ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
যদি সৎ নেতৃত্ব আসে তাহলে পাঁচ বছরে দেশ বদলে যাবে : ডা: শফিকুর রহমান পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মৌলভীবাজার২৪ ডট কমের সম্পাদকের শুভেচ্ছা সম্মানিত সিলেট বিভাগীয় প্রবাসী ঐক্য পরিষদের ঈদ পূণমিলনী” জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার সক্ষমতা যাদের রয়েছে, তারা হলেন আলিম-উলামা – ডাঃ শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার সড়ক দুর্ঘটনায় নি হ ত ২ আ হ ত ১ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের কোরবানির মাংস বিতরণ নিজ গ্ৰামে আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানের ঈদুল আজহা উদযাপন মৌলভীবাজার পৌর ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত জুড়ীতে বন্যার পানিতে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন -প্রধান উপদেষ্টা

মৌলভীবাজার পুলিশের সহযোগিতায় বাবা-মা ফিরে পেলেন দুই সন্তান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১১৪৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ পড়াশুনার চাপে পালিয়ে যাওয়া মাদরাসার ছাত্র দুই ভাইকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল মা-বাবার কাছে।

 

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তারা হলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের উলুয়াইল গ্রামের নাজমুল আহমদ চৌধুরীর ছেলে মোঃ শরীফুল ইসলাম চৌধুরী (১২) ও আরিফুল ইসলাম চৌধুরী রাহি (১৪)।

জানা যায় তাদের মামাতো ভাই মোবেদুর রহমান গত ১০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। পরে তদন্ত অফিসার এসআই অঞ্জন চন্দ্র সরকার এর উপর দায়িত্ব অর্পন করা হয়। পুলিশ সুপার নির্দেশে ভিকটিম উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার এর অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমানরত অবস্থায় এবং তৎপরতায় ভিকটিমকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭ টার  সময় নিজ বাড়িতে চলে আসিলে। ভিকটিমদ্বয়ের মাতা আফতারুন বেগম (৪০) এবং মামা মোঃ আবুল কালাম (৫৫) দ্বয়ের সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় আসিয়া হাজির হইলে, তাদেরবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা  জানায়,শাহধরন হাফিজিয়া মাদরাসা ও  কাজির বাজার মাদরাসায় তারা লেখা পড়া করত। পড়াশুনার চাপ সহ্য করিতে না পারিয়া পরস্পর তারা দুই ভাই আলোচনা করে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড হইতে হানিফ বাস যোগে ঢাকায় চলে যায়। পরবর্তীতে ঢাকার টঙ্গী এলাকায় নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ভিকটিম আরিফুল ইসলাম চৌধুরী রাহি (১৪) কাপড়ের ফ্যাক্টরীতে এবং মোঃ শরীফুল ইসলাম চৌধুরী (১২) সাবানের ফ্যাক্টরীতে কাজ নেয়।

পুলিশের তৎপরতা জানতে পেরে তারা নিজেরাই চলে আসে।

এব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন,পুলিশ সুপার নির্দেশনায় নিখোঁজ হওয়া যেকোন ভিকটিম উদ্ধারের জন্য  পুলিশ বদ্ধপরিকর।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার পুলিশের সহযোগিতায় বাবা-মা ফিরে পেলেন দুই সন্তান

আপডেট সময় ১২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ পড়াশুনার চাপে পালিয়ে যাওয়া মাদরাসার ছাত্র দুই ভাইকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল মা-বাবার কাছে।

 

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তারা হলেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের উলুয়াইল গ্রামের নাজমুল আহমদ চৌধুরীর ছেলে মোঃ শরীফুল ইসলাম চৌধুরী (১২) ও আরিফুল ইসলাম চৌধুরী রাহি (১৪)।

জানা যায় তাদের মামাতো ভাই মোবেদুর রহমান গত ১০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। পরে তদন্ত অফিসার এসআই অঞ্জন চন্দ্র সরকার এর উপর দায়িত্ব অর্পন করা হয়। পুলিশ সুপার নির্দেশে ভিকটিম উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার এর অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমানরত অবস্থায় এবং তৎপরতায় ভিকটিমকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭ টার  সময় নিজ বাড়িতে চলে আসিলে। ভিকটিমদ্বয়ের মাতা আফতারুন বেগম (৪০) এবং মামা মোঃ আবুল কালাম (৫৫) দ্বয়ের সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় আসিয়া হাজির হইলে, তাদেরবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা  জানায়,শাহধরন হাফিজিয়া মাদরাসা ও  কাজির বাজার মাদরাসায় তারা লেখা পড়া করত। পড়াশুনার চাপ সহ্য করিতে না পারিয়া পরস্পর তারা দুই ভাই আলোচনা করে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড হইতে হানিফ বাস যোগে ঢাকায় চলে যায়। পরবর্তীতে ঢাকার টঙ্গী এলাকায় নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ভিকটিম আরিফুল ইসলাম চৌধুরী রাহি (১৪) কাপড়ের ফ্যাক্টরীতে এবং মোঃ শরীফুল ইসলাম চৌধুরী (১২) সাবানের ফ্যাক্টরীতে কাজ নেয়।

পুলিশের তৎপরতা জানতে পেরে তারা নিজেরাই চলে আসে।

এব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন,পুলিশ সুপার নির্দেশনায় নিখোঁজ হওয়া যেকোন ভিকটিম উদ্ধারের জন্য  পুলিশ বদ্ধপরিকর।