শীর্ষ ইউটিউবার ফারজানার সাফল্যগাঁথা
- আপডেট সময় ১১:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
- / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন সোশাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স ওয়েবসাইট ‘সোশ্যাল ব্লেড’-এর হিসেবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকা ইউটিউব চ্যানেলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘ফারজানা ড্রয়িং অ্যাকাডেমি’৷
শুরুতে ‘ফারজানা ড্রয়িং অ্যাকাডেমি’ সম্পর্কে সংক্ষেপে যদি কিছু বলেন…ফারজানা আক্তার : আমার নাম ফারজানা আক্তার৷ আমার চ্যানেলের নাম ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি৷ আমি মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি৷ শুরুতে আমার ইচ্ছা ছিল মাস্টার্স শেষ করার পর একটা জব করার, তো সেক্ষেত্রে আমার হাজবেন্ডের পরামর্শেই আমি ফ্রিল্যান্সার থেকেই ইউটিউবার বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ শুরু করি৷
ড্রয়িং এবং ইউটিউবিং শুরুর পেছনের গল্প? আঁকাআঁকিটা একদম ছোটবেলা থেকেই৷ আমার আব্বু একজন রিটায়ার্ড আর্মি পার্সন, উনি আর্মিতে জব করতেন৷ উনি যখনই অবসর সময় পেতেন, উনি দুইটা কাজ করতেন৷ এর মধ্যে একটা ছবি আঁকা এবং আরেকটা মেকানিকাল কাজ করতেন৷
এটা ওনার শখের কাজ ছিল৷ উনি ছবি যখন আঁকতেন, তখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি৷ আমি খেয়াল করলাম, ঐখান থেকে আমার আঁকাআঁকির শখ ও ভালোবাসা তৈরি হয়৷ তারপর থেকে নিজে নিজেই আঁকার প্র্যাক্টিস করতাম ড্রয়িংটা, নিজে নিজেই করতাম৷ প্রতিদিন কিছু না কিছু করতাম৷ এভাবেই দিন দিন আমার আঁকার ইম্প্রুভমেন্ট হয়৷ ২০১৭ সালের জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে আমি ভিডিও দেওয়া শুরু করি৷ প্রথম এক মাসেই আমি প্রচুর সাড়া পাই, ইউটিউব থেকে যে আমার অডিয়েন্সরা আমাকে খুব রিকোয়েস্ট করতে থাকে, আমি যেন প্রতিদিন ভিডিও পাবলিশ করি৷ ইউটিউব থেকে আয় হবে বা ইউটিউব আমার প্রফেশন হবে শুরুতে এরকমটা ধারণা ছিল না৷
‘ইউটিউব থেকে আয় হবে বা ইউটিউব আমার প্রফেশন হবে শুরুতে এরকম ধারণা ছিল না কী ধরনের ছবি আঁকতে ভালো লাগে?
আঁকাআঁকির সবকিছুর মধ্যেই আমি ভালো লাগা ফিল করি৷ তবে দেখা গেছে যে, পেইন্টিংয়ে আমার দক্ষতা একটু কম, তো আমি শুধু স্কেচ নিয়ে কাজ করেছি এতদিন৷ আপাতত চেষ্টা করছি পেইন্টিংয়ের উপরে দক্ষতা তৈরি করার৷ যতটা সম্ভব আমি রেগুলার প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি৷
কারা আপনার ভিডিও বেশি দেখেন? সবাই চায় আমি মূলত স্কেচ নিয়েই কাজ করি৷ আর এটা বাহিরের কান্ট্রিতে বেশি চলে আরকি৷ ভিউজ বেশি আসে ইন্ডিয়া থেকে, ইন্ডিয়া থেকে ৪০% গ্রাহক আছে বর্তমানে৷ সেকেন্ড অপশনে আছে ইউনাইটেড স্টেটস৷ তারপরে আছে বাংলাদেশ, তারপর তুরস্ক, এরপরে আছে পাকিস্তান৷
কী ধরনের ভিডিও তৈরি করবো, এটা নিয়ে ধারণা, তারপর ভিডিওর যে শুটিং, এরপর এডিটিং, তারপর পাবলিশ করা৷ পরে আবার কী ধরনের ভিডিও পাবলিশ করবো, এই সব ধরনের কাজ প্রতিদিন আমি একা হাতে হ্যান্ডেল করি৷ আসলে কাউকে যে ভরসা করে দেবো, এই কাজটা তো আমার মতো করে অন্যজন বুঝতে পারবে না৷ তো দেখা যায় অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় একা একা পুরো কাজ হ্যান্ডেল করা৷
পরিবার থেকে কেমন সাপোর্ট পাচ্ছেন?
আল্লাহর রহমতে আমি কোনোরকম সমস্যা ফেস করছি না৷ আর আমার হাজবেন্ড সম্পূর্ণভাবে আমাকে সাপোর্ট দেয়৷ এমনকি আমার শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ এই বিষয়ে আমাকে খুব সাপোর্ট করে৷ এবং আমি যে এতদূর আসতে পেরেছি তা ভেবে তাারা অনেক গর্ব অনুভব করে এবং আমাকে নিয়ে সবার কাছে খুব প্রশংসা করে৷