ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও হালাল: গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃ/ত্যু,চিকিৎসাধীন দুই শিশু রেলওয়ে সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সড়ক দুর্ঘটনায় নি/হ/ত প্রবাসীদের কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে পালকপুত্র গ্রে/ফ/তা র কোটচাঁদপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন সিলেট রেলপথে অব্যবস্থা ও বৈষম্য: সংস্কার এখন সময়ের দাবি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ও সমর্থন নিশ্চিত করল ডিনেট কলেজ পর্যায়ে গুণী শিক্ষক সম্মাননা পেলেন মোছাম্মাৎ আমিনা বেগম কমলগঞ্জে ব জ্র পা তে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের মৃ/ত্যু সেনাবাহিনী ও বিজিবি এর যৌথ অভিযানে মৌলভীবাজারে অবৈধ পণ্য জব্দ

২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৯৬০ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্টঃ বছরের ৬ মাস জলমগ্ন থাকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। ফলে হাওর পাড়ের ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন তখন নৌকা। সেই নৌকা তৈরি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি করেন তারা।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামটিতে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে কাঠের নৌকা। গ্রামের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রধান পেশা এই নৌকা তৈরি। তবে নৌকা তৈরি করে ভাগ্য বদলায় না তাদের। নৌকা বিক্রির সব টাকা মহাজনের পেটে যাওয়ায় লাভবান হতে পারেন না এখানকার কারিগররা।

প্রতিদিন ভোরে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের শিশুদের। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা।

 

এই গ্রামের একজন নৌকা তৈরির কারিগর মুসাইদ আলী। মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ছোট-বড় নৌকা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। তার নৌকাগুলো সুনামগঞ্জ-সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নদীতে কাজ করা শ্রমিকরা কিনে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পুকুরে মাছের খাবার দিতে, মাছ পরিবহনে, মাছ ধরতে ও বিভিন্ন খাল-বিল জলাশয়ে চলাচলের জন্য তার এসব নৌকা কিনে নিয়ে যান হাওর পাড়ের মানুষরা।
মুসাইদ আলী জানান, এই গ্রামের মানুষ নৌকা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করতে জানে না। আমিও ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না

শুধু মুসাইদ আলী নয়, এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত। প্রতি মাসে এই গ্রাম থেকে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক নৌকা বিক্রি করেন কারিগররা। প্রতিটি নৌকা ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
গ্রামের নৌকার কারিগররা জানান, মাইজবাড়ি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুগের পর যুগ নৌকা তৈরি করেও ভাগ্য বদলায় না এ গ্রামের বাসিন্দাদের। সরকার যদি এই গ্রামের মানুষদের ব্যাংক লোন সহজ করে দিতো তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারতেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

আপডেট সময় ১২:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্টঃ বছরের ৬ মাস জলমগ্ন থাকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকা। ফলে হাওর পাড়ের ১০ লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন তখন নৌকা। সেই নৌকা তৈরি করতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি করেন তারা।

জানা যায়, জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামটিতে কয়েক যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে কাঠের নৌকা। গ্রামের প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রধান পেশা এই নৌকা তৈরি। তবে নৌকা তৈরি করে ভাগ্য বদলায় না তাদের। নৌকা বিক্রির সব টাকা মহাজনের পেটে যাওয়ায় লাভবান হতে পারেন না এখানকার কারিগররা।

প্রতিদিন ভোরে হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের শিশুদের। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে নৌকার কারিগরদের ব্যস্ততা।

 

এই গ্রামের একজন নৌকা তৈরির কারিগর মুসাইদ আলী। মহাজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ছোট-বড় নৌকা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। তার নৌকাগুলো সুনামগঞ্জ-সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নদীতে কাজ করা শ্রমিকরা কিনে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পুকুরে মাছের খাবার দিতে, মাছ পরিবহনে, মাছ ধরতে ও বিভিন্ন খাল-বিল জলাশয়ে চলাচলের জন্য তার এসব নৌকা কিনে নিয়ে যান হাওর পাড়ের মানুষরা।
মুসাইদ আলী জানান, এই গ্রামের মানুষ নৌকা তৈরি ছাড়া আর কোনো কাজ করতে জানে না। আমিও ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছি। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি না

শুধু মুসাইদ আলী নয়, এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ নৌকা তৈরির কাজে নিয়োজিত। প্রতি মাসে এই গ্রাম থেকে ছোট-বড় প্রায় চার শতাধিক নৌকা বিক্রি করেন কারিগররা। প্রতিটি নৌকা ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা।
গ্রামের নৌকার কারিগররা জানান, মাইজবাড়ি নৌকার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু যুগের পর যুগ নৌকা তৈরি করেও ভাগ্য বদলায় না এ গ্রামের বাসিন্দাদের। সরকার যদি এই গ্রামের মানুষদের ব্যাংক লোন সহজ করে দিতো তাহলে তারা অনেক লাভবান হতে পারতেন।