ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়ার পালটিলায় প্লাটুন টুয়েলভের ঘুড়ি উৎসব
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ০১:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: লাল সবুজ নীল রং-বেরঙের ঘুড়ি উড়াতে শিশির ভেজা সকাল থেকে তরুন-তরুণীরা জড়ো হোন মনের আনন্দে ঘুড়ি উৎসবে। কুলাউড়ার পালটিলার আকাশে সারাদিন রং-বেরঙের ঘুড়ি উড়াতে মেতেছিলেন হাজারো তরুণ-তরুণী সেই সাথে স্টলগুলোতে ছিল বাহারি পিঠা, চটপটি সহ হরেক রকমের খাদ্য সামগ্রীর আয়োজন। পালটিলার বটতলার মুক্ত মঞ্চে আলোচনা, মণিপুরী নৃত্য, খাসিয়া নৃত্য, বাউল সংগীত, লোক সংগীত, পুথি পাঠের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বাঙালি ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আয়োজকদের কোন কমতি ছিল না।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তিকে দূর করতে লুয়াইউনি হলিছড়া চা বাগানের পালটিলা নামক স্থানে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এবারও কুলাউড়ার সামাজিক সংগঠন প্লাটুন টুয়েলভের আয়োজনে ঘুড়ি উৎসবটি মিলন মেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন, কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, অফিসার ইনচার্জ মো. আলী মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন, মুহিবুল ইসলাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান কমরেড আব্দুল লতিফ, লংলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
বটতলার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানে বক্তারা উৎসবের সফলতা কামনা করে বলেন, যান্ত্রিক জীবনে আমরা আমাদের মূল শেঁকড় থেকে সরে যাচ্ছি। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য লালনে ঘুড়ি উৎসব আমাদের একটি অনুপ্রেরণা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অপসংস্কৃতি রুখে দিতে ঘুড়ি উৎসব আমাদের সম্প্রীতির বার্তা দেয়। পরিবারের সদস্য, শিশু কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি সুস্থ বিনোদনের খোড়াক মিটাবে। সমাজ থেকে সকল অপসংস্কৃতি দূর করতে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
আয়োজক সংগঠন প্লাটুন টুয়েলভের আইনুল নাহিদ, সাফি আহমদ অভি ও মেহেদী হাসান সাদি জানান, প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে হাজারো তরুণ-তরুণীর বাহারি পিঠা ও ঘুড়ি দিয়ে পালটিলার মাঠে নানান স্টল দিয়েছেন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবটি একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। সকালে ঘুড়ি উড়ানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসব রাতে বাউল গান ও ফানুস উড়ানোর মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
ট্যাগস :