ব্রেকিং নিউজ
হাওর অঞ্চলে উন্নয়নের আভাস দিয়ে সংসদ সদস্য হতে চান মাহবুব খান
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ০৪:১৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৫১৬ বার পড়া হয়েছে
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে সুনামগঞ্জ-১ (এক) আসন সংসদীয় আসন ২২৪ থেকে সংসদ সদস্য হতে চান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান।
ইতিমধ্যে মাহবুব খান প্রচার প্রচারণায় কাজ করে যাচ্ছেন ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি গ্রাম, বাজার, ইউনিয়ন ও উপজেলায়। মাহবুব খান বলেন আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান, আমি নিজেও স্কৃল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি সাথে জড়িত।
এখন ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সাবেক হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমি স্কুল, কলেজ, ইউনিয়ন, উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি এবং সোহাগ নাজমুল পরিষদে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলাম।
২০১৮ সালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এবং ২০২২ সালে ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলাম। চার বছর আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত বারো বছর আমি সুনামগঞ্জ-১ (এক) আসনের প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলায় কাজ করেছি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিটি নেতা কর্মী সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি এলাকার রাজনীতিতে আমি প্রতিটি গ্রুপের উর্ধ্বে এবং আমার বিষয়ে কোন গ্রুপের দ্বিমত নেই। একমাত্র আমিই পারবো সকল গ্রুপিংয়ের উর্ধ্বে উঠে সবাই কে নিয়ে একসাথে কাজ করতে। এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
আমি ও আমার পরিবার এলাকার মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে করে যাচ্ছি। সুনামগঞ্জ-১ (এক) আসনে আমার পরিবারের মর্যাদা ও সম্মানের একটি জায়গা রয়েছে। আমার বাবা মো. আনোয়ার হোসেন খান (সদস্য, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগ) তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর জয়শ্রী ইউনিয়ন এর সম্মানিত সদস্য ছিলেন। সুনামের সাথে জনগণের সাথে থেকে কাজ করেছেন তিনি।
আমার দাদা মো. আজিজুর রহমান খান (সাবেক প্রধান শিক্ষক) দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং আমার দাদীসহ পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমরাও বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার অনুসারী হয়ে রাজপথে এখনো আছি। আমার জন্ম ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে প্রত্যন্ত এলাকায়। এই হাওরের মাঝেই আমার বেড়ে ওঠা। শৈশবের দিনগুলো এই মাটিতে ও পানিতে মিশে আছে আমার। আমার গ্রামে ভাল রাস্তা ও স্কুলের ব্যবস্থা ছিল না তাই এখান থেকে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজ এই অবস্থানে পৌছেছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছি। আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাটি অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন। তাই আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। যাতে মনোনয়ন পেয়ে আপনাদের পাশে সুখে দুঃখে থাকতে পারি ও এলাকার উন্নয়নের সাথে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অংশ নিতে পারি, এজন্য আমার এলাকাবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
মাহবুব খান ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে স্বস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ ও স্নেহ নিয়ে তিনি দেশের উন্নয়নের প্রচারের কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের কাছে নিজের ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন।
মাহবুব খান বলেন, আমি বিগত আটারো বছর ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এরমধ্যে বারো বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কেন্দ্রীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। বিগত সময়ে বিএনপি জামাত হেফাজত সহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি এবং সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি সবর্দাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার চিন্তাচেতনাকে ধারণ করে কাজ করেছি। সকল পঙ্কিলতা, গুজব ও অপপ্রচারে বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে কাজ করেছি যা এখনো চলমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এক অগ্র সৈনিক হিসেবে আমার কাজ চলমান এবং সেই স্বপ্ন নিয়েই আমি সুনামগঞ্জ-১ (এক) আসনে কাজ করতে চাই। এলাকাবাসীর জন্য আমার নির্বাচনী ইশতেহার– ১.মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে নগর, সেই স্লোগান কে মূলমন্ত্র করে সুনামগঞ্জ -১ (এক) আসনের প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নগরায়ন বাস্তবায়ন করা। ২.টাঙ্গুয়ার হাওর, জাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, টেকেরঘাট, বাড়িক্কা টিলা ও নীলাদ্রি সহ চার উপজেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা। ৩.অকাল বন্যা থেকে সুনামগঞ্জ-১ (এক) আসনের বৈশাখী ফসল রক্ষা করার জন্য স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মান ও প্রতিটি নদী খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দেশকে খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণ করার জন্য এই হাওরের কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা । ৪.হাওর অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামের সাথে উপজেলা ও জেলা যোগাযোগের জন্য পাকা সড়ক নির্মান। ৫.আধুনিক শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে হাওর অঞ্চলের প্রতিটি উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষার ব্যবস্থা করা (ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষার আধুনিকায়ন)। ৬.সুনামগঞ্জ এক আসনের প্রতিটি মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নত করা। ৭.রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সাথে দৃঢ় সেতু বন্ধন গড়ে তোলা। ৮. প্রশাসন ও জনগণ এই দুইয়ের মাঝে সেবামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা। ৯.সকল স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ১০.কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ন্যায্য মূল্যে বাজারজাত নিশিত করা। ১১. বর্ষায় ভয়াবহ বন্যা থেকে গ্রাম গুলো রক্ষার জন্য প্রতিটি গ্রামে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বা
ট্যাগস :