ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে ডিবির বিশেষ অভিযান বিদেশী মদসহ যুবক আ/ট/ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের কোনোভাবে স্থান দেয়ার সুযোগ নেই’ বিএনপির কর্মী সমাবেশে… ময়ূন পীচ কিউরেটর শাহজান এর বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে দুই মাদক ব্যবসায়ী আ/ট/ক বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট আহবায়ক এড.রুনু সদস্য সচিব শ্যামলী নানা আয়োজনে মৌলভীবাজারে এনটিভি’র ২৩ বছরে পদার্পন শ্রীমঙ্গল ২৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএস মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ  আসামিকে জামিনের প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রে/ফ/তা/র ইউএনডিপির স্টোরি টেলিং অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মৌলভীবাজারের সিপন দেব

২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৮৮ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ বছরের ৬ মাস জলমগ্ন থাকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। ফলে হাওর পাড়ের ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন তখন নৌকা। সেই নৌকা তৈরি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি করেন তারা।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামটিতে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে কাঠের নৌকা। গ্রামের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রধান পেশা এই নৌকা তৈরি। তবে নৌকা তৈরি করে ভাগ্য বদলায় না তাদের। নৌকা বিক্রির সব টাকা মহাজনের পেটে যাওয়ায় লাভবান হতে পারেন না এখানকার কারিগররা।

প্রতিদিন ভোরে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের শিশুদের। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা।

 

এই গ্রামের একজন নৌকা তৈরির কারিগর মুসাইদ আলী। মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ছোট-বড় নৌকা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। তার নৌকাগুলো সুনামগঞ্জ-সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নদীতে কাজ করা শ্রমিকরা কিনে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পুকুরে মাছের খাবার দিতে, মাছ পরিবহনে, মাছ ধরতে ও বিভিন্ন খাল-বিল জলাশয়ে চলাচলের জন্য তার এসব নৌকা কিনে নিয়ে যান হাওর পাড়ের মানুষরা।
মুসাইদ আলী জানান, এই গ্রামের মানুষ নৌকা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করতে জানে না। আমিও ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না

শুধু মুসাইদ আলী নয়, এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত। প্রতি মাসে এই গ্রাম থেকে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক নৌকা বিক্রি করেন কারিগররা। প্রতিটি নৌকা ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
গ্রামের নৌকার কারিগররা জানান, মাইজবাড়ি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুগের পর যুগ নৌকা তৈরি করেও ভাগ্য বদলায় না এ গ্রামের বাসিন্দাদের। সরকার যদি এই গ্রামের মানুষদের ব্যাংক লোন সহজ করে দিতো তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারতেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

আপডেট সময় ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্টঃ বছরের ৬ মাস জলমগ্ন থাকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। ফলে হাওর পাড়ের ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন তখন নৌকা। সেই নৌকা তৈরি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি করেন তারা।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামটিতে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে কাঠের নৌকা। গ্রামের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রধান পেশা এই নৌকা তৈরি। তবে নৌকা তৈরি করে ভাগ্য বদলায় না তাদের। নৌকা বিক্রির সব টাকা মহাজনের পেটে যাওয়ায় লাভবান হতে পারেন না এখানকার কারিগররা।

প্রতিদিন ভোরে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের শিশুদের। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা।

 

এই গ্রামের একজন নৌকা তৈরির কারিগর মুসাইদ আলী। মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ছোট-বড় নৌকা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। তার নৌকাগুলো সুনামগঞ্জ-সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নদীতে কাজ করা শ্রমিকরা কিনে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পুকুরে মাছের খাবার দিতে, মাছ পরিবহনে, মাছ ধরতে ও বিভিন্ন খাল-বিল জলাশয়ে চলাচলের জন্য তার এসব নৌকা কিনে নিয়ে যান হাওর পাড়ের মানুষরা।
মুসাইদ আলী জানান, এই গ্রামের মানুষ নৌকা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করতে জানে না। আমিও ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না

শুধু মুসাইদ আলী নয়, এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত। প্রতি মাসে এই গ্রাম থেকে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক নৌকা বিক্রি করেন কারিগররা। প্রতিটি নৌকা ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
গ্রামের নৌকার কারিগররা জানান, মাইজবাড়ি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুগের পর যুগ নৌকা তৈরি করেও ভাগ্য বদলায় না এ গ্রামের বাসিন্দাদের। সরকার যদি এই গ্রামের মানুষদের ব্যাংক লোন সহজ করে দিতো তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারতেন।