ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন -প্রধান উপদেষ্টা স্বস্তির ঈদ যাত্রায় সন্তুষ্ট সিলেটবাসি পানি বন্দি মানুয়ের মাঝে চাউল বিতরণ জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২ 

হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • / ৮৬ বার পড়া হয়েছে

সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন – সবচেয়ে ভয়ংকর ফ্যাসিস্টকে উৎখাত করা হয়েছে। অনেক বলে এ ফ্যাসিস্টকে উৎখাতে দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। হতে পারে, কারণ বিগত সাড়ে পনেরটা বছর দেশ পুরোপুরি ভারতের কব্জায় ছিল। সেটা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি।

এ-ই জুলাই অভ্যূত্থানে যে সরকার এসেছে এসরকার নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাতে আরও দুটি দায়িত্ব এসে পড়েছে। এ-ই যে পনেরশ মানুষ শেখ হাসিনা হত্যা করেছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। চোখ নাই। হাত নাই। পা নাই। এই মানুষ গুলি একটা বিচার চায়। আর বিগত সাড়ে পনের বছরে হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে। একেবারে সরকারি কর্মকর্তা,পুলিশ, সেনাবাহিনী, সুপ্রিম কোর্ট,অধীনস্থ আদালত পর্যন্ত কোথাও বাকি ছিল না। সব নন্ট করে আওয়ামী পন্থী করে দিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যাতে এধরণের কাজ কেউ করতে না পারে সেজন্য সংস্কারগুলি হাতে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলো খুবই ভালো।

 

তিনি বলেন,সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া বাকি যা সংস্কার যতগুলি যেমন পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতিদমন,বিচারালয় আর যা যা করা হয়েছে সব গ্রহণযোগ্য এবং এগুলি চাইলে এক থেকে দুইমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করে নেয়া যায়।
নাসের রহমান বলেন, আজকাল দেশে নির্বাচন নিয়ে বেশি মাতামাতি হচ্ছে। মফস্বল টাউন গ্রামাঞ্চল যারা থাকেন তারা সবাই নির্বাচন চান। আর শহরের ভিতরে যারার মোবাইল ফোন আছে, এদের একটি অংশ যাদের ফেসবুক আছে ওই ফেসবুক ওয়ালারা দেশে নির্বাচন চান না। ফেসবুক খুলে কমেন্টে দেখবেন তারা নির্বাচন চায় না তারা পাঁচবছর ডক্টর ইউনুস কে চায় বলে কমেন্ট করে পোস্ট করে। এরা হলো ফেসবুক ভোটার।


নাসের বলেন,দেশের মোট ভোটার হলেন সাড়ে ১২ কোটি। আর ফেসবুক ভোটার হচ্ছে ৫০ লাখ বা আরও কম। এর মধ্যে একটি অংশ সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। তাহলে ১২ কোটির ওপরে যেসব ভোটার রয়েছেন তার তো কোন কথা বলেননি। তারা কি কেউ ফেসবুকে বলেছেন যে আমি নির্বাচন চাই না। আসলে নির্বাচন দেশের মানুষ সবাই চায়। কারণ বিগত সাড়ে পনের বছর দেশের মানুষ তাদের ভোট দিতে পারেনি। তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারেনি।

তিনি বলেন,অন্তর্বর্তী কালীন সরকার বলতে বুঝায় ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর। এর বেশি না। এর বেশি হলে এটা অন্তর্বতীকালীন সরকার নয়। এটাকে অন্য কোনো সরকারের নাম দিতে হবে।

নির্বাচন ডিসেম্বরে না হওয়ার কোন কারণ নাই। দেশের প্রায় সবদল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। কিন্তু ডক্টর ইউনুস এব্যাপারে চুপ। তিনি শুধু বলেন ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন। জুনের একদিন পরে যাবেন না। কিন্তু তিনি রোডম্যাপ দিতে চাচ্ছেন না। সেজন্য দ্বন্দ্বটা লেগেছে। তিনি শুধু নির্বাচনের মাসটা বলে দিলেই তো সব ঝামেলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি তা করছেন না।

নাসের বলেন,বাচ্চাদের একটা দল আছে। ন্যাশনাল চিলড্রেনস পার্টি। জাতীয় শিশু পার্টি। এই শিশু পার্টিদের সবাইর বয়স হল ২৭ থেকে ২৮। তারা যে একেকজন যে একেক কথা বলে মনে হয় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক,হোসেন সরওয়ার্দী,মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে হার মানাবে। এসব কথা তো ২৭ / ২৮ বছরের ছেলেদের মুখ থেকে বের হওয়ার কথা না। আমি খুঁজে বের করলাম,এরা হল মাউথ পিস। এদের পিছনে দুই চারজন তাত্বিক লোক আছেন । তারা আগে শিখিয়ে বলে দেয় কখন কোন কথা বলতে। এরা হল দাবা খেলার গুটি। এই বাচ্চা পার্টিকে দলগঠনে সুবিধা দিতে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা সরকারে ভেতরে থেকে দল বানিয়ে নির্বাচনে সুবিধা নিতে চায়। এদের যতই হৃষ্টপুষ্ট করা হয় তারপরও কোন ভোট পাবে না।
বুধবার (৪ জুন) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক বিধান চন্দ্র দে’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আবেদ রাজা, আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু।
এতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হোসেন খান,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল জামাল,আহবায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ চৌধুরী ও হারুন মিয়া প্রমুখ।

 

এর আগে অতিথিদের সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খাঁন।
সম্মেলন শেষে কাউন্সিলে গোপন ব্যালেটে আগামী দুই বছরের জন্য সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী সভাপতি, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান হেলাল সাধারণ সম্পাদক এবং আহরারুজ্জান আকরার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান

আপডেট সময় ০২:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন – সবচেয়ে ভয়ংকর ফ্যাসিস্টকে উৎখাত করা হয়েছে। অনেক বলে এ ফ্যাসিস্টকে উৎখাতে দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। হতে পারে, কারণ বিগত সাড়ে পনেরটা বছর দেশ পুরোপুরি ভারতের কব্জায় ছিল। সেটা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি।

এ-ই জুলাই অভ্যূত্থানে যে সরকার এসেছে এসরকার নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাতে আরও দুটি দায়িত্ব এসে পড়েছে। এ-ই যে পনেরশ মানুষ শেখ হাসিনা হত্যা করেছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। চোখ নাই। হাত নাই। পা নাই। এই মানুষ গুলি একটা বিচার চায়। আর বিগত সাড়ে পনের বছরে হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে। একেবারে সরকারি কর্মকর্তা,পুলিশ, সেনাবাহিনী, সুপ্রিম কোর্ট,অধীনস্থ আদালত পর্যন্ত কোথাও বাকি ছিল না। সব নন্ট করে আওয়ামী পন্থী করে দিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যাতে এধরণের কাজ কেউ করতে না পারে সেজন্য সংস্কারগুলি হাতে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলো খুবই ভালো।

 

তিনি বলেন,সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া বাকি যা সংস্কার যতগুলি যেমন পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতিদমন,বিচারালয় আর যা যা করা হয়েছে সব গ্রহণযোগ্য এবং এগুলি চাইলে এক থেকে দুইমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করে নেয়া যায়।
নাসের রহমান বলেন, আজকাল দেশে নির্বাচন নিয়ে বেশি মাতামাতি হচ্ছে। মফস্বল টাউন গ্রামাঞ্চল যারা থাকেন তারা সবাই নির্বাচন চান। আর শহরের ভিতরে যারার মোবাইল ফোন আছে, এদের একটি অংশ যাদের ফেসবুক আছে ওই ফেসবুক ওয়ালারা দেশে নির্বাচন চান না। ফেসবুক খুলে কমেন্টে দেখবেন তারা নির্বাচন চায় না তারা পাঁচবছর ডক্টর ইউনুস কে চায় বলে কমেন্ট করে পোস্ট করে। এরা হলো ফেসবুক ভোটার।


নাসের বলেন,দেশের মোট ভোটার হলেন সাড়ে ১২ কোটি। আর ফেসবুক ভোটার হচ্ছে ৫০ লাখ বা আরও কম। এর মধ্যে একটি অংশ সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। তাহলে ১২ কোটির ওপরে যেসব ভোটার রয়েছেন তার তো কোন কথা বলেননি। তারা কি কেউ ফেসবুকে বলেছেন যে আমি নির্বাচন চাই না। আসলে নির্বাচন দেশের মানুষ সবাই চায়। কারণ বিগত সাড়ে পনের বছর দেশের মানুষ তাদের ভোট দিতে পারেনি। তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারেনি।

তিনি বলেন,অন্তর্বর্তী কালীন সরকার বলতে বুঝায় ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর। এর বেশি না। এর বেশি হলে এটা অন্তর্বতীকালীন সরকার নয়। এটাকে অন্য কোনো সরকারের নাম দিতে হবে।

নির্বাচন ডিসেম্বরে না হওয়ার কোন কারণ নাই। দেশের প্রায় সবদল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। কিন্তু ডক্টর ইউনুস এব্যাপারে চুপ। তিনি শুধু বলেন ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন। জুনের একদিন পরে যাবেন না। কিন্তু তিনি রোডম্যাপ দিতে চাচ্ছেন না। সেজন্য দ্বন্দ্বটা লেগেছে। তিনি শুধু নির্বাচনের মাসটা বলে দিলেই তো সব ঝামেলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি তা করছেন না।

নাসের বলেন,বাচ্চাদের একটা দল আছে। ন্যাশনাল চিলড্রেনস পার্টি। জাতীয় শিশু পার্টি। এই শিশু পার্টিদের সবাইর বয়স হল ২৭ থেকে ২৮। তারা যে একেকজন যে একেক কথা বলে মনে হয় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক,হোসেন সরওয়ার্দী,মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে হার মানাবে। এসব কথা তো ২৭ / ২৮ বছরের ছেলেদের মুখ থেকে বের হওয়ার কথা না। আমি খুঁজে বের করলাম,এরা হল মাউথ পিস। এদের পিছনে দুই চারজন তাত্বিক লোক আছেন । তারা আগে শিখিয়ে বলে দেয় কখন কোন কথা বলতে। এরা হল দাবা খেলার গুটি। এই বাচ্চা পার্টিকে দলগঠনে সুবিধা দিতে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা সরকারে ভেতরে থেকে দল বানিয়ে নির্বাচনে সুবিধা নিতে চায়। এদের যতই হৃষ্টপুষ্ট করা হয় তারপরও কোন ভোট পাবে না।
বুধবার (৪ জুন) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক বিধান চন্দ্র দে’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আবেদ রাজা, আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু।
এতে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদরুল হোসেন খান,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল জামাল,আহবায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ চৌধুরী ও হারুন মিয়া প্রমুখ।

 

এর আগে অতিথিদের সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদোয়ান খাঁন।
সম্মেলন শেষে কাউন্সিলে গোপন ব্যালেটে আগামী দুই বছরের জন্য সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী সভাপতি, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান হেলাল সাধারণ সম্পাদক এবং আহরারুজ্জান আকরার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।