ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে তীব্র জনবল সংকট,ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা বীরমুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: বিদ্যুৎহীন মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগ জমি নিয়ে হয়রানির ক্ষোভে চাচাতো ভাইকে হত্য কুলাউড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে গ্রেফতার – ৩ প্রচন্ড তাপমাত্রায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে ফ্রি শরবত বিতরণ লাখাইয়ে অজ্ঞাত রোগী হাসপাতালে ভর্তি,বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে পথ সভা মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে প্রধান বিচারপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা

পুরস্কারের লোভে মৌলভীবাজারের এক নারী খোয়ালেন দেড় লাখ টাকা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ১১১৪ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের জুড়ীতে টিকটকে দেখা পুরস্কারের লোভে দেড় লাখ টাকা খোয়ালেন এক নারী। তার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্র দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে ঘটেছে।

প্রতারণার শিকার জুবেদা আক্তার (২৫) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়ার স্ত্রী।

জুবেদা আক্তার বলেন, প্রায় দুই মাস পূর্বে মোবাইল ফোনে টিকটকে দেখি এক লোক এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা বলছে। আমি উনাকে ম্যাসেজ দিয়েছিলাম। শনিবার সকালে ওই লোক ফোন দিয়ে আমাকে পুরস্কারের এক লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে এবং আমার বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠায়। আমার মোবাইলের ম্যাসেজ লক হয়ে গেছে, সেটা খোলার জন্য ফোনে কথা বলতে বলতে একটি বিকাশের দোকানে গিয়ে আমার বিকাশে ২০ হাজার টাকা লোড করতে বলে।

তিনি বলেন, আমি কামিনীগঞ্জ বাজারে হাজী ফজলুর রহমান শপিং সেন্টারে অবস্থিত আমার গ্রামের একজনের দোকানে গিয়ে টাকা ছাড়তে বললে তিনি আমার বিকাশে ২০ হাজার টাকা দেন। উনি আমাকে লাইনে রেখে ওই দোকান থেকে বিভিন্ন অজুহাতে পাঁচটি বিকাশ ও নগদ নম্বরে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ছাড়ায় এবং আমি এই টাকাসহ আরও এক লাখ টাকা পাব বলে জানায়। এমনকি টাকা পেতে হলে পিন কোড পরিবর্তনের কথা বলে আমার বিকাশের পিন নম্বর জেনে নেয়। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, টাকা পাঠানোর সময় দোকানি বারবার বিষয়টি জানতে চান এবং আমি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি বলে জানান; কিন্তু ওই প্রতারকের শেখানো কথায় বলি যে আমার ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাচ্ছি, হাতের ব্যাগে টাকা আছে দিয়ে যাব।

অরিজিন টেলিকমের মালিক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ওই নারী বেলা পৌনে ১১টায় পাঁচটি নম্বরে ২৫ হাজারসহ মোট দেড় লাখ টাকা পাঠান। আমি উনাকে বারবার সতর্ক করেছি; কিন্তু উনি আমার কথায় কর্ণপাত করেননি। উনি বলেছেন, ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন, উনার ব্যাগে টাকা আছে সব টাকা দিয়ে যাবেন; কিন্তু টাকা দেননি। একপর্যায়ে যখন বুঝলেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন। উনি যেহেতু আমার গ্রামের লোক তাই মুরব্বিরা বসে আমার টাকা উদ্ধার করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পুরস্কারের লোভে মৌলভীবাজারের এক নারী খোয়ালেন দেড় লাখ টাকা

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের জুড়ীতে টিকটকে দেখা পুরস্কারের লোভে দেড় লাখ টাকা খোয়ালেন এক নারী। তার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্র দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরে উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে ঘটেছে।

প্রতারণার শিকার জুবেদা আক্তার (২৫) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়ার স্ত্রী।

জুবেদা আক্তার বলেন, প্রায় দুই মাস পূর্বে মোবাইল ফোনে টিকটকে দেখি এক লোক এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা বলছে। আমি উনাকে ম্যাসেজ দিয়েছিলাম। শনিবার সকালে ওই লোক ফোন দিয়ে আমাকে পুরস্কারের এক লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে এবং আমার বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠায়। আমার মোবাইলের ম্যাসেজ লক হয়ে গেছে, সেটা খোলার জন্য ফোনে কথা বলতে বলতে একটি বিকাশের দোকানে গিয়ে আমার বিকাশে ২০ হাজার টাকা লোড করতে বলে।

তিনি বলেন, আমি কামিনীগঞ্জ বাজারে হাজী ফজলুর রহমান শপিং সেন্টারে অবস্থিত আমার গ্রামের একজনের দোকানে গিয়ে টাকা ছাড়তে বললে তিনি আমার বিকাশে ২০ হাজার টাকা দেন। উনি আমাকে লাইনে রেখে ওই দোকান থেকে বিভিন্ন অজুহাতে পাঁচটি বিকাশ ও নগদ নম্বরে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ছাড়ায় এবং আমি এই টাকাসহ আরও এক লাখ টাকা পাব বলে জানায়। এমনকি টাকা পেতে হলে পিন কোড পরিবর্তনের কথা বলে আমার বিকাশের পিন নম্বর জেনে নেয়। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, টাকা পাঠানোর সময় দোকানি বারবার বিষয়টি জানতে চান এবং আমি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি বলে জানান; কিন্তু ওই প্রতারকের শেখানো কথায় বলি যে আমার ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাচ্ছি, হাতের ব্যাগে টাকা আছে দিয়ে যাব।

অরিজিন টেলিকমের মালিক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ওই নারী বেলা পৌনে ১১টায় পাঁচটি নম্বরে ২৫ হাজারসহ মোট দেড় লাখ টাকা পাঠান। আমি উনাকে বারবার সতর্ক করেছি; কিন্তু উনি আমার কথায় কর্ণপাত করেননি। উনি বলেছেন, ভাইয়ের কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন, উনার ব্যাগে টাকা আছে সব টাকা দিয়ে যাবেন; কিন্তু টাকা দেননি। একপর্যায়ে যখন বুঝলেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন। উনি যেহেতু আমার গ্রামের লোক তাই মুরব্বিরা বসে আমার টাকা উদ্ধার করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।