ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
লাখাইয়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করলেন এমপি আবু জাহির নারী শিক্ষা বিস্তারে সরকার প্রান্তিক এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে..এমপি নাদেল লাখাইয়ে রোখন হত্যা মামলার আসামী অষ্ট্রগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার – ১ ধর্ষনের অভিযোগে সরাফত গ্রেফতার ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি না বুঝে ভিজিট ভিসায় কানাডায় পাড়ি জমানো বাংলাদেশিরা এখন অসহায় লাখাইয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আনসার ও ভিডিপি’র সাথে মতবিনিময় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকসহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকসহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে শ্রীমঙ্গল দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

১২০ ভরি সোনা গায়েব:সিলেটে কর্মরত পুলিশ সুপার চাকরিচ্যুত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • / ৫৪০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক১২০ ভরি সোনা উদ্ধারের পর বিষয়টি চেপে গিয়ে সোনা কারবারির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়েছিল পুলিশ। সাড়ে পাঁচ বছর আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার এ ঘটনায় চাকরি হারিয়েছেন সিলেটে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট অঞ্চলে দায়িত্বরত আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণের তথ্য জানিয়ে গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে পরের বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক সোনা চোরাকারবারি আটক হন। তাঁর কাছ থেকে ১২০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছিল। পাটকেলঘাটা থানায় উদ্ধার করা সোনার জব্দ তালিকাও করা হয়েছিল।

তবে পরে সোনা চোরাচালানের মামলা না হয়ে এ ঘটনায় মাদকের মামলা রেকর্ড করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসপি আলতাফ হোসেন স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাজানোর বিষয়টি জানা সত্ত্বেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অসত্য প্রতিবেদন পাঠান তিনি।

পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যাও নেওয়া হয়। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করেন। সেখানে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

আলতাফ হোসেনের জবাব পর্যালোচনা করে তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আলতাফ হোসেনের চাকরিচ্যুতির ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর (খ) অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুতর দণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।

এ বিষয়ে কথা বলতে আলতাফ হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

১২০ ভরি সোনা গায়েব:সিলেটে কর্মরত পুলিশ সুপার চাকরিচ্যুত

আপডেট সময় ০৬:২০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক১২০ ভরি সোনা উদ্ধারের পর বিষয়টি চেপে গিয়ে সোনা কারবারির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়েছিল পুলিশ। সাড়ে পাঁচ বছর আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার এ ঘটনায় চাকরি হারিয়েছেন সিলেটে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট অঞ্চলে দায়িত্বরত আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণের তথ্য জানিয়ে গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে পরের বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক সোনা চোরাকারবারি আটক হন। তাঁর কাছ থেকে ১২০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছিল। পাটকেলঘাটা থানায় উদ্ধার করা সোনার জব্দ তালিকাও করা হয়েছিল।

তবে পরে সোনা চোরাচালানের মামলা না হয়ে এ ঘটনায় মাদকের মামলা রেকর্ড করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসপি আলতাফ হোসেন স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাজানোর বিষয়টি জানা সত্ত্বেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অসত্য প্রতিবেদন পাঠান তিনি।

পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যাও নেওয়া হয়। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করেন। সেখানে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

আলতাফ হোসেনের জবাব পর্যালোচনা করে তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আলতাফ হোসেনের চাকরিচ্যুতির ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর (খ) অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুতর দণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।

এ বিষয়ে কথা বলতে আলতাফ হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।