ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিমাংশু মোহন পাল স্যার : শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও প্রেরণায় সাহস জুগিয়েছেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪৮২ বার পড়া হয়েছে
ফয়সল আহমদ রুহেল:: শৈশব কেটেছে গ্রামের অন্য আট-দশটা সাধারণ ছেলের মতোই। সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। কর্মজীবনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের মধ্যদিয়ে জীবনের সঠিক পথ প্রদর্শনে সহায়তা করেন। শিক্ষার্থীদের মনের দরজা উন্মুক্ত করে তাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। প্রায় ২৭ বছর শিক্ষকতা জীবনে নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ, প্রজ্ঞা, ভালোবাসায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীর হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নেন। এমনই একজন গুণী শিক্ষক হিমাংশু মোহন পাল। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক।
জন্ম :
হিমাংশু মোহন পাল ১৯৫৩ সালের ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলাধীন ৭নং ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত শ্রীশ চন্দ্র পাল, মাতা মৃত সরমনি পাল।  হিমাংশু মোহন পাল স্যারের ভাইবোন ৫ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনি ৩য়।
শিক্ষাজীবন 
তিনি ১৯৬১ সালে সরস্বতীবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৬ সালে ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯৭২ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অত্র বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
শিক্ষকতা জীবন :
হিমাংশু মোহন পাল স্যার ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারি জুনিয়র শিক্ষক হিসাবে মৌলভীবাজার জুড়ী উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিদ্যালয়ে ২৬ বছর ১০ মাস শিক্ষকতার পর সহকারী শিক্ষক পদ হতে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেন।
পারিবারিক :
হিমাংশু মোহন পাল স্যার ১৯৭৪ সালে শিক্ষা জীবন শেষ করেন। ১৯৮৫ সালে পারিবারিক চাপে বিবাহ সম্পন্ন করেন। শিক্ষকের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তারা হলেন- মিঠুন পাল, পূর্ণিমা রাণী পাল ও রুম্পি রাণী পাল।  তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করেন।
২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুনী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজার জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জুড়ী উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলার ১৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)।
উল্লেখ্য, ১৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।
হিমাংশু মোহন পাল স্যার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও প্রেরণায় সাহস জুগিয়েছেন। এগিয়ে যেতে শক্তি দিয়েছেন। এই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিমাংশু মোহন পাল শিক্ষার্থীদের কাছে যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। উপজেলার একজন শিক্ষাগুরু হিসেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিমাংশু মোহন পাল এর দীর্ঘ জীবন কামনা করি।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হিমাংশু মোহন পাল স্যার : শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও প্রেরণায় সাহস জুগিয়েছেন

আপডেট সময় ০১:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফয়সল আহমদ রুহেল:: শৈশব কেটেছে গ্রামের অন্য আট-দশটা সাধারণ ছেলের মতোই। সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। কর্মজীবনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানের মধ্যদিয়ে জীবনের সঠিক পথ প্রদর্শনে সহায়তা করেন। শিক্ষার্থীদের মনের দরজা উন্মুক্ত করে তাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। প্রায় ২৭ বছর শিক্ষকতা জীবনে নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ, প্রজ্ঞা, ভালোবাসায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীর হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নেন। এমনই একজন গুণী শিক্ষক হিমাংশু মোহন পাল। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক।
জন্ম :
হিমাংশু মোহন পাল ১৯৫৩ সালের ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলাধীন ৭নং ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত শ্রীশ চন্দ্র পাল, মাতা মৃত সরমনি পাল।  হিমাংশু মোহন পাল স্যারের ভাইবোন ৫ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনি ৩য়।
শিক্ষাজীবন 
তিনি ১৯৬১ সালে সরস্বতীবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৬৬ সালে ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯৭২ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অত্র বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
শিক্ষকতা জীবন :
হিমাংশু মোহন পাল স্যার ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারি জুনিয়র শিক্ষক হিসাবে মৌলভীবাজার জুড়ী উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিদ্যালয়ে ২৬ বছর ১০ মাস শিক্ষকতার পর সহকারী শিক্ষক পদ হতে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেন।
পারিবারিক :
হিমাংশু মোহন পাল স্যার ১৯৭৪ সালে শিক্ষা জীবন শেষ করেন। ১৯৮৫ সালে পারিবারিক চাপে বিবাহ সম্পন্ন করেন। শিক্ষকের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তারা হলেন- মিঠুন পাল, পূর্ণিমা রাণী পাল ও রুম্পি রাণী পাল।  তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করেন।
২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুনী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজার জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জুড়ী উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলার ১৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)।
উল্লেখ্য, ১৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।
হিমাংশু মোহন পাল স্যার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও প্রেরণায় সাহস জুগিয়েছেন। এগিয়ে যেতে শক্তি দিয়েছেন। এই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিমাংশু মোহন পাল শিক্ষার্থীদের কাছে যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। উপজেলার একজন শিক্ষাগুরু হিসেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিমাংশু মোহন পাল এর দীর্ঘ জীবন কামনা করি।