ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে বাল্য বিবাহে বাধা দেওয়ায় মিথ্যা মামলার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভাতিজির বাল্য বিবাহে বাধা দেওয়ার কারনে চাচার পরিবারকে মামলা করে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হারুন মিয়া নামের একটি ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী হারুন মিয়া আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেলে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিম শিলুয়া গ্রামের হারুন মিয়ার আপন ভাই লোকমান আলী প্রায় ১ বছর পূর্বে প্রবাসে মারা যান।ভাইয়ের মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন।গত ২৪ ডিসেম্বর পরিবারের কাউকে না বলে আমার একমাত্র ভাতিজি মারজানা আক্তার ফাতেহা (১৬) কে নিয়ে পাশ্ববর্তী আকতার মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়ার (২৩) সাথে বিবাহ দিতে চান।আমাদের ভাতিজির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমি ও আমার পুত্রগন তাতে বাধা দেই। আমার ভাতিজি শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বর্তমান বয়স ১৬ বছর ৫ মাস হওয়াতে আমরা বাল্য বিয়ে দিতে রাজি না হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা মহোদয়কে ফোনে অবগত করি ।

তিনি সাথে সাথে আমাদের বাড়ীতে জুড়ী থানার একদল পুলিশ পাঠান।বাড়ির পার্শ্বে মাগুরা বাজারে পুলিশ পৌছিলে স্হানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বিষয়টি দেখবেন বলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন। ঐ দিন রাতে বর পক্ষের উপস্থিতিতে কন্যার মা আমার ভাতিজির বিয়ে দিয়ে দেন।এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।এসময় ইউপি সদস্যের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়।

বাল্য বিয়ে বন্ধের বিষয়টি আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সাহেব ও অবগত রয়েছেন।
বিয়ের পর ২১ জানুয়ারী আমাদের ভাতিজি তার নতুন বরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।সাথে বর রাসেল সহ ৭-৮ জন পুরুষ ছিলেন।বর পক্ষ থেকে আসা লোকজন আমাদের ভাবীর ঘরে দাওয়াত খাওয়ার পর আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।আমরা কোন কিছু বুঝে উটতে পারিনি।এরপর তারা জুড়ী থানায় আমাদের নামে মামলা দায়ের করে।মামলায় আমার পুত্র তোফাজ্জল হোসেন (২২) ও জোবায়ের হোসেন (১৫) এবং আমার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) কে আসামী করা হয়।পুলিশ আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক জুবায়েরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে।আমরা কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই এ রকম পরিকল্পিত একটি ঘটনার স্বীকার হয়ে আমার কিশোর ছেলেকে জেল খাটতে হচ্ছে।
তার পরিবারকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবীণ মুরব্বি তরিক উল্লাহ,সাইফ উদ্দিন ও জাহেদ হোসেন প্রমূখ।

জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান,বাল্য বিয়ে হয় নাই।মারামারির একটি মামলা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে বাল্য বিবাহে বাধা দেওয়ায় মিথ্যা মামলার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভাতিজির বাল্য বিবাহে বাধা দেওয়ার কারনে চাচার পরিবারকে মামলা করে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের হারুন মিয়া নামের একটি ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী হারুন মিয়া আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেলে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিম শিলুয়া গ্রামের হারুন মিয়ার আপন ভাই লোকমান আলী প্রায় ১ বছর পূর্বে প্রবাসে মারা যান।ভাইয়ের মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন।গত ২৪ ডিসেম্বর পরিবারের কাউকে না বলে আমার একমাত্র ভাতিজি মারজানা আক্তার ফাতেহা (১৬) কে নিয়ে পাশ্ববর্তী আকতার মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়ার (২৩) সাথে বিবাহ দিতে চান।আমাদের ভাতিজির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমি ও আমার পুত্রগন তাতে বাধা দেই। আমার ভাতিজি শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বর্তমান বয়স ১৬ বছর ৫ মাস হওয়াতে আমরা বাল্য বিয়ে দিতে রাজি না হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা মহোদয়কে ফোনে অবগত করি ।

তিনি সাথে সাথে আমাদের বাড়ীতে জুড়ী থানার একদল পুলিশ পাঠান।বাড়ির পার্শ্বে মাগুরা বাজারে পুলিশ পৌছিলে স্হানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বিষয়টি দেখবেন বলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন। ঐ দিন রাতে বর পক্ষের উপস্থিতিতে কন্যার মা আমার ভাতিজির বিয়ে দিয়ে দেন।এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন।এসময় ইউপি সদস্যের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়।

বাল্য বিয়ে বন্ধের বিষয়টি আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম সাহেব ও অবগত রয়েছেন।
বিয়ের পর ২১ জানুয়ারী আমাদের ভাতিজি তার নতুন বরকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।সাথে বর রাসেল সহ ৭-৮ জন পুরুষ ছিলেন।বর পক্ষ থেকে আসা লোকজন আমাদের ভাবীর ঘরে দাওয়াত খাওয়ার পর আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।আমরা কোন কিছু বুঝে উটতে পারিনি।এরপর তারা জুড়ী থানায় আমাদের নামে মামলা দায়ের করে।মামলায় আমার পুত্র তোফাজ্জল হোসেন (২২) ও জোবায়ের হোসেন (১৫) এবং আমার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) কে আসামী করা হয়।পুলিশ আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক জুবায়েরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে।আমরা কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই এ রকম পরিকল্পিত একটি ঘটনার স্বীকার হয়ে আমার কিশোর ছেলেকে জেল খাটতে হচ্ছে।
তার পরিবারকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবীণ মুরব্বি তরিক উল্লাহ,সাইফ উদ্দিন ও জাহেদ হোসেন প্রমূখ।

জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান,বাল্য বিয়ে হয় নাই।মারামারির একটি মামলা হয়েছে।