ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
হিথ্রো বিমানবন্দরে নাসের রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা মৌলভীবাজারে ঢাকা ব্যাংকের “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ আর্থিক স্বাক্ষরতা নিশ্চিতে তরুণদের সম্পৃক্ততার আহ্বান ২০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল কমলগঞ্জে ভূঁইয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের মনু-ধলই ভ্যালি কমিটি গঠন মৌলভীবাজারে রেস্টুরেন্টে প্রেমিকা নিয়ে আ ট ক স্কুল ছাত্র,অতঃপর.. ইউএনওর গাড়ি চাপায় প্রাণ গেল ফরিদ মিয়ার জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বৃক্ষরোপন কর্মসূচি কুলাউড়ার মেয়ে শিক্ষিকা মিলির’র ঝুলন্ত লা/শ সিলেটে উদ্ধার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অ ব রো ধ, যান চলাচল বন্ধ আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ : দেখা যাবে বাংলাদেশেও

এরশাদ শিকদারের সেই ‘স্বর্ণকমল’ ভাঙা হচ্ছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুলনার খুনি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সেই বহুল আলোচিত বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’। তবে দোতলা বাড়ির পুরোটা নয়, ভাঙা হচ্ছে অর্ধেকের মতো অংশ। এ ছাড়া পুরোনো ছোট্ট তিনতলা বাড়ির পুরোটাই এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভেঙে ফেলা বাড়ির স্থানে নতুন করে ১০ তলা বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এরশাদ শিকদারের সন্তানদের।

নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার ১৩৫ নম্বর মজিদ সরণির স্বর্ণকমল বাড়ির সামনে উৎসুক মানুষের ভিড়। তাঁরা দাঁড়িয়ে বাড়িটি ভাঙার কার্যক্রম দেখছেন। কেন, কী কারণে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বাড়ির গেটে ভেতর থেকে তালা দেওয়া। দোতলার মূল ভবনের ছাদে বড় হাতুড়ি ও ড্রিল মেশিনসহ যন্ত্রপাতি দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ করছেন চার শ্রমিক। দোতলার মূল ভবনের সামনে ছোট্ট যে পুরোনো তিনতলা ভবন ছিল, সেটি আগেই পুরোপুরি ভাঙা হয়ে গেছে। সেই স্থানে পড়ে আছে ইটসহ ভাঙা ভবনের কিছু অংশ।

গেট খোলার অনুরোধ জানালেও শ্রমিকরা সাফ জানিয়ে দেন, বাড়ির বাসিন্দাদের নিষেধ আছে। তাদের ডাকাডাকি করা হলেও কেউ ঘর থেকে বাইরে আসেননি। দোতলার মূল ভবনের নিচতলায় কয়েকজনের কথোপকথন শোনা গেলেও তারা কেউ ডাকে সাড়া দেননি।

এরশাদ শিকদারের মেজো ছেলে কামাল শিকদার মোবাইল ফোনে জানান, মজিদ সরণিতে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ১০ কাঠা জমির ওপর তাদের একটি পুরোনো তিনতলা এবং আরেকটি দোতলা বাড়ি ছিল। দোতলা ভবনটির নামই মূলত ‘স্বর্ণকমল’। কয়েকদিন আগে তাঁরা পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন। এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে।

১০ কাঠা জমির মধ্যে ৫ কাঠা জমি তার বাবা এরশাদ শিকদারের নামে এবং ৫ কাঠা তার মা খোদেজা বেগমের নামে। তার মায়ের নামে যে অংশ মূলত সেই অংশের স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। ওই ৫ কাঠা জমির ওপর ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

২০০৪ সালের ১০ মে হত্যা মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক হত্যা, অসংখ্য ধর্ষণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা ছিল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এরশাদ শিকদারের সেই ‘স্বর্ণকমল’ ভাঙা হচ্ছে

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুলনার খুনি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সেই বহুল আলোচিত বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’। তবে দোতলা বাড়ির পুরোটা নয়, ভাঙা হচ্ছে অর্ধেকের মতো অংশ। এ ছাড়া পুরোনো ছোট্ট তিনতলা বাড়ির পুরোটাই এরই মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভেঙে ফেলা বাড়ির স্থানে নতুন করে ১০ তলা বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এরশাদ শিকদারের সন্তানদের।

নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার ১৩৫ নম্বর মজিদ সরণির স্বর্ণকমল বাড়ির সামনে উৎসুক মানুষের ভিড়। তাঁরা দাঁড়িয়ে বাড়িটি ভাঙার কার্যক্রম দেখছেন। কেন, কী কারণে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বাড়ির গেটে ভেতর থেকে তালা দেওয়া। দোতলার মূল ভবনের ছাদে বড় হাতুড়ি ও ড্রিল মেশিনসহ যন্ত্রপাতি দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ করছেন চার শ্রমিক। দোতলার মূল ভবনের সামনে ছোট্ট যে পুরোনো তিনতলা ভবন ছিল, সেটি আগেই পুরোপুরি ভাঙা হয়ে গেছে। সেই স্থানে পড়ে আছে ইটসহ ভাঙা ভবনের কিছু অংশ।

গেট খোলার অনুরোধ জানালেও শ্রমিকরা সাফ জানিয়ে দেন, বাড়ির বাসিন্দাদের নিষেধ আছে। তাদের ডাকাডাকি করা হলেও কেউ ঘর থেকে বাইরে আসেননি। দোতলার মূল ভবনের নিচতলায় কয়েকজনের কথোপকথন শোনা গেলেও তারা কেউ ডাকে সাড়া দেননি।

এরশাদ শিকদারের মেজো ছেলে কামাল শিকদার মোবাইল ফোনে জানান, মজিদ সরণিতে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ১০ কাঠা জমির ওপর তাদের একটি পুরোনো তিনতলা এবং আরেকটি দোতলা বাড়ি ছিল। দোতলা ভবনটির নামই মূলত ‘স্বর্ণকমল’। কয়েকদিন আগে তাঁরা পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন। এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে।

১০ কাঠা জমির মধ্যে ৫ কাঠা জমি তার বাবা এরশাদ শিকদারের নামে এবং ৫ কাঠা তার মা খোদেজা বেগমের নামে। তার মায়ের নামে যে অংশ মূলত সেই অংশের স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। ওই ৫ কাঠা জমির ওপর ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

২০০৪ সালের ১০ মে হত্যা মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক হত্যা, অসংখ্য ধর্ষণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা ছিল।