হ্যাকারদের দৌরাত্যে বেকাযদায় কোটচাঁদপুরের ভাতাভোগীরা

- আপডেট সময় ০৯:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মঈন উদ্দিন খানঃ বিকাশ ও নগদ হ্যাকারদের দৌরাত্যে বেকাযদায় কোটচাঁদপুরের ভাতাভোগীরা। ফোন করে পিন নাম্বার চাওয়ায় ভাতার টাকা নিয়ে শংঙ্গায় আছেন তারা।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৫ শ ৫৫ জন ভাতাভোগী রয়েছে। তিন মাস পর পর মোবাইলে তাদেরকে দেয়া হয় ভাতার টাকা। আর এ টাকা দেয়ার সময় হলেই সক্রিয় হয়ে উঠেন বিকাশ ও নগদ হ্যাকাররা। ফোন করে ভাতাভোগীদের কাছে চাচ্ছেন পিন নাম্বার। না দিলে ভাতা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে তাদের।
এদের একজন কোটচাঁদপুর তালসার গ্রামের আব্দুল সাত্তার। তিনি বলেন,আমার মা আমেনা খাতুন। ওনার নতুন করে বিধবা ভাতার কার্ড হয়েছে। সোমবার রাতে হঠাৎ করে ফোন আসে 09638970688 নাস্বার থেকে। বলেন,আমি সমাজ সেবা অফিস থেকে বলছি। আপনি আপনাদের মোবাইলের পিন নাম্বারটা দেন। আপনার মায়ের টাকা এসেছে, পিন দিলে টাকা পাবেন।
একই ভাবে ওই নাম্বার থেকে ফোন করেন তালসার গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজুর কাছে। তিনি বলেন,রাত তখন ৯ টা বাজে। ওই নাম্বার থেকে ফোন করে বলেন আপনি কি ওয়াদুদ ভুইয়া বলছেন। আমি সমাজ সেবা অফিস থেকে বলছি। আপনার নামে টাকা এসেছে। পিন নাম্বার দিলে টাকা দিতাম আপনাদের।
আর এভাবে একাধিক ভাতা ভোগীদের কাছে ফোন করে পিন নাম্বার চাচ্ছেন হ্যাকাররা। বিষয় নিশ্চিত করেছেন,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ। তিনি বলেন, এ উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৫শ ৫৫ জন ভাতা ভোগী রয়েছে। যার মধ্যে বয়স্ক ভাতা পান ৬ হাজার ২শ ৬ জন,বিধবা ২ হাজার ৯শ ৭০ জন,প্রতিবন্ধী -৪ হাজার ৩শ ৭৯ জন।
যাদেরকে আমরা তিন মাস পর পর ভাতার টাকা দিয়ে থাকি। আর এ টাকা দেবার সময় হলেই হ্যাকারা সক্রিয় হয়ে উঠেন।
তিনি বলেন,আজ সকাল থেকে ৭/৮ জন ভাতা ভোগী অভিযোগে জানতে পেরেছি হ্যাকাররা টাকা নিতে তাদের কাছে পিন নাম্বার চান। তারা পিন নাম্বার না দিয়ে অফিসে আসেন।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,এখনো পর্যন্ত থানায় কোন জিডি বা অভিযোগ হয়নি। তবে এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে প্রায সময় ভুক্তভোগীরা আসেন। এ সব নিয়ে এর আগে অনেক জিডিও আছে থানায়।
