ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : দুই দিনেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের মন্ত্রীসমর্থিত গ্রুপ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল-এর উপদলীয় কোন্দলে বুধবার (৭ জুন) দুপুরে শহরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রলীগকর্মীরা লম্বা দা ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। তখন ইকবাল গ্রুপের পক্ষে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের অপর পক্ষকে তাড়া করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এরকম কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে জুড়ীতে তোলপাড় শুরু হয় এবং লোক মুখে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় নি।

২০২০ সালে গঠিত জুড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন ছাত্রলীগের সংঘর্ষে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্কশপের সামনে তারা মারামারি করছে দেখে আমি তাদের থামাতে যাই। এক জনের হাতে থাকা লাঠি আমি অন্যত্র সরানোর জন্য আমার হাতে নেই।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নিপার রেজা বলেন, সুলেমান হোসেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। তিনি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে এক পক্ষের সাথে থাকার ছবি ও ভিডিও আমি দেখেছি। আমরা জেলা নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন- সংঘর্ষের ঘটনায় কেহ কোন অভিযোগ দেয় নি। তাছাড়া কোন অস্ত্রও উদ্ধার হয় নি। বিষয়টি তদন্ত করছি।

জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষেরে সংঘর্ষে যুবদল নেতার জড়িত হওয়া, প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় কোন মামলা না হওয়া, কাউকে আটক না করা ও অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : দুই দিনেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের মন্ত্রীসমর্থিত গ্রুপ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল-এর উপদলীয় কোন্দলে বুধবার (৭ জুন) দুপুরে শহরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রলীগকর্মীরা লম্বা দা ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। তখন ইকবাল গ্রুপের পক্ষে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের অপর পক্ষকে তাড়া করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এরকম কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে জুড়ীতে তোলপাড় শুরু হয় এবং লোক মুখে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় নি।

২০২০ সালে গঠিত জুড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন ছাত্রলীগের সংঘর্ষে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্কশপের সামনে তারা মারামারি করছে দেখে আমি তাদের থামাতে যাই। এক জনের হাতে থাকা লাঠি আমি অন্যত্র সরানোর জন্য আমার হাতে নেই।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নিপার রেজা বলেন, সুলেমান হোসেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। তিনি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে এক পক্ষের সাথে থাকার ছবি ও ভিডিও আমি দেখেছি। আমরা জেলা নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন- সংঘর্ষের ঘটনায় কেহ কোন অভিযোগ দেয় নি। তাছাড়া কোন অস্ত্রও উদ্ধার হয় নি। বিষয়টি তদন্ত করছি।

জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষেরে সংঘর্ষে যুবদল নেতার জড়িত হওয়া, প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় কোন মামলা না হওয়া, কাউকে আটক না করা ও অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।