ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে পুলিশের মামলায় মৃত ও প্রবাসীরা আসামী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫০১ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পুলিশ বাদী হয়ে করা একটি মামলায় মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার(৫অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামী জুড়ী শহরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একটি মিছিল করে। মিছিলের পর পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়াও ২৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।

 

মামলার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরা জনসাধারণের যান চলাচল বন্ধ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা অমান্য করে তারা মিছিল করে এবং নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে সরকারি কাজে বাধা দান করে। উক্ত ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি মামলা করে।

 


মামলার এজহারভুক্ত দুইজন আসামী পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বলেন, মামলার ১১নং আসামি লোকমান হোসেন মারা গেছেন ২০১৭ সালের ৪ আগস্ট। তিনি উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের হাজী রমুজ আলীর ছেলে। এ মামলার ৬নং আসামি জায়েদ আহমদ ৫ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। জায়েদ উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত ফয়জুল্লাহর ছেলে। ফুলতলা ইউনিয়নের রজব উদ্দীনের ছেলে বুরহান উদ্দীন দুই বছর ধরে আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। মামলায় তাকে ২৩নং আসামি করা হয়েছে।

 

ফুলতলা বাজারের ইব্রাহীম আলীর ছেলে নাঈম উদ্দীন ফ্রান্সে পাড়ি জমান ২ বছর আগে। তাকেও পুলিশের করা এই মামলায় ২৪নং আসামি করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীরা আসামি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, এ রকম কিছু হয়ে থাকলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে পুলিশের মামলায় মৃত ও প্রবাসীরা আসামী

আপডেট সময় ০২:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পুলিশ বাদী হয়ে করা একটি মামলায় মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার(৫অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামী জুড়ী শহরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একটি মিছিল করে। মিছিলের পর পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়াও ২৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।

 

মামলার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরা জনসাধারণের যান চলাচল বন্ধ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা অমান্য করে তারা মিছিল করে এবং নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে সরকারি কাজে বাধা দান করে। উক্ত ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি মামলা করে।

 


মামলার এজহারভুক্ত দুইজন আসামী পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াত নেতারা বলেন, মামলার ১১নং আসামি লোকমান হোসেন মারা গেছেন ২০১৭ সালের ৪ আগস্ট। তিনি উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের হাজী রমুজ আলীর ছেলে। এ মামলার ৬নং আসামি জায়েদ আহমদ ৫ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। জায়েদ উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত ফয়জুল্লাহর ছেলে। ফুলতলা ইউনিয়নের রজব উদ্দীনের ছেলে বুরহান উদ্দীন দুই বছর ধরে আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। মামলায় তাকে ২৩নং আসামি করা হয়েছে।

 

ফুলতলা বাজারের ইব্রাহীম আলীর ছেলে নাঈম উদ্দীন ফ্রান্সে পাড়ি জমান ২ বছর আগে। তাকেও পুলিশের করা এই মামলায় ২৪নং আসামি করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীরা আসামি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, এ রকম কিছু হয়ে থাকলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।