ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে ন্যাজ্যারীণ মিশনের জার্মান ডক্টর’স ক্লিনিকের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাংলাদেশ ন্যাজ্যারীণ মিশন জার্মানীর দাতা সংস্থা ‘জার্মান ডক্টর’স এর সহযোগিতায় ‘চা বাগানের শ্রমিক এবং অন্যান্য দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্যপরিসেবা প্রকল্পের ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্ব নোয়াগাঁওস্থ ন্যাজ্যারীন মিশনের হলরুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রজেক্ট সর্ম্পকে সামগ্রিক ধারণা এবং চিত্রচিত্র উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কুমারেশ চন্দ্র বাউলিয়া।
এতে উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালের জুলাই মাসে ন্যাজ্যারীণ মিশনের তত্ত¡াবধানে এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা জার্মান ডক্টর’স সহযোগিতায় প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। যা শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়ন, কালিঘাট ইউনিয়ন ও আশিদ্রোণ ইউনিয়নে তিনটি আউটরীচ সেন্টার এবং পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামে কেন্দ্রীয় ক্লিনিকের মাধ্যমে গত ১৬ মাসে প্রায় ১২ হাজার ৮৯ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা, কিছু রোগীকে ডায়াগনসিস সেবা, বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫৫ জন রোগী এ সেবা গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন দুইজন চিকিৎসক নিরিবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন স্বাপেক্ষে জার্মানের দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসাসেবার এ প্রকল্পে সংযুক্ত রয়েছেন। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে।
সভায় চলমান প্রকল্পের সেবাসমূহ সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আরো সহজ উপায়ে কিভাবে তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া সম্ভব সেই কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন সেমিনারে চলমান প্রকল্পের সেবাসমূহ সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আরো সহজ উপায়ে কিভাবে তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া সম্ভব সেই কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পার্থ সারথি সিংহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী, শিক্ষক স্বপন হেম্ব্রম, ৩ নম্বর শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মালেকা বেগম, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিবেদক ইসমাইল মাহমুদ, সমাজকর্মী মো. সাব্বির হোসেন, ধর্মীয় প্রতিনিধি প্রসেন ঘোষ প্রমুখ।
সভার শেষ পর্বে প্রকল্পটির কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ১১ জন বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পূর্ণগঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন-ন্যাজ্যারীণ মিশনের জার্মান ডক্টর’স ক্লিনিক প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর কুমারেশ চন্দ্র বাউলিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পার্থ সারথি সিংহ, রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিবেদক ইসমাইল মাহমুদ, ৩ নম্বর শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মালেকা বেগম, শিক্ষক স্বপন হেম্ব্রম, চা বাগান প্রতিনিধি হোসেনাবাদ চা বাগানের সুধাম তাঁতী, ফুলছড়া চা বাগানের জগবন্ধু রায়, সমাজকর্মী নোয়াগাঁও গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন এবং ধর্মীয় প্রতিনিধি প্রসেন ঘোষ।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গলে ন্যাজ্যারীণ মিশনের জার্মান ডক্টর’স ক্লিনিকের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন

আপডেট সময় ০৩:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাংলাদেশ ন্যাজ্যারীণ মিশন জার্মানীর দাতা সংস্থা ‘জার্মান ডক্টর’স এর সহযোগিতায় ‘চা বাগানের শ্রমিক এবং অন্যান্য দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্যপরিসেবা প্রকল্পের ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্ব নোয়াগাঁওস্থ ন্যাজ্যারীন মিশনের হলরুমে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রজেক্ট সর্ম্পকে সামগ্রিক ধারণা এবং চিত্রচিত্র উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কুমারেশ চন্দ্র বাউলিয়া।
এতে উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালের জুলাই মাসে ন্যাজ্যারীণ মিশনের তত্ত¡াবধানে এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা জার্মান ডক্টর’স সহযোগিতায় প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। যা শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়ন, কালিঘাট ইউনিয়ন ও আশিদ্রোণ ইউনিয়নে তিনটি আউটরীচ সেন্টার এবং পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামে কেন্দ্রীয় ক্লিনিকের মাধ্যমে গত ১৬ মাসে প্রায় ১২ হাজার ৮৯ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা, কিছু রোগীকে ডায়াগনসিস সেবা, বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫৫ জন রোগী এ সেবা গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন দুইজন চিকিৎসক নিরিবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন স্বাপেক্ষে জার্মানের দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসাসেবার এ প্রকল্পে সংযুক্ত রয়েছেন। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে।
সভায় চলমান প্রকল্পের সেবাসমূহ সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আরো সহজ উপায়ে কিভাবে তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া সম্ভব সেই কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন সেমিনারে চলমান প্রকল্পের সেবাসমূহ সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আরো সহজ উপায়ে কিভাবে তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া সম্ভব সেই কর্মপদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পার্থ সারথি সিংহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী, শিক্ষক স্বপন হেম্ব্রম, ৩ নম্বর শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মালেকা বেগম, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিবেদক ইসমাইল মাহমুদ, সমাজকর্মী মো. সাব্বির হোসেন, ধর্মীয় প্রতিনিধি প্রসেন ঘোষ প্রমুখ।
সভার শেষ পর্বে প্রকল্পটির কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ১১ জন বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পূর্ণগঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন-ন্যাজ্যারীণ মিশনের জার্মান ডক্টর’স ক্লিনিক প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর কুমারেশ চন্দ্র বাউলিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পার্থ সারথি সিংহ, রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিবেদক ইসমাইল মাহমুদ, ৩ নম্বর শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মালেকা বেগম, শিক্ষক স্বপন হেম্ব্রম, চা বাগান প্রতিনিধি হোসেনাবাদ চা বাগানের সুধাম তাঁতী, ফুলছড়া চা বাগানের জগবন্ধু রায়, সমাজকর্মী নোয়াগাঁও গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন এবং ধর্মীয় প্রতিনিধি প্রসেন ঘোষ।