জানা যায়, ২০ বছর আগে ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও এতিমখানাটি কোটচাঁদপুর চৌগাছা বাসস্ট্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত। ওই এতিম খানার ১৩ দফা অনিয়ম তুলে ধরে স্থানীয় রেজাউল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
১৩ দফার মধ্যে রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির রেজিষ্ট্রেশন রিনিওয়াল না করা,প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক হিসাবের গড় মিল,নিজের ইচ্ছে মত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা,কথায় কথায় আওয়ামী লীগের দোষারোপ করা,দরিদ্র শিক্ষার্থী নামমাত্র খাদ্য দিয়ে, বাকী খাদ্য ভোগ করা,প্রধান শিক্ষকের কোন নিয়োগ নাই,এ ছাড়া ওনার সার্টিফিকেট নিয়ে ও প্রশ্ন উঠে এসেছে ওই অভিযোগে।
এরপেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছেন,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন,তদন্ত কমিটি আমরা দুই জন আছি। আমি ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তদন্ত কাজ প্রাথমিক ভাবে শুরু করেছি। তবে চলমান বলা যায়। কি ধরনের অভিযোগ ওনার বিরুদ্ধে আর প্রাথমিক তদন্তে কি পেলেন।
তিনি বলেন,এতিমখানার বিভিন্ন দিক রয়েছে, তাদের অভিযোগের মধ্যে। প্রাথমিক ভাবে যতটুকু জেনেছি,অভিযোগ কারিদের অনেকে জানেন না ওই অভিযোগে কি লেখা আছে। কেউ অভিযোগ লিখেছেন, আর বাকিরা স্বাক্ষর করেছেন।
তিনি বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে, শেষ হলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে। কতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন। এমন প্রশ্নে জহুরুল ইসলাম বলেন,ধরা বাধা কোন দিন তারিখ নাই। তদন্ত শেষ হলেই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এতিমখানার অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী আশিকি বলেন,স্থানীয় কয়েকজন এতিম খানার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে অভিযোগ করেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। ওই অভিযোগের তদন্তে এসেছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম। তদন্ত করে গেছেন। তিনি বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত মূলক অভিযোগ করেছেন তারা। ওই অভিযোগে যা বলা হয়েছে,তা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক।