ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

মৌলভীবাজারে ভোজ্যতেল সংকট,দুই একদিন পর বাজার স্বাভাবিক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
  • / ৮৪৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ভোজ্যতেল সয়াবিন তেলের সংকট পরিলক্ষিত হয়েছে। জেলার কোনো ডিলারের কাছে অতিরিক্ত ভোজ্যতেল পায়নি ভোক্তা কার্যলয়ের কর্মকর্তারা। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানি ওয়ার্ডার নিয়েছে। হয়তো দুই এক দিনের মধ্যে তেল সর্বরাহ করবে। নতুন ভাবে বাজারে তেল আসলে নির্ধারণ করা দামে বিক্রি হবে। তবে এখন যে তেল ডিলারদের কাছে রয়েছে তা যেনো আগের দামে বিক্রি করেন সে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ভোক্তা অফিস।

রোববার জেলার সদর উপজেলার পশ্চিমবাজার, জুগিডর, সিলেট রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্যান্য উপজেলায় ফোনের মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে বর্তমানে মৌলভীবাজারে ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের ভোজ্য তেল সয়াবিনের মজুদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ভোক্তা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উক্ত ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প পরিমাণ তেল মজুদ আছে বলে জানা যায়। কারো কাছে একে বারেই নেই-যেমন বসুন্ধরার ডিলার শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত জননী ষ্টোর বা কুলাউড়ায় অবস্থিত সাইদুল এন্টারপ্রাইজ যাদের কাছে তেল নেই। সদর উপজেলায় অবস্থিত পাইকারী ব্যবসায়ী রিফাত ফুড বা মৌলভী ক্যাশ এন্ড ক্রেডিট, সোহেল এন্টারপ্রাইজ, যারা তীর এবং রুপচাঁদার ডিলার, তাদের কাছেও তেল নেই।

বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত সামছু ভেরাইটিজ ষ্টোরে আছে ১৩০০ লিটার, সদর উপজেলায় অবস্থিত মেসার্স সালাউদ্দিন ষ্টোরে আছে ৩০০০ লিটার, লিটন এন্টারপ্রাইজে আছে ২০০ লিটার, শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত কুসুম বাণিজ্যালয় যার কাছে আছে ১৮০ লিটার তারা সবাই পাইকারী ব্যবসায়ী। আবার তেলের ডিলার হিসাবে আছে বড়লেখার ইমরান ষ্টোর, কুলাউড়ায় জাহাঙ্গির ষ্টোর, সদর উপজেলায় ইকবাল এন্টারপ্রাইজ, শ্রীমঙ্গলে মেসার্স কদর আলী ষ্টোর, বড়লেখায় রাজুল ট্রের্ডাস। যাদের কাছে তেল মজুদ আছে যথাক্রমে ২০০ লিটার, ৩০০ লিটার, ১৪০ লিটার, ১০০ লিটার, ১,১২০ লিটার। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের অবস্থিত সরুবিন্দ এন্ড ব্রাদার্স যিনি তেলের ডিলার তার কাছে আছে ৪,৫০০ লিটার লুজ পাম ওয়েল। সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা থেকে দেখা যায় মৌলভীবাজারে ভোজ্য তেলের সঙ্কট আছে যদিও ডিলার বা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে জানিয়েছে আজ কোম্পানিগুলো তাদের কাছে থেকে তেলে ওর্ডার নিয়েছে । আগামী দুএকদিনের মধ্যে তেলের চালান চলে আসবে। ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমে দেখা যায় প্রত্যেক খুচরা দোকানে পর্যাপ্ত তেল না থাকলেও কিছু পরিমান তেল আছে ।

মৌলভীবাজারের সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে নতুন দামে তেল আসার আগ পর্যন্ত আগের তেল আগের দামেই বিক্রি করার জন্য । আগের দামের তেল নতুন দামে কোন ব্যবসায়ী বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররের প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করা যাবে বলে উক্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন জানান।

এছাড়াও উক্ত তদারকি অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও খাদ্য পণ্য বিক্রয় করা দায়ে জুগিডরে অবস্থিত মেসার্স রোজমিলা ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা, সিলেট রোডে অবস্থিত শাহ মোস্তফা ষ্টেশনারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। আজকের অভিযানে মোট ২ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। তেলের সরবরাহ সঠিক থাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্য দামে তেল পৌঁছাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকি কার্যক্রম চলামন থাকবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজারে ভোজ্যতেল সংকট,দুই একদিন পর বাজার স্বাভাবিক

আপডেট সময় ০২:৪২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ভোজ্যতেল সয়াবিন তেলের সংকট পরিলক্ষিত হয়েছে। জেলার কোনো ডিলারের কাছে অতিরিক্ত ভোজ্যতেল পায়নি ভোক্তা কার্যলয়ের কর্মকর্তারা। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানি ওয়ার্ডার নিয়েছে। হয়তো দুই এক দিনের মধ্যে তেল সর্বরাহ করবে। নতুন ভাবে বাজারে তেল আসলে নির্ধারণ করা দামে বিক্রি হবে। তবে এখন যে তেল ডিলারদের কাছে রয়েছে তা যেনো আগের দামে বিক্রি করেন সে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ভোক্তা অফিস।

রোববার জেলার সদর উপজেলার পশ্চিমবাজার, জুগিডর, সিলেট রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্যান্য উপজেলায় ফোনের মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে বর্তমানে মৌলভীবাজারে ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের ভোজ্য তেল সয়াবিনের মজুদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ভোক্তা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উক্ত ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প পরিমাণ তেল মজুদ আছে বলে জানা যায়। কারো কাছে একে বারেই নেই-যেমন বসুন্ধরার ডিলার শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত জননী ষ্টোর বা কুলাউড়ায় অবস্থিত সাইদুল এন্টারপ্রাইজ যাদের কাছে তেল নেই। সদর উপজেলায় অবস্থিত পাইকারী ব্যবসায়ী রিফাত ফুড বা মৌলভী ক্যাশ এন্ড ক্রেডিট, সোহেল এন্টারপ্রাইজ, যারা তীর এবং রুপচাঁদার ডিলার, তাদের কাছেও তেল নেই।

বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত সামছু ভেরাইটিজ ষ্টোরে আছে ১৩০০ লিটার, সদর উপজেলায় অবস্থিত মেসার্স সালাউদ্দিন ষ্টোরে আছে ৩০০০ লিটার, লিটন এন্টারপ্রাইজে আছে ২০০ লিটার, শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত কুসুম বাণিজ্যালয় যার কাছে আছে ১৮০ লিটার তারা সবাই পাইকারী ব্যবসায়ী। আবার তেলের ডিলার হিসাবে আছে বড়লেখার ইমরান ষ্টোর, কুলাউড়ায় জাহাঙ্গির ষ্টোর, সদর উপজেলায় ইকবাল এন্টারপ্রাইজ, শ্রীমঙ্গলে মেসার্স কদর আলী ষ্টোর, বড়লেখায় রাজুল ট্রের্ডাস। যাদের কাছে তেল মজুদ আছে যথাক্রমে ২০০ লিটার, ৩০০ লিটার, ১৪০ লিটার, ১০০ লিটার, ১,১২০ লিটার। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের অবস্থিত সরুবিন্দ এন্ড ব্রাদার্স যিনি তেলের ডিলার তার কাছে আছে ৪,৫০০ লিটার লুজ পাম ওয়েল। সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা থেকে দেখা যায় মৌলভীবাজারে ভোজ্য তেলের সঙ্কট আছে যদিও ডিলার বা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে জানিয়েছে আজ কোম্পানিগুলো তাদের কাছে থেকে তেলে ওর্ডার নিয়েছে । আগামী দুএকদিনের মধ্যে তেলের চালান চলে আসবে। ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমে দেখা যায় প্রত্যেক খুচরা দোকানে পর্যাপ্ত তেল না থাকলেও কিছু পরিমান তেল আছে ।

মৌলভীবাজারের সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে নতুন দামে তেল আসার আগ পর্যন্ত আগের তেল আগের দামেই বিক্রি করার জন্য । আগের দামের তেল নতুন দামে কোন ব্যবসায়ী বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররের প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করা যাবে বলে উক্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন জানান।

এছাড়াও উক্ত তদারকি অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও খাদ্য পণ্য বিক্রয় করা দায়ে জুগিডরে অবস্থিত মেসার্স রোজমিলা ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা, সিলেট রোডে অবস্থিত শাহ মোস্তফা ষ্টেশনারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। আজকের অভিযানে মোট ২ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। তেলের সরবরাহ সঠিক থাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্য দামে তেল পৌঁছাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকি কার্যক্রম চলামন থাকবে।