বাংলাদেশি জাতিয়তাবাদের দর্শন দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান..সাবেক এমপি নাসের রহমান
- আপডেট সময় ০২:০০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
- / ৫২১ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, বাংলাদেশি জাতিয়তাবাদের দর্শন দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। অর্থাৎ এই সীমানার মধ্যে যারা আছে সবাই বাংলাদেশি। সবাইকে একতাবদ্ধ করার জন্য জিয়াউর রহমান দেশের উন্নয়নের ভাবনা দিয়েছেন। জিয়াকে নিয়ে তারাই সমালোচনা করেন, যারা এ দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যারা খালেদা জিয়ার আমলের ৪০ টাকার তেলকে দুইশ টাকা করে খাওয়াচ্ছেন। যারা ১৬ টাকার চাল ৮০ টাকায় খাওয়াচ্ছেন। যারা মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছেন। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকলে অর্থনীতির গতি আরও বেড়ে যেত। বর্তমানে কিছু লোকের হাতে অর্থনীতি চলে গেছে। এই অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনতে হলে জিয়াউর রহমানের অর্থনীতি দর্শন নিয়ে আসতে হবে। তারেক রহমান দেশে আসলে বিপ্লব হয়ে যাবে। বেগম খালেদা জিয়াকে একবার জনসম্মুখে আসতে দেন, দেখেন দেশে কী হয়।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র এম নাসের রহমান আরো বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। বিশ্বের নেতারা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের মতো দেশপ্রেমিক মানুষ হয় না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিশাল অংশ মুক্ত করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশের ক্ষমতা নেওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য প্রথম একটি দর্শন প্রণয়ন করেন। একটি ভাবনা দিয়েছেন, একটি চিন্তা দিয়েছেন। সেটি হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করা মানে নির্যাতিত জনগণকে স্মরণ করা। এ দেশে কৃষি উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ এমন কোনো বিষয় নেই যেখানে জিয়াউর রহমানের সময় উন্নতি লাভ করেনি। তিনিই প্রথম এ দেশের মানুষকে চাকরির জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি বিএনপির প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মুজিবুর রহমান মুজিব, জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সুনীল কুমার দাশ, জেলা আইনজীবি সমিতির সহ-সভাপতি ও এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সেক্রেটারী এড. আব্দুল মতিন চৌধুরী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. হেলু মিয়া, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাচ্চু, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জিতু মিয়া, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমীর মোহাম্মদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মহসীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রচার সম্পাদক রুমান আহমদ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহউর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নিজাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মমসাদ আহমদ, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন মাস্টার, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ফয়সল আহমদ, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল করিম ঈমানী, জেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি মারুফ আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পিপলু আব্দুল হাই, স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সদস্য ইছহাক চৌধুরী মামনুন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শিপন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলু আহমদ, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব কাজী আব্দুর রহিম প্রমুখ।
কামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সাইদুর রহমানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও শিরণী বিতরণ করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আকিল আহমদ।