ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ব্যাংক অফিসার্স এসোসিয়েশন ‘মৌলভীবাজার এর নবগঠিত কমিটির পরিচিত সভা ও নৈশভোজ মশফিকুল হক তরফদার আর নেই সাংবাদিক শামসুজ্জামানের দ্বিতীয় মৃ ত্যু বার্ষিকী পালিত ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাইকমিশনার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবসাযীদের সাথে মত বিনিময় মৌলভীবাজার-২ আসনের বিএনপি থেকে মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু মৌলভীবাজারে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির  নির্বাচনে প্যানেল প্রার্থী ঘোষনা জামায়াতের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলায় ব্যাপক ভিত্তিক গণ অবস্থান কর্মসূচি সাংবাদিক দুলাল এর স্মরণ সভা শ্রীমঙ্গল পুলিশের অভিযানে বিদেশি সিগারেট, জিরা ও প্রসাধনী জব্দ, গ্রে ফ তা র ১ আশা’র পক্ষ হতে জেলা প্রশাসক নিকট কম্বল হস্তান্তর

বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বরের মৃত্যু 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৫৭৩ বার পড়া হয়েছে

রাজনগর প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার  বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আব্দুর রহিম (২৫) নামক বরের মৃত্যু  হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বর আব্দুর রহিম ওই গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। রোববার তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা সিয়েছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের মৃত রইছ আলীর মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (১৮) সঙ্গে আব্দুর রহিমের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন পরিবারের সদস্যরা। রোববার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো । গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য আলোকসজ্জার বাতি টানানো হয়। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলোকসজ্জার এক টুকরো তার ঝুলতে দেখে বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে সরাতে যান রহিম। এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলেছেন ডেকরেটর কর্মীরা।

নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝাঁকুনি খেয়ে নিচে পড়ে যাই। পরে আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।

রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) বিনয় ভূষণ রায় মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। পরিবারের কেউ কোনো  অভিযোগ করেননি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বরের মৃত্যু 

আপডেট সময় ১১:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

রাজনগর প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার  বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আব্দুর রহিম (২৫) নামক বরের মৃত্যু  হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বর আব্দুর রহিম ওই গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। রোববার তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা সিয়েছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের মৃত রইছ আলীর মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (১৮) সঙ্গে আব্দুর রহিমের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন পরিবারের সদস্যরা। রোববার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো । গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য আলোকসজ্জার বাতি টানানো হয়। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলোকসজ্জার এক টুকরো তার ঝুলতে দেখে বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে সরাতে যান রহিম। এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলেছেন ডেকরেটর কর্মীরা।

নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝাঁকুনি খেয়ে নিচে পড়ে যাই। পরে আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।

রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) বিনয় ভূষণ রায় মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। পরিবারের কেউ কোনো  অভিযোগ করেননি।