ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে
মোঃ মঈন উদ্দিন খান: শেয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া সজিব হালদার(২২) আর চিন্ময় ঘোষ (১৯)। শেয়াল থেকে দৌড়ে বাঁচলেন তাঁরা। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের বাওড় পাড়ে। এদের মধ্যে সজিব হালদার চিকিৎসা নেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,অন্যজন মহেশপুরে।
সজিব হালদারের পিতা সাধন হালদার বলেন, শুক্রবার,ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা বাজে।প্রতিদিনের মত সজিব ফ্রিসারি ঘাটে বসে মোবাইলে কথা বলছিল। হঠাৎ করে একটা শেয়াল এসে,তাঁর বাম হাতের কব্জিতে কামড় দিয়ে ধরে।
এ সময় সে হতবাক হয়ে যায়। কোন উপায় না পেয়ে হাতে থাকা মোবাইল ছুড়ে মারে শেয়ালের গায়ে। এতে করে ওই শেয়াল রাগান্বিত হয়ে,ছুটে এসে ডান হাতে কামড়ে ধরে। এরপর সে ভয়ে ওইস্থান থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসে। শেয়ালের কামড়ে তাঁর দুই হাতের বেশ কয়েক স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
পরে স্বজনদের সহায়তায় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে চিকিৎসা দিলে আমরা বাড়িতে চলে আসি।
তিনি বলেন,ওই একই সময় আমার প্রতিবেশী অশোক ঘোষের ছেলে চিন্ময় ঘোষ কেও কামড়ে দেন শেয়ালে। এতে সেই আহত হন। পরে অশোক ঘোষ ছেলে কে নিয়ে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে এনেছেন।
সজিব হালদার আর চিন্ময় ঘোষ দুই জনই কলেজ ছাত্র বলে জানা গেছে। তাঁরা মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বির হোসেন বলেন,শেয়ালের কামড়ে দুই হাতেই ক্ষত হয়েছিল সজিব হালদারের। তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তারা বাড়িতে চলে যান।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শেয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী 

আপডেট সময় ১১:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মোঃ মঈন উদ্দিন খান: শেয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন কলেজ পড়ুয়া সজিব হালদার(২২) আর চিন্ময় ঘোষ (১৯)। শেয়াল থেকে দৌড়ে বাঁচলেন তাঁরা। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের বাওড় পাড়ে। এদের মধ্যে সজিব হালদার চিকিৎসা নেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,অন্যজন মহেশপুরে।
সজিব হালদারের পিতা সাধন হালদার বলেন, শুক্রবার,ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা বাজে।প্রতিদিনের মত সজিব ফ্রিসারি ঘাটে বসে মোবাইলে কথা বলছিল। হঠাৎ করে একটা শেয়াল এসে,তাঁর বাম হাতের কব্জিতে কামড় দিয়ে ধরে।
এ সময় সে হতবাক হয়ে যায়। কোন উপায় না পেয়ে হাতে থাকা মোবাইল ছুড়ে মারে শেয়ালের গায়ে। এতে করে ওই শেয়াল রাগান্বিত হয়ে,ছুটে এসে ডান হাতে কামড়ে ধরে। এরপর সে ভয়ে ওইস্থান থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসে। শেয়ালের কামড়ে তাঁর দুই হাতের বেশ কয়েক স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
পরে স্বজনদের সহায়তায় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে চিকিৎসা দিলে আমরা বাড়িতে চলে আসি।
তিনি বলেন,ওই একই সময় আমার প্রতিবেশী অশোক ঘোষের ছেলে চিন্ময় ঘোষ কেও কামড়ে দেন শেয়ালে। এতে সেই আহত হন। পরে অশোক ঘোষ ছেলে কে নিয়ে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে এনেছেন।
সজিব হালদার আর চিন্ময় ঘোষ দুই জনই কলেজ ছাত্র বলে জানা গেছে। তাঁরা মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বির হোসেন বলেন,শেয়ালের কামড়ে দুই হাতেই ক্ষত হয়েছিল সজিব হালদারের। তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তারা বাড়িতে চলে যান।