ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির ঈদ পূনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন সোমবার আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাওর রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা আসাহিদ আহমদ’কে পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে ডিবির বিশেষ অভিযান বিদেশী মদসহ যুবক আ/ট/ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের কোনোভাবে স্থান দেয়ার সুযোগ নেই’ বিএনপির কর্মী সমাবেশে… ময়ূন পীচ কিউরেটর শাহজান এর বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে দুই মাদক ব্যবসায়ী আ/ট/ক বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট আহবায়ক এড.রুনু সদস্য সচিব শ্যামলী

কলেজ ছাত্রীকে ধ র্ষ ণের অভিযোগ,নিরাপত্তা কর্মী ব র খা স্ত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৫২১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ছাত্রকে হেনস্তা করার অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মী রোমান মিয়া (৩২) কে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনা তদন্তে ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দা রকিবুন্নাহারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বৃন্দাবন কলেজের অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তা কর্মী) রোমান মিয়া গত ১০ জুলাই কলেজ চলাকালীন সময়ে জনৈক এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কলেজের অধ্যক্ষকে অবগত করলে অধ্যক্ষ রোমান মিয়াকে তার কক্ষে তলব করেন। অধ্যক্ষর জিজ্ঞাসাবাদে রুমান মিয়া ধর্ষণ এর কথা অস্বীকার করে। এসময় অভিযুক্ত রোমান মিয়া ধর্ষণের অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেন এবং তিনি জানান, একটি কক্ষে এক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে দেখে ওই ছাত্রী ও ছাত্রকে সে মারধর করেছে। তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ বা কোনো রকমের যৌন হেনস্তা করেননি।

সরকারী বৃন্দাবন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, ফেইসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হলেও কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এবং নিরাপত্তা কর্মীর রোমান মিয়ার বক্তব্যে পার্থক্য রয়েছে। রোমান মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সরকারী বৃন্দাবন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেওয়ান জামাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিঠিকে। সিসিটিভি ফুটেজ ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কলেজ ছাত্রীকে ধ র্ষ ণের অভিযোগ,নিরাপত্তা কর্মী ব র খা স্ত

আপডেট সময় ০৩:১৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ছাত্রকে হেনস্তা করার অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মী রোমান মিয়া (৩২) কে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনা তদন্তে ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দা রকিবুন্নাহারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বৃন্দাবন কলেজের অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তা কর্মী) রোমান মিয়া গত ১০ জুলাই কলেজ চলাকালীন সময়ে জনৈক এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কলেজের অধ্যক্ষকে অবগত করলে অধ্যক্ষ রোমান মিয়াকে তার কক্ষে তলব করেন। অধ্যক্ষর জিজ্ঞাসাবাদে রুমান মিয়া ধর্ষণ এর কথা অস্বীকার করে। এসময় অভিযুক্ত রোমান মিয়া ধর্ষণের অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেন এবং তিনি জানান, একটি কক্ষে এক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে দেখে ওই ছাত্রী ও ছাত্রকে সে মারধর করেছে। তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ বা কোনো রকমের যৌন হেনস্তা করেননি।

সরকারী বৃন্দাবন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, ফেইসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হলেও কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এবং নিরাপত্তা কর্মীর রোমান মিয়ার বক্তব্যে পার্থক্য রয়েছে। রোমান মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সরকারী বৃন্দাবন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেওয়ান জামাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিঠিকে। সিসিটিভি ফুটেজ ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।