ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মিলি ‘হত্যায়’ হচ্ছে মামলা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

সিলেট জেলা ব্যাডমিন্টন দলের সাবেক খেলোয়াড় ফারহানা হক মিলির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে তার পরিবার। মামলায় মিলির স্বামী নুর আলমকে প্রধান আসামি করা হতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিলির ভাই আমিনুল হক শিপন। তিনি বলেন, ‘আমরা হত্যা মামলা দায়ের করবো। মামলার এজাহার প্রস্তুত করা হচ্ছে।

গতকাল মিলির স্বামী নুর আলমকে আটক করেছিল পুলিশ। মামলা হলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে ফারহানা হক মিলি (২৪)। প্রায় সাড়ে চার বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ারখাপন গ্রামের আসগর আলীর ছেলে নুর আলমের (৩২) সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়।

তারা সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসল নামক ভবনের তৃতীয় তলায় ‘এ-২’ ইউনিটে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছিলেন। একই বাসায় মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলিও তার স্বামীকে নিয়ে থাকেন।

গত শুক্রবার রাতে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্বামী ভিন্ন আরেকটি কক্ষে ঘুমান। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা অবধি মিলির সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেন। তবে সাড়াশব্দ না পেয়ে কক্ষের জানালায় থাকা একটি থাইগ্লাস ভেঙে ফেলেন তারা। তখন মিলির ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। পরে চাবি মেরামতকারী এনে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে মিলির মরদেহ ঝুলন্ত, কিন্তু পা বিছানায় থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় মিলির স্বামী নুর আলমকে আটক করে পুলিশ। মিলি আত্মহত্যা নয়, বরঞ্চ তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।

মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি  বলেন, ‘সাড়ে ৪ বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে রেহানা ও মিলি তাদের স্বামী নিয়ে সিল ভ্যালি ক্যাসলের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। কিন্তু মিলির স্বামী দৃশ্যমান কোনো চাকরি বা পেশায় জড়িত ছিলেন না। উল্টো অনলাইন জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা উড়িয়েছেন তিনি। এমনকি নিজের একটি ঘর বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা একদিনেই জুয়া খেলায় খুইয়েছেন নুর আলম। এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেক সময় স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতেন মিলি। এর আগেও স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়ে একসঙ্গে অনকেগুলো ঘুমের ওষুধ সেবন করেছিলেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘মিলি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে তার পা তো মাটিতে (বিছানায়) থাকার কথা নয়! পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। মিলি এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মিলি ‘হত্যায়’ হচ্ছে মামলা

আপডেট সময় ০৮:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

সিলেট জেলা ব্যাডমিন্টন দলের সাবেক খেলোয়াড় ফারহানা হক মিলির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে তার পরিবার। মামলায় মিলির স্বামী নুর আলমকে প্রধান আসামি করা হতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিলির ভাই আমিনুল হক শিপন। তিনি বলেন, ‘আমরা হত্যা মামলা দায়ের করবো। মামলার এজাহার প্রস্তুত করা হচ্ছে।

গতকাল মিলির স্বামী নুর আলমকে আটক করেছিল পুলিশ। মামলা হলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে ফারহানা হক মিলি (২৪)। প্রায় সাড়ে চার বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ারখাপন গ্রামের আসগর আলীর ছেলে নুর আলমের (৩২) সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়।

তারা সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন তেলিহাওর এলাকার সিল ভ্যালি ক্যাসল নামক ভবনের তৃতীয় তলায় ‘এ-২’ ইউনিটে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছিলেন। একই বাসায় মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলিও তার স্বামীকে নিয়ে থাকেন।

গত শুক্রবার রাতে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্বামী ভিন্ন আরেকটি কক্ষে ঘুমান। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা অবধি মিলির সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেন। তবে সাড়াশব্দ না পেয়ে কক্ষের জানালায় থাকা একটি থাইগ্লাস ভেঙে ফেলেন তারা। তখন মিলির ঝুলন্ত মরদেহ দেখা যায়। পরে চাবি মেরামতকারী এনে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে মিলির মরদেহ ঝুলন্ত, কিন্তু পা বিছানায় থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় মিলির স্বামী নুর আলমকে আটক করে পুলিশ। মিলি আত্মহত্যা নয়, বরঞ্চ তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।

মিলির বড় বোন রেহানা হক সুহেলি  বলেন, ‘সাড়ে ৪ বছর আগে নুর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে রেহানা ও মিলি তাদের স্বামী নিয়ে সিল ভ্যালি ক্যাসলের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। কিন্তু মিলির স্বামী দৃশ্যমান কোনো চাকরি বা পেশায় জড়িত ছিলেন না। উল্টো অনলাইন জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা উড়িয়েছেন তিনি। এমনকি নিজের একটি ঘর বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা একদিনেই জুয়া খেলায় খুইয়েছেন নুর আলম। এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও তার স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেক সময় স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতেন মিলি। এর আগেও স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়ে একসঙ্গে অনকেগুলো ঘুমের ওষুধ সেবন করেছিলেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘মিলি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে তার পা তো মাটিতে (বিছানায়) থাকার কথা নয়! পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। মিলি এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না।