সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের সোমবারের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজন গ্রেফতার আতংকে পুরুষ শুন্য গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (২৩ মে ) এই দৃশ্য দেখতে পান। সংঘর্ষের ঘটনা উভয় পক্ষের অর্ধশত লোক আহত হয়েছে তাঁদের কে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আতংকে উভয় পক্ষের পুরুষ গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকায় শুধু মহিলা ও শিশুরা রয়েছে। এই নিয়ে মহিলা ও শিশুরা রয়েছে আতংকে। উভয় পক্ষের কয়েকজন মহিলাদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন গতকালের ঘটনা আমাদের অনেকেই আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন কোন সময় কি হয় এই নিয়ে আমরা আতংকে আছি। আমরা মহিলা মানুষ বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে বাড়িতে আছি।
এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ি করে বলেন আমাদের পুরুষ সবাই গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছাড়া। যারা বন্ধুক মারছে তাদের অনেকেই তাঁদের ধান চাউল ও মুল্যবান জিনিস পত্র নিজেরা সরিয়ে আমাদের উপর দুষ চাপাচ্ছে।এবিষয়ে আমরা মহিলারা পুলিশকে জানিয়েছি। তারা আরো বলেন সংঘর্ষের পর থেকে আমাদের স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের স্কুলে যেতে পারছে না। প্রতি পক্ষের বাড়ির পাশে প্রাইমারী স্কুল থাকায় আমাদের বাচ্চারা আজ পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রাম ঘুরে আমাদের প্রতিনিধি কয়েকজনের সাথে আলাপ কালে সত্যতা পান।
এবিষয়ে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বাচ্চাদের স্কুলে যেতে কেউ যাতে বাঁধা সৃষ্টি না করে সেই ব্যবস্থা করা, হবে। সংঘর্ষের ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ ই মামলা করেনি। তারপর ও পুলিশের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দিরাই থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে আর যাতে কোন নতুন ঘটনার জন্ম না দেয়। গতকাল থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তৃতীয় পক্ষের কয়েকজন পুরুষের সাথে কথা বললে তারা, বলেন আমরা ও নিরাপত্তাহীনতা আছি। গ্রামে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের কয়েকজন জীবন মৃত্যুর সন্নিকটে। এই ভয়ে আমরা ও নিরাপত্তাহীনতা আছি কখন কি খবর আসে। আমরা গরীব মানুষ শান্তিতে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে বাড়িতে থাকতে চাই।
এই বিষয়ে প্রশাসন যদি আমাদের সাহায্য করেন আমরা নিশ্চিত থাকতে পারব। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাতে কোন নিরপরাধ মানুষ হয়রানির স্বীকার না হয় সে দিকে নজর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য সোমবার দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কান্দাহাটির তালেব আলী ও মাহবুব মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিকাল সাড়ে ৫ টায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৪০/৫০ জন লোক আহত হন। গুলি বিদ্ব কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছাড়া। মহিলা ও শিশুরা ছাড়া পুরুষ শুন্য গ্রামবাসী।