ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুরে নতুন কুড়ি গানের প্রতিযোগিতায়  সেরা পাঁচে জায়গায় করে নিয়েছেন তরিতা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে নানা আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন মৌলভীবাজারে “তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প” শিরোনামে জেলা সম্মেলন মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ঢালিউড অভিনেত্রী তানজিন তিশা প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে: মৌলভীবাজারে প্রেমিক গ্রে ফ তা র জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সহ পাঁচ দাবিতে মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি প্রদান তিন মন্ত্রণালয়ে সচিব বদলি পথসভার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ‘কলিজা ছিঁড়ে ফেলার’হুমকি সারজিসের

২৯ বছর আগে সালমান শাহ শিল্পীদের নিয়ে যা বলেছিলেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / ৭১৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা সন ১৩৯৯ -এর একবারে শেষপ্রান্তে ১৯৯৩ ইংরেজির মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের সিনেমার রাজপুত্তুর, বাংলাদেশের সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ ও প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী অভিনীত সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত (ভারতের আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত নাসির হোসেইনের গল্পে মানসুর খান পরিচালিত কেয়ামত সে কেয়ামত তাক সিনেমার গল্পের আদলে নির্মিত) ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমাটি।

সিনেমাটি মুক্তির পরপরই সারা বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। সিনেমাটি মুক্তির কয়েকদিন পরই চলে আসে ১৪০০ বাংলা। ১৪০০ বাংলা উপলক্ষে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে শিল্পী ও পরিচালকদের মধ্যে ‘তারকা মেলা’র আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে শিল্পী ও পরিচালকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন ও আনন্দঘন সময় কাটানো।

পাশাপাশি বাংলা ১৪০০ সালকে বরণে করে নেয়া। সেই খেলায় অন্য অনেক শিল্পীর মধ্যে সালমান শাহও অংশ নিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি নবাগত নায়ক হিসেবে স্টেডিয়ামে উপস্থিত অনেক ভক্ত দেখে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তাকে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা এবং তার কাছ থেকে অটোগ্রাফ সংগ্রহকে ভীষণ উপভোগ করেন সালমান শাহ।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সালমান শাহ বলেছিলেন,‘ শিল্পীদের মধ্যে এইরকম সহযোগিতা, এইরকম আন্তরিকতা এবং ইউনিটি যেন সবসময় থাকে-আমি এটাই চাই। একজন শিল্পীর বিপদে যেন আরেকজন শিল্পী দৌড়ে আসি, এই ধরনের মানসিকতা যেন সবসময় থাকে।’ সালমান শাহ’র এই ভিডিও ক্লিপটি ইউটিউবে প্রকাশিত আছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান বাংলাদেশের সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র সালমান শাহ।

তাকেই অনুসরণ করে, তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশের সিনেমায় নিজেকে অনেকেই নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখনো তরুণরা ফ্যাশনে সালমান শাহ’কে অনুসরণ করেন। তার মৃত্যু পরবর্তীতে তার মতো এতো জনপ্রিয় আর কোন নায়ক হতে পারেননি।

মৃত্যুর ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং কেন তিনি এতো জনপ্রিয় আজও সেই রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে তার জনপ্রিয়তাই বেড়ে চলেছে। সালমান শাহ’র মৃত্যু এখনো তার ভক্ত দর্শকের কাছে রহস্য। অভিনয়ে যেমন দুর্দান্ত ছিলেন সালমান শাহ, ঠিক তেমিন ফ্যাশনে তিনি এতোটাই আধুনিকতার ছাপ রেখেছিলেন, যা আজও যেন নতুন। বাংলাদেশের সিনেমার ফ্যাশন আইকন বলা হয় তাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

২৯ বছর আগে সালমান শাহ শিল্পীদের নিয়ে যা বলেছিলেন

আপডেট সময় ০৩:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

বাংলা সন ১৩৯৯ -এর একবারে শেষপ্রান্তে ১৯৯৩ ইংরেজির মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের সিনেমার রাজপুত্তুর, বাংলাদেশের সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ ও প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী অভিনীত সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত (ভারতের আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত নাসির হোসেইনের গল্পে মানসুর খান পরিচালিত কেয়ামত সে কেয়ামত তাক সিনেমার গল্পের আদলে নির্মিত) ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমাটি।

সিনেমাটি মুক্তির পরপরই সারা বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। সিনেমাটি মুক্তির কয়েকদিন পরই চলে আসে ১৪০০ বাংলা। ১৪০০ বাংলা উপলক্ষে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে শিল্পী ও পরিচালকদের মধ্যে ‘তারকা মেলা’র আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে শিল্পী ও পরিচালকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন ও আনন্দঘন সময় কাটানো।

পাশাপাশি বাংলা ১৪০০ সালকে বরণে করে নেয়া। সেই খেলায় অন্য অনেক শিল্পীর মধ্যে সালমান শাহও অংশ নিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি নবাগত নায়ক হিসেবে স্টেডিয়ামে উপস্থিত অনেক ভক্ত দেখে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তাকে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা এবং তার কাছ থেকে অটোগ্রাফ সংগ্রহকে ভীষণ উপভোগ করেন সালমান শাহ।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সালমান শাহ বলেছিলেন,‘ শিল্পীদের মধ্যে এইরকম সহযোগিতা, এইরকম আন্তরিকতা এবং ইউনিটি যেন সবসময় থাকে-আমি এটাই চাই। একজন শিল্পীর বিপদে যেন আরেকজন শিল্পী দৌড়ে আসি, এই ধরনের মানসিকতা যেন সবসময় থাকে।’ সালমান শাহ’র এই ভিডিও ক্লিপটি ইউটিউবে প্রকাশিত আছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান বাংলাদেশের সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র সালমান শাহ।

তাকেই অনুসরণ করে, তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশের সিনেমায় নিজেকে অনেকেই নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখনো তরুণরা ফ্যাশনে সালমান শাহ’কে অনুসরণ করেন। তার মৃত্যু পরবর্তীতে তার মতো এতো জনপ্রিয় আর কোন নায়ক হতে পারেননি।

মৃত্যুর ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং কেন তিনি এতো জনপ্রিয় আজও সেই রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে তার জনপ্রিয়তাই বেড়ে চলেছে। সালমান শাহ’র মৃত্যু এখনো তার ভক্ত দর্শকের কাছে রহস্য। অভিনয়ে যেমন দুর্দান্ত ছিলেন সালমান শাহ, ঠিক তেমিন ফ্যাশনে তিনি এতোটাই আধুনিকতার ছাপ রেখেছিলেন, যা আজও যেন নতুন। বাংলাদেশের সিনেমার ফ্যাশন আইকন বলা হয় তাকে।