ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে জলাবদ্ধতা ও ফসল নিমজ্জিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

লাখাই প্রতিনিধিঃ লাখাইয়ে পানি নিষ্কাশনের খাল- নালা দখল করে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি ও অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ, ব্রীজ,কালভার্ট নির্মানের ফলে জলাবদ্ধতা দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে।সামান্য বৃষ্টি পাত হলেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তা কৃষি জমি প্লাবিত হয়ে যায়।

উপজেলার সর্বত্র এ অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন এগুলো দেখার কেউ নেই।

প্রভাবশালী ও দখলদারদের কবলে খাল- নালা কুক্ষিগত হওয়ায় লাখাইয়ের কৃষি ক্ষেত্রে পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব।

এক সময় লাখাইয়ের আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে ছিল সুপ্রসস্থ খাল। এ খালে চলতো নৌকাসহ জলযান কালের আবর্তে সেই খাল দখল হয়ে যাওয়ায় তা অস্তিত্ব সংকটে। এছাড়াও উপজেলার আন্তঃইউনিয়ন সড়ক গুলোর পাশে থাকা খালগুলো দীর্ঘদিন যাবত খনন না হওয়ায় এবং স্থানে স্থানে ভরাট,দখল ও স্থাপনা তৈরির ফলে পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক গতি হারাতে বসেছে।
ফলশ্রুতিতে সামান্য বৃষ্টি পাত হলেই লাখাইয়ের বিভিন্ন মাঠে দেখা দেয় সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা।
এতে কোন কোন মাঠের ফসল আংশিক বা ক্ষেত্র বিশেষে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এতে কৃষক কূলের কষ্টার্জিত ফলসের ক্ষতি সাধন হয়।

সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় হবিগঞ্জ -আঞ্চলিক মহা সড়কের দক্ষিন পাশের খালের করাব,রাঢ়িশাল, বুল্লাবাজার, পশ্চিম বুল্লা, শালদিঘা,ভাদিকারা, বামৈ অংশে খালের উপর স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা তৈরির ফলে খালের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলছে। আর যে অংশে এখনো খালের অস্তিত্ব রয়েছে তাও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও আন্তঃ ইউনিয়ন সড়ক যোগাযোগের সড়কের পাশের খালগুলোর অবস্থাও তথৈবচ।
বুল্লাবাজার হইতে গুনিপুর সড়কের গুনিপুর অংশে ঘরবাড়ি তৈরি ও অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ এবং অবৈধ খাল দখল এর কারণে বিস্তীর্ন মাঠের পানি যথানিয়মে নিষ্কাশন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠে ফসল।
উপজেলার প্রতিটি খালের কম-বেশি একই অবস্থা লক্ষ্যনীয়।
বিগত ২ দিনের টানা ভারী বর্ষনের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় উঠতি রোপা আমনের জমিগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে সৃষ্ট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশনা রয়েছে যে সিএস খতিয়ান ভুক্ত সব খাল, বিল, নদী, নালা দখল মুক্ত করার জন্য। তবে পর্যায় ক্রমে অবৈধ দখলকৃত খাল, বিল, নদী নালা দখল মুক্ত করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন জলাবদ্ধতা কৃষি ক্ষেত্রে কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল- নালা খনন ও দখল মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলার যে সকল খাল অবৈধ দখলে রয়েছে এবং অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ দেওয়া হয়েছে তা নিরুপন করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে এলাকার কৃষক ও সুশীল সমাজের সাথে আলাপকালে তারা জানান অবৈধ খাল, বিল, নদী, নালা দখল মুক্ত না করলে আমাদের ও কৃষকদের জমির ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গগন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

লাখাইয়ে জলাবদ্ধতা ও ফসল নিমজ্জিত

আপডেট সময় ০৮:১৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

লাখাই প্রতিনিধিঃ লাখাইয়ে পানি নিষ্কাশনের খাল- নালা দখল করে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি ও অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ, ব্রীজ,কালভার্ট নির্মানের ফলে জলাবদ্ধতা দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে।সামান্য বৃষ্টি পাত হলেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তা কৃষি জমি প্লাবিত হয়ে যায়।

উপজেলার সর্বত্র এ অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন এগুলো দেখার কেউ নেই।

প্রভাবশালী ও দখলদারদের কবলে খাল- নালা কুক্ষিগত হওয়ায় লাখাইয়ের কৃষি ক্ষেত্রে পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব।

এক সময় লাখাইয়ের আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে ছিল সুপ্রসস্থ খাল। এ খালে চলতো নৌকাসহ জলযান কালের আবর্তে সেই খাল দখল হয়ে যাওয়ায় তা অস্তিত্ব সংকটে। এছাড়াও উপজেলার আন্তঃইউনিয়ন সড়ক গুলোর পাশে থাকা খালগুলো দীর্ঘদিন যাবত খনন না হওয়ায় এবং স্থানে স্থানে ভরাট,দখল ও স্থাপনা তৈরির ফলে পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক গতি হারাতে বসেছে।
ফলশ্রুতিতে সামান্য বৃষ্টি পাত হলেই লাখাইয়ের বিভিন্ন মাঠে দেখা দেয় সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা।
এতে কোন কোন মাঠের ফসল আংশিক বা ক্ষেত্র বিশেষে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এতে কৃষক কূলের কষ্টার্জিত ফলসের ক্ষতি সাধন হয়।

সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় হবিগঞ্জ -আঞ্চলিক মহা সড়কের দক্ষিন পাশের খালের করাব,রাঢ়িশাল, বুল্লাবাজার, পশ্চিম বুল্লা, শালদিঘা,ভাদিকারা, বামৈ অংশে খালের উপর স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা তৈরির ফলে খালের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলছে। আর যে অংশে এখনো খালের অস্তিত্ব রয়েছে তাও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও আন্তঃ ইউনিয়ন সড়ক যোগাযোগের সড়কের পাশের খালগুলোর অবস্থাও তথৈবচ।
বুল্লাবাজার হইতে গুনিপুর সড়কের গুনিপুর অংশে ঘরবাড়ি তৈরি ও অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ এবং অবৈধ খাল দখল এর কারণে বিস্তীর্ন মাঠের পানি যথানিয়মে নিষ্কাশন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাঠে ফসল।
উপজেলার প্রতিটি খালের কম-বেশি একই অবস্থা লক্ষ্যনীয়।
বিগত ২ দিনের টানা ভারী বর্ষনের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় উঠতি রোপা আমনের জমিগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এর সাথে সৃষ্ট ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশনা রয়েছে যে সিএস খতিয়ান ভুক্ত সব খাল, বিল, নদী, নালা দখল মুক্ত করার জন্য। তবে পর্যায় ক্রমে অবৈধ দখলকৃত খাল, বিল, নদী নালা দখল মুক্ত করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন জলাবদ্ধতা কৃষি ক্ষেত্রে কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল- নালা খনন ও দখল মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলার যে সকল খাল অবৈধ দখলে রয়েছে এবং অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ দেওয়া হয়েছে তা নিরুপন করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে এলাকার কৃষক ও সুশীল সমাজের সাথে আলাপকালে তারা জানান অবৈধ খাল, বিল, নদী, নালা দখল মুক্ত না করলে আমাদের ও কৃষকদের জমির ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গগন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।