ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির ঈদ পূনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন সোমবার আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাওর রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা আসাহিদ আহমদ’কে পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে ডিবির বিশেষ অভিযান বিদেশী মদসহ যুবক আ/ট/ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের কোনোভাবে স্থান দেয়ার সুযোগ নেই’ বিএনপির কর্মী সমাবেশে… ময়ূন পীচ কিউরেটর শাহজান এর বিদায় সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে দুই মাদক ব্যবসায়ী আ/ট/ক বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট আহবায়ক এড.রুনু সদস্য সচিব শ্যামলী

কোটচাঁদপুরে আম গাছে সবুজ পাতার ফাকে দেখা মিললো আগাম মুকুল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৮৮ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আম গাছে সবুজ পাতার ফাকে দেখা মিলতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আমের মুকুল আসার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই পৌষের শুরুতেই আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণে পৌর এলাকা সহ উপজেলা প্রতান্ত অঞ্চলের আম গাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। আগাম মুকুল আসায় উপজেলা জুড়ে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে মধুমাস সমাগত। আগাম মুকুল আশায় আম চাষিদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে এই সকল আগাম মুকুলের ক্ষতি হাওয়ায় আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ৭ শত  হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখান থেকে আম উৎপাদন হয় ১২ হজার ৬ শো মেট্রিকটন। এখানকার চাষকৃত আম হলো, ফজলি, ল্যাংড়া, গ্রেট বুম্বায় গোপালভোগ, আম্রপালি, ইত্যাদি  এদিকে আগাম মুকুলের দেখা দেওয়ায় বাগান মালিকরা অনেকটা আগে ভাগেই আম বাগানগুলোতে পরিচর্যার কাজ শুরু করেছে। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও কোটচাঁদপুর উপজেলাও কোনো অংশে কম নয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন  গ্রাম সহ পৌর এলাকার ঘুরে  দেখা যায় বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানের কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসতে শরু করেছে। কথা হয় পৌর এলাকার আম চাষী রাজেদুল ইসলাম রাজা মিয়া ও মনিরুল  ইসলামের সাথ তারা বলেন, আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই কিছু কিছু গাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। তবে আরো কিছু দিন পরে বাগানের প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।উপজেলা কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবির  জানান, এখনি মুকুল আশার সময় । আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণেই মূলত কিছু কিছু আমের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে জানুয়রির শেষ সময়ে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে আম গাছে সবুজ পাতার ফাকে দেখা মিললো আগাম মুকুল

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আম গাছে সবুজ পাতার ফাকে দেখা মিলতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আমের মুকুল আসার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই পৌষের শুরুতেই আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণে পৌর এলাকা সহ উপজেলা প্রতান্ত অঞ্চলের আম গাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। আগাম মুকুল আসায় উপজেলা জুড়ে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে মধুমাস সমাগত। আগাম মুকুল আশায় আম চাষিদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে এই সকল আগাম মুকুলের ক্ষতি হাওয়ায় আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ৭ শত  হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখান থেকে আম উৎপাদন হয় ১২ হজার ৬ শো মেট্রিকটন। এখানকার চাষকৃত আম হলো, ফজলি, ল্যাংড়া, গ্রেট বুম্বায় গোপালভোগ, আম্রপালি, ইত্যাদি  এদিকে আগাম মুকুলের দেখা দেওয়ায় বাগান মালিকরা অনেকটা আগে ভাগেই আম বাগানগুলোতে পরিচর্যার কাজ শুরু করেছে। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও কোটচাঁদপুর উপজেলাও কোনো অংশে কম নয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন  গ্রাম সহ পৌর এলাকার ঘুরে  দেখা যায় বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানের কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসতে শরু করেছে। কথা হয় পৌর এলাকার আম চাষী রাজেদুল ইসলাম রাজা মিয়া ও মনিরুল  ইসলামের সাথ তারা বলেন, আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই কিছু কিছু গাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। তবে আরো কিছু দিন পরে বাগানের প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।উপজেলা কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবির  জানান, এখনি মুকুল আশার সময় । আবহাওয়াগত ও জাত ভেদের কারণেই মূলত কিছু কিছু আমের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে জানুয়রির শেষ সময়ে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।