ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিপুল ভোটে জয়ী শিবিরের সাদিক-ফরহাদ-মহিউদ্দিন মৌলভীবাজার সরকারি ১২০ শতক জমি উদ্ধার করল জেলা প্রশাসন দুর্গাপূজা উপলক্ষে একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে বিট পুলিশিং ও আইনশৃঙ্খলা সভা কমলগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে যুবকের গ/লা/কা/টা লা/শ উ দ্ধা র কিনব্রিজের দুই প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে : জেলা প্রশাসক কমলগঞ্জে ৪০০ বস্তা ময়দা আত্মসাৎ চেষ্টার ঘটনায় গ্রে/ফ/তা র -২ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫ উদযাপন আলোচিত আঞ্জুম হত্যা মামলার আসামী জুনেলের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হিথ্রো বিমানবন্দরে নাসের রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

কোটচাঁদপুর মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিল আদায়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ মটর সাইকেলের হাতলে ঝোলানো বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সরঞ্জাম। পিছনে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বসা স্থানীয় এক সহযোগী। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিদ্যুৎ বিল আদায় লক্ষ্যে মাইকিং করে চলেছেন তারা। এ দৃশ্য দেখা যায় কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রামে। শতভাগ আদায়ের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেয়া বললেন সাব- জোন অফিসের এজিএমকম শরিফুল ইসলাম।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর সাব- জোন অফিসের আওতায় ৩২ হাজার ৯ শ ৯৮ জন গ্রাহক রয়েছে।  প্রতি মাসে অফিসটি বিক্রি করেন,১ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ।  জুন মাসে বকেয়া বিল ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর বকেয়া বিল তুলতে ও লক্ষ্য মাত্রা পূরন করতে এ পথে হাটছেন অফিসটি।

জুন মাস পড়লে লক্ষ্য মাত্রা বেধে দেয়া হয় বকেয়া বিল আদায়ের। এরপর চলে বকেয়া বিল আদায়ের পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী এ কাজ করা।

কোটচাঁদপুর সাব জোন অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান খাইরুল আলম বলেন,বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা সজাগ হয়ে যান। তারা বিল দিতে চলে আসেন। এ পথে বিল আদায়ের পরিমান ও ভাল হচ্ছে।
তিনি বলেন, সকালে এসে এ গ্রামের একজন হ্যান্ড মাইক হাতে দিয়ে সারা গ্রাম মাইকিং করা হয়েছে। বলা হয়েছে বিল নেয়ার স্থানের নাম। একটু পর থেকে বিল আদায় শুরু করা হবে। এদিকে বাড়িতে বসে বিল দিতে পারায় খুশি গ্রাহকরাও।
ইকড়া গ্রামের গ্রাহক জিয়াউল ইসলাম ও শাহিন আলম বলেন,ব্যাংকে বিল দিতে গেলে সময় অপচয়।এরপর বাড়তি খরচ হয়, লাইনে দাড়াতে হয়।

বাড়ি থেকে বিল দিতে পারায় এ ধরনের ঝামেলা নাই। আবার বাড়তি কোন খরচও হয় না। এমন ব্যবস্থা প্রতি মাসে হলে ভাল হত। তাহলে বিল বকেয়া পড়তো না। গ্রাহকরা সারা বছর ব্যবস্থা চালু করার দাবী ও করেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় কোটচাঁদপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএমকম শরিফুল ইসলাম বলেন,জুন মাস পড়লে একটা লক্ষ্য মাত্রা দেয়া হয়। আর সেটি পূরন করতে নেয়া হয় এ ব্যবস্থা। জুন মাস পড়ার উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হয়।

এর যেদিন যে এলাকায় বিল আদায়ে যান,তারা সেদিন সেই এলাকায় হান্ড মাইকিং নিয়ে গিয়ে বলা হয় বিল দিয়ে যাওয়ার কথা।
এতে করে গ্রাহকরা সজাগ হন বিল দেয়ার ব্যাপারে। আর এভাবে বিল আদায়ে শতভাগ আদায় করাও সম্ভব হয়। অন্যদিকে গ্রাহকদের বিল দেয়ার বাড়তি চাপ থাকে না জুন মাসে। কারন অন্য সব মাসে সময় অপচয়  করে ব্যাংকে যেতে হত,এ মাসে যাওয়া লাগে না।

তিনি বলেন, এ অফিসে যোগদানের পর থেকে আমি এ ব্যবস্থায় বিল আদায় করে থাকি জুন মাস পড়লে।এতে বিল শতভাগ আদায় ও হয়। বিল আদায়ে অন্য সব অফিসের তুলনায় আমি এগিয়ে রয়েছি।এ বছরও তাঁর ব্যতয় ঘটবে না বলে আশা করছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিল আদায়

আপডেট সময় ০৩:০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ মটর সাইকেলের হাতলে ঝোলানো বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সরঞ্জাম। পিছনে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বসা স্থানীয় এক সহযোগী। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিদ্যুৎ বিল আদায় লক্ষ্যে মাইকিং করে চলেছেন তারা। এ দৃশ্য দেখা যায় কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রামে। শতভাগ আদায়ের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেয়া বললেন সাব- জোন অফিসের এজিএমকম শরিফুল ইসলাম।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর সাব- জোন অফিসের আওতায় ৩২ হাজার ৯ শ ৯৮ জন গ্রাহক রয়েছে।  প্রতি মাসে অফিসটি বিক্রি করেন,১ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ।  জুন মাসে বকেয়া বিল ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর বকেয়া বিল তুলতে ও লক্ষ্য মাত্রা পূরন করতে এ পথে হাটছেন অফিসটি।

জুন মাস পড়লে লক্ষ্য মাত্রা বেধে দেয়া হয় বকেয়া বিল আদায়ের। এরপর চলে বকেয়া বিল আদায়ের পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী এ কাজ করা।

কোটচাঁদপুর সাব জোন অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান খাইরুল আলম বলেন,বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা সজাগ হয়ে যান। তারা বিল দিতে চলে আসেন। এ পথে বিল আদায়ের পরিমান ও ভাল হচ্ছে।
তিনি বলেন, সকালে এসে এ গ্রামের একজন হ্যান্ড মাইক হাতে দিয়ে সারা গ্রাম মাইকিং করা হয়েছে। বলা হয়েছে বিল নেয়ার স্থানের নাম। একটু পর থেকে বিল আদায় শুরু করা হবে। এদিকে বাড়িতে বসে বিল দিতে পারায় খুশি গ্রাহকরাও।
ইকড়া গ্রামের গ্রাহক জিয়াউল ইসলাম ও শাহিন আলম বলেন,ব্যাংকে বিল দিতে গেলে সময় অপচয়।এরপর বাড়তি খরচ হয়, লাইনে দাড়াতে হয়।

বাড়ি থেকে বিল দিতে পারায় এ ধরনের ঝামেলা নাই। আবার বাড়তি কোন খরচও হয় না। এমন ব্যবস্থা প্রতি মাসে হলে ভাল হত। তাহলে বিল বকেয়া পড়তো না। গ্রাহকরা সারা বছর ব্যবস্থা চালু করার দাবী ও করেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় কোটচাঁদপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএমকম শরিফুল ইসলাম বলেন,জুন মাস পড়লে একটা লক্ষ্য মাত্রা দেয়া হয়। আর সেটি পূরন করতে নেয়া হয় এ ব্যবস্থা। জুন মাস পড়ার উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হয়।

এর যেদিন যে এলাকায় বিল আদায়ে যান,তারা সেদিন সেই এলাকায় হান্ড মাইকিং নিয়ে গিয়ে বলা হয় বিল দিয়ে যাওয়ার কথা।
এতে করে গ্রাহকরা সজাগ হন বিল দেয়ার ব্যাপারে। আর এভাবে বিল আদায়ে শতভাগ আদায় করাও সম্ভব হয়। অন্যদিকে গ্রাহকদের বিল দেয়ার বাড়তি চাপ থাকে না জুন মাসে। কারন অন্য সব মাসে সময় অপচয়  করে ব্যাংকে যেতে হত,এ মাসে যাওয়া লাগে না।

তিনি বলেন, এ অফিসে যোগদানের পর থেকে আমি এ ব্যবস্থায় বিল আদায় করে থাকি জুন মাস পড়লে।এতে বিল শতভাগ আদায় ও হয়। বিল আদায়ে অন্য সব অফিসের তুলনায় আমি এগিয়ে রয়েছি।এ বছরও তাঁর ব্যতয় ঘটবে না বলে আশা করছি।