ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়ায় ছেলেকে মিথ্যা মামালা থেকে বাঁচাতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন জুড়ীতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্টিত লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আছকির মিয়ার মনোনয়নপত্র স্থগিত কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে তীব্র জনবল সংকট,ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা বীরমুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: বিদ্যুৎহীন মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগ জমি নিয়ে হয়রানির ক্ষোভে চাচাতো ভাইকে হত্য

জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র জনবল সংকটে বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে ৫০ শয্যার হলেও ৩১ শয্যার জনবল ও উপকরণ না থাকায় মারাত্বকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ দশ বছর পর উপজেলার বাছিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার (দালিলিক ভাবে) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্টান। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি সেটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ৫০ শয্যা নয়, ৩১ শয্যার প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় বছরাধিককাল ধরে জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু হয়নি। এরপর অনেক কিছু না থাকার মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু করা হয়।

প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় চতুর্থ তলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। হাসপাতালে আগত রোগীর রক্ত, বমি, প্রস্রাব, পায়খানা পরিস্কার করার লোকবল না থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন।

কারিগরের অভাবে অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়ায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। রোগীরাও চাহিদামত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবল ও মালামালের অভাবে সংকট এড়াতে রোগীদের মৌলভীবাজার কিংবা সিলেট পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এতে করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে,  সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে, পড়ছেন ভোগান্তিতে। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির কোন ব্যবস্থা।

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিত সিংহ জানান, হাসপাতালে ৫০ শয্যার ক্ষেত্রে কোন বরাদ্দ নেই। ৩১ শয্যারও পর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ নেই। হাসপাতালে সৃজনকৃত ৬৭টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ১, মেডিকেল অফিসার ১, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৮, মিডওয়াইফ ১, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব ও রেডিও) ২, ফার্মাসিস্ট ১, পরিসংখ্যানবিদ ১, ক্যাশিয়ার ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১, জুনিয়র মেকানিক ১, অফিস সহায়ক ১, ওয়ার্ড বয় ১, আয়া ২, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩, বাবুর্চি ২ জনসহ মোট ৩৮টি পদ শুন্য রয়েছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হস্তান্তর পুর্ববর্তী ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৮ শত ৭৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল ঠিকাদারের নিকট পাওনা ছিল। সে জটিলতা আমরা ইতিমধ্যে নিরসন করেছি। হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির জন্য দ্রুত একটি গভীর নলকুপ স্থাপন এবং জনবল সংকটসহ সকল সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র জনবল সংকটে বেহাল দশা

আপডেট সময় ০১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে ৫০ শয্যার হলেও ৩১ শয্যার জনবল ও উপকরণ না থাকায় মারাত্বকভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ দশ বছর পর উপজেলার বাছিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যার (দালিলিক ভাবে) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্টান। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি সেটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ৫০ শয্যা নয়, ৩১ শয্যার প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় বছরাধিককাল ধরে জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু হয়নি। এরপর অনেক কিছু না থাকার মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু করা হয়।

প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় চতুর্থ তলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। হাসপাতালে আগত রোগীর রক্ত, বমি, প্রস্রাব, পায়খানা পরিস্কার করার লোকবল না থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছেন।

কারিগরের অভাবে অপারেশন থিয়েটার ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়ায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। রোগীরাও চাহিদামত সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবল ও মালামালের অভাবে সংকট এড়াতে রোগীদের মৌলভীবাজার কিংবা সিলেট পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এতে করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে,  সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে, পড়ছেন ভোগান্তিতে। নেই বিশুদ্ধ খাবার পানির কোন ব্যবস্থা।

 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিত সিংহ জানান, হাসপাতালে ৫০ শয্যার ক্ষেত্রে কোন বরাদ্দ নেই। ৩১ শয্যারও পর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ নেই। হাসপাতালে সৃজনকৃত ৬৭টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ১, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ১, মেডিকেল অফিসার ১, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৮, মিডওয়াইফ ১, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব ও রেডিও) ২, ফার্মাসিস্ট ১, পরিসংখ্যানবিদ ১, ক্যাশিয়ার ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১, জুনিয়র মেকানিক ১, অফিস সহায়ক ১, ওয়ার্ড বয় ১, আয়া ২, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩, বাবুর্চি ২ জনসহ মোট ৩৮টি পদ শুন্য রয়েছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হস্তান্তর পুর্ববর্তী ৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৮ শত ৭৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল ঠিকাদারের নিকট পাওনা ছিল। সে জটিলতা আমরা ইতিমধ্যে নিরসন করেছি। হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির জন্য দ্রুত একটি গভীর নলকুপ স্থাপন এবং জনবল সংকটসহ সকল সমস্যা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।