জুড়ীতে সংরক্ষিত বনের গাছ চুরির অভিযোগ
- আপডেট সময় ১০:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
- / ২০০ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারের জুড়ীর পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্টের লাঠিটিলা বিটের লাঠিছড়া ও কমলছড়া এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত জায়গায় লাগানো সামাজিক বনায়নের গাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউ পি সদস্যের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে গাছ বিক্রি না করার কারণে চুরি হয়ে যাচ্ছে বনায়নের গাছ। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে পাশাপাশি দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
লাঠিছড়া ও কমলছড়া এলাকায় ১৯৯৯-২০০০ সালে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংরক্ষিত বন উজাড় করে আগর গাছ লাগানো হয়।এসব গাছ দেখভালের জন্য স্থানীয় এলাকার ১১ জন মানুষকে উপকারভোগীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উপকারভোগী আব্দুন নূর, ছাদ উদ্দিন, জাকির হোসেন, মানিক মুন্ডা অভিযোগ করে বলেন, সংরক্ষিত বনের এসব গাছ দেখাশোনার দায়িত্ব তাদের দেওয়া হলে ও কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বন জাগিরদারদের প্রধান আব্দুর রাজ্জাক, ও সাবেক মেম্বার বাবুল আহমদের নেতৃত্বে বড় বড় কয়েকটি আগর গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যান্য উপকারভোগীরা বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে অবগত করে ও প্রতিকার না পেয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপকারভোগী জানান, প্রতিটি গাছের বয়স ২৩-২৪ বছর হয়ে গেছে। অথচ, বন বিভাগের উদাসীনতার কারণে গাছগুলো নিলাম হচ্ছে না। যদি নিলাম হতো তাহলে সরকার রাজস্ব পেত, পরবর্তী টাকা দিয়ে পুনরায় গাছ রোপণ করা যেত। নিলাম না হওয়ার কারণে অধিকাংশ গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন,অতীতে আমি গাছ চুরদের ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। স্থানীয় লাঠিটিলা বিট কর্মকর্তা রুমিজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।