালচাষ। লাঙল জোয়াল, বলদ, মই, সেই সাথে পুরনো পদ্ধতির হালচাষ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কালের বিবর্তনে এখন আর সেই পুরনো বাপ দাদার পদ্ধতিতে হালচাষ করতে দেখা যাচ্ছে না। উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে সব জায়গায় পুরনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে বর্তমান যুগে এখন কলের লাঙল দিয়ে চলছে চাষাবাদ, মই দেয়া এবং কৃষি জমি আঁচড়ানোর কাজ চলতে দেখা গেছে। মনে হচ্ছে কৃষি জমির নিড়ানির কাজটাও যদি তারা করতে পারতো তা হলে কাস্তের পরিবর্তে যন্ত্র দিয়ে সেই কাজটিও করে নিতে পারতো। এ ছাড়া ধান মাড়াইয়ের কাজ বর্তমানে যান্ত্রিক ভাবেই করা হচ্ছে। কোন এক সময় উপজেলার অনেক কৃষকদের ঘোয়াল ভরা গরু ছিল, এখন আর তা নেই বললেই চলে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১৯৯৬- ৯৭ সালে শুরুর দিকে এ উপজেলায় হালচাষের জন্য প্রথম ট্রাক্টর নামে ছোট্ট একটি যন্ত্র এলাকায় আবির্ভাব ঘটে। এর পর থেকে এই যন্ত্রটি দিয়ে শুরু হয় হালচাষ। দেখতে দেখতে এই যন্ত্রটির প্রসার বিস্তার লাভ করে এ এলাকায়। এই যন্ত্র দিয়ে একই সঙ্গে চলে হাল বাওয়া, জমিতে মই দেয়া, জমি আঁচড়নো সহ বিভিন্ন কাজকর্ম। এর পর থেকে ধীরে ধীরে হালচাষ, ধান মাড়ানো,ধান কাটা,ঘাস কাটা,ধান রোপণ, এ সব কাজকর্ম চলছে মেশিনের সাহায্যে। ফলে পুরনো পদ্ধতিতে কৃষি কাজের জন্য ব্যবহার করা লাঙল, জোয়াল, হালের বলদ,মই, আঁচড়া, কাস্তে, গরুর মুখের হুফা এ সব দ্রব্য গুলো কালের বিবর্তনে হাড়িয়ে যাচ্ছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। তাই তিনি কৃষকদের কষ্ট ও কম সময়ে যাতে তাদের কৃষি কাজ করতে পারে সেই জন্য ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি, সার বীজ ও কীটনাশক বিনামূল্যে দেয়ার কারনে বাংলার কৃষক সহজতর ভাবে কৃষিকাজ করতে পারছে, সেই কারনেই পুরনো পদ্ধতি বাদ বর্তমান যান্ত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা কৃষিকাজ করছে। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান এর সাথে এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমান সরকার কৃষকদের কষ্ট ও কম সময়ে কি ভাবে তাদের জমিতে কৃষিকাজ করতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কৃষকদের কে যান্ত্রিকভাবে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের কে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি এবং নিয়মিত কৃষকদের কে কি ভাবে কম কষ্টে কম সময়ে তারা চাষাবাদ করতে পারে এ মর্মে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য লাঙল জোয়ালের হালচাষ

আপডেট সময় ০৪:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

লাখাইয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্য লাঙল জোয়ালের হালচাষ। লাঙল জোয়াল, বলদ, মই, সেই সাথে পুরনো পদ্ধতির হালচাষ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কালের বিবর্তনে এখন আর সেই পুরনো বাপ দাদার পদ্ধতিতে হালচাষ করতে দেখা যাচ্ছে না। উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে সব জায়গায় পুরনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে বর্তমান যুগে এখন কলের লাঙল দিয়ে চলছে চাষাবাদ, মই দেয়া এবং কৃষি জমি আঁচড়ানোর কাজ চলতে দেখা গেছে। মনে হচ্ছে কৃষি জমির নিড়ানির কাজটাও যদি তারা করতে পারতো তা হলে কাস্তের পরিবর্তে যন্ত্র দিয়ে সেই কাজটিও করে নিতে পারতো। এ ছাড়া ধান মাড়াইয়ের কাজ বর্তমানে যান্ত্রিক ভাবেই করা হচ্ছে। কোন এক সময় উপজেলার অনেক কৃষকদের ঘোয়াল ভরা গরু ছিল, এখন আর তা নেই বললেই চলে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ১৯৯৬- ৯৭ সালে শুরুর দিকে এ উপজেলায় হালচাষের জন্য প্রথম ট্রাক্টর নামে ছোট্ট একটি যন্ত্র এলাকায় আবির্ভাব ঘটে। এর পর থেকে এই যন্ত্রটি দিয়ে শুরু হয় হালচাষ। দেখতে দেখতে এই যন্ত্রটির প্রসার বিস্তার লাভ করে এ এলাকায়। এই যন্ত্র দিয়ে একই সঙ্গে চলে হাল বাওয়া, জমিতে মই দেয়া, জমি আঁচড়নো সহ বিভিন্ন কাজকর্ম। এর পর থেকে ধীরে ধীরে হালচাষ, ধান মাড়ানো,ধান কাটা,ঘাস কাটা,ধান রোপণ, এ সব কাজকর্ম চলছে মেশিনের সাহায্যে। ফলে পুরনো পদ্ধতিতে কৃষি কাজের জন্য ব্যবহার করা লাঙল, জোয়াল, হালের বলদ,মই, আঁচড়া, কাস্তে, গরুর মুখের হুফা এ সব দ্রব্য গুলো কালের বিবর্তনে হাড়িয়ে যাচ্ছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। তাই তিনি কৃষকদের কষ্ট ও কম সময়ে যাতে তাদের কৃষি কাজ করতে পারে সেই জন্য ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি, সার বীজ ও কীটনাশক বিনামূল্যে দেয়ার কারনে বাংলার কৃষক সহজতর ভাবে কৃষিকাজ করতে পারছে, সেই কারনেই পুরনো পদ্ধতি বাদ বর্তমান যান্ত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা কৃষিকাজ করছে। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান এর সাথে এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমান সরকার কৃষকদের কষ্ট ও কম সময়ে কি ভাবে তাদের জমিতে কৃষিকাজ করতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কৃষকদের কে যান্ত্রিকভাবে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের কে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি এবং নিয়মিত কৃষকদের কে কি ভাবে কম কষ্টে কম সময়ে তারা চাষাবাদ করতে পারে এ মর্মে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি।