ইসরাইল বিরোধী স্লোগানে মুখরিত জুড়ী উপজেলা
- আপডেট সময় ১১:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
জুড়ী প্রতিনিধিঃ মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলী ইহুদি সন্ত্রাসী ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তালামীযে ইসলামিয়া জুড়ী উপজেলা শাখা।
মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জুড়ী উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ২ঘটিকায় জুড়ী বায়তুল আমান আদি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল চলাকালে ছাত্র-জনতা ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও ওআইসির কঠোর পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশে ইসরাইল সংশ্লিষ্ট সকল পণ্য ও ব্র্যান্ডকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে, সাবিলুনা সাবিলুনা-আল জিহাদ আল জিহাদ,নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার,ইসরাইল নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক”ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে জুড়ী উপজেলা তালামীযের সভাপতি এমরান হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ পারভেজ এর সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ জুড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ , জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মনজুরে আলম লাল,জুড়ী শহর আল ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক এম এ মকসুদ জুনেদ।
এসময় বক্তারা বলেন, বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। আমরা শুধু ফিলিস্তিনিদের পক্ষে না, আমরা সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষে। ফিলিস্তিনি মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার পর যখন প্রতিবাদ করেছে, তখন পশ্চিমা বিশ্ব তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী আখ্যা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে।
মজলুমের সঙ্গে জালেমের সংঘাত হচ্ছে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত। এর পেছনে ভূ-রাজনীতি, ধর্মীয় বিষয় এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থ জড়িত। ইহুদিরা ফিলিস্তিনের মধ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নিপীড়কের ভূমিকা পালন করছে। ইহুদিদের এখন যে ইউরোপিয়ানরা মদদ দিচ্ছে, একসময় তাদের কাছেই তারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের আশ্রয়স্থল ছিল এই আরব বিশ্ব। আমরা তখন তাদের তাড়িয়ে দিইনি বা জার্মানদের হাতে তুলে দিইনি। এখন সেই একই পরিণতি পাচ্ছি আমরা।
ইহুদি সন্ত্রাসীরা ফিলিস্তিনের স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ করে মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু চেয়ে চেয়ে দেখছে, মুসলিমরা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বললেই তথাকথিত মানবাধিকারকর্মীরা মুসলিম বাহিনীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেন। গাজাবাসীর হারানোর কিছু নেই, ইহুদি সন্ত্রাসীরা প্রতিবার সিয়াম (রোজা) সাধনার সময় একবার হলেও হামলা করে। আজকের এই লড়াই কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয় বরং এটি মানবতার পক্ষে লড়াই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আনজুমানে আল ইসলাহ জুড়ী উপজেলা শাখার সহ সভাপতি হাফিজ বদরুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা আল ইসলাহ’র সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাওঃ ময়নুল ইসলাম, সাগরনাল ইউনিয়ন আল ইসলাহ’র সহ-সভাপতি হাফিজ রিয়াজ উদ্দিন ময়না,পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন আল-ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক মাওঃ শিহাব উদ্দিন, জুড়ী শহর আল ইসলাহ’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা তালামীযের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ, মাওলানা জামাদুল ইসলাম, জুড়ী শহর তালামীযের সাবেক দায়িত্বশীল মাহমুদুল ইসলাম বেলাল, উপজেলা তালামীযের সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন, হাফিজ লুৎফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হুছাম উদ্দিন মাছুম প্রমুখ।