ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শর্মীর কক্ষে মৃত্যুর পর যা পেল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শর্মী। স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে চাকরি করে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবেন। কিন্তু সিলেট মহানগরীর টিলাগড় এলাকার সৈয়দ মঞ্জিল মহিলা হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শর্মী রানী নাথ (২০) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শাহপরান থানা পুলিশ।

শর্মী সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়নের সতেন্দ্র চন্দ্র নাথের মেয়ে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই শর্মীর বাবা শতেন্দ্র চন্দ্র নাথ বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জান যায়, গত কয়েকদিন ধরেই শর্মী এলোমেলো অবস্থায় ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করতেন না। কারো সাথে তেমন কথাও বলতেন না। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতেন। তার মরদেহ উদ্ধারের সময় বিছানা থেকে ১০ টি ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ।

সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতে শর্মীর বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মহদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

আনিসুর রহমান আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শর্মীর কক্ষে মৃত্যুর পর যা পেল পুলিশ

আপডেট সময় ১২:১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শর্মী। স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে চাকরি করে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবেন। কিন্তু সিলেট মহানগরীর টিলাগড় এলাকার সৈয়দ মঞ্জিল মহিলা হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শর্মী রানী নাথ (২০) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শাহপরান থানা পুলিশ।

শর্মী সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়নের সতেন্দ্র চন্দ্র নাথের মেয়ে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই শর্মীর বাবা শতেন্দ্র চন্দ্র নাথ বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জান যায়, গত কয়েকদিন ধরেই শর্মী এলোমেলো অবস্থায় ছিলেন। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত করতেন না। কারো সাথে তেমন কথাও বলতেন না। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতেন। তার মরদেহ উদ্ধারের সময় বিছানা থেকে ১০ টি ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ।

সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতে শর্মীর বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মহদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

আনিসুর রহমান আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।