ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়োগের আগেই নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  নিয়োগের আগেই সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন,ভুক্তভোগি ফিরোজ হোসেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুরের বলিভদ্রপুর,রামচন্দ্রপুর,আজমপুর, কাশিপুর, সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। টাকা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না,দাবি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির।
জানা যায়,মহেশপুরের বলিভদ্রপুর,রামচন্দ্রপুর,আজমপুর, কাশিপুর, সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবসৃষ্ট ৪ টি পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে। পদগুলোর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক ০১ জন, আয়া ০১ জন, নিরাপত্তা কর্মী ০১ জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী (০১)। গেল ২৯ মে  ওই সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায়।
এরপর আগ্রহী প্রার্থীরা বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় বরাবর আবেদন ও করেছেন বেশ কয়েক। এরমধ্যে  একজন হচ্ছেন,ফিরোজ হোসেন। তিনি আবেদন করেছেন,নিরাপত্তা কর্মী পদে। এ পদে নিয়োগ পেতে ১৩ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই ভুক্তভোগী।
ফিরোজ হোসেন বলেন,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি আবেদন করি নিরাপত্তা রক্ষী পদে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি ওই পদে চাকুরী পেতে ১৩ লাখ টাকার দাবি করেন আমার কাছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন,টাকা চাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর কে টাকা চেয়েছে,তাও আমার জানা নাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিনুর ইসলাম তোতা বলেন,বিদ্যালয়ে ৪ টি পদে নিয়োগ রয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে। এ সব পদে নিয়োগে জন্য টাকা চাওযার অভিযোগ উঠেছে আপনার ও সভাপতির বিরুদ্ধে,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, টাকা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। সভাপতি চাইতে পারে কিনা,জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনিও টাকা চাওয়ার মত মানুষ না। কে টাকা চেয়েছেন,তা আমার জানা নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল বলেন,নিয়োগ আছে কিনা জানা নাই। আর অর্থ বানিজ্য হচ্ছে কিনা সেটাও আমার জানা নাই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, এ সম্পর্কে কিছু জানেন কি,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, ওই সব ম্যানেজিং কমিটি করেন। ওখানে আমাদের লাগে না।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নিয়োগের আগেই নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  নিয়োগের আগেই সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন,ভুক্তভোগি ফিরোজ হোসেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে মহেশপুরের বলিভদ্রপুর,রামচন্দ্রপুর,আজমপুর, কাশিপুর, সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। টাকা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না,দাবি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির।
জানা যায়,মহেশপুরের বলিভদ্রপুর,রামচন্দ্রপুর,আজমপুর, কাশিপুর, সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবসৃষ্ট ৪ টি পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে। পদগুলোর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক ০১ জন, আয়া ০১ জন, নিরাপত্তা কর্মী ০১ জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী (০১)। গেল ২৯ মে  ওই সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায়।
এরপর আগ্রহী প্রার্থীরা বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় বরাবর আবেদন ও করেছেন বেশ কয়েক। এরমধ্যে  একজন হচ্ছেন,ফিরোজ হোসেন। তিনি আবেদন করেছেন,নিরাপত্তা কর্মী পদে। এ পদে নিয়োগ পেতে ১৩ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই ভুক্তভোগী।
ফিরোজ হোসেন বলেন,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি আবেদন করি নিরাপত্তা রক্ষী পদে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি ওই পদে চাকুরী পেতে ১৩ লাখ টাকার দাবি করেন আমার কাছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন,টাকা চাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর কে টাকা চেয়েছে,তাও আমার জানা নাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিনুর ইসলাম তোতা বলেন,বিদ্যালয়ে ৪ টি পদে নিয়োগ রয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে। এ সব পদে নিয়োগে জন্য টাকা চাওযার অভিযোগ উঠেছে আপনার ও সভাপতির বিরুদ্ধে,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, টাকা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। সভাপতি চাইতে পারে কিনা,জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনিও টাকা চাওয়ার মত মানুষ না। কে টাকা চেয়েছেন,তা আমার জানা নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল বলেন,নিয়োগ আছে কিনা জানা নাই। আর অর্থ বানিজ্য হচ্ছে কিনা সেটাও আমার জানা নাই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, এ সম্পর্কে কিছু জানেন কি,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, ওই সব ম্যানেজিং কমিটি করেন। ওখানে আমাদের লাগে না।