নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ কালে প্রীতির বাবা-মা জানান, ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারার মাধ্যমে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজে যায় ছোট মেয়ে প্রীতি। শুরু থেকেই পরিবারের লোকজনের সাথে প্রীতির যোগাযোগ তেমন করতে দেওয়া হতো না। ৬ ফেব্রুয়ারী যে দিন প্রীতি মারা যায় সেদিন মিন্টু দেশোয়ারা উনাদেরকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার কথা বলে, শ্রীমঙ্গল গেলে পরে মিন্টু দেশোয়ারা উনাদের মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ বলে জানান এবং এখনই উনার সাথে ঢাকায় যাতে হবে বলেন। সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার সাথে উনারা ঢাকায় গেলে সরাসরি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানতে পারেন মেয়েটি নাকি নবম তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। এরপর প্রীতির লাশ নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। তারা কোনো মামলা হলো কি না সেটা জানেন না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং মেয়ে প্রীতি হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ প্রীতির পরিবারের সঙ্গে আলাপকালে বলেন সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার উচিত ছিলো মেয়েটাকে স্কুলে পাঠানোর সামগ্রিক আয়োজন করা। তিনি তা না করে শিশুটি কাজে ঢুকিয়ে দিলেন যা প্রচলিত আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। একই অপরাধে মিন্টু দেশোয়ারাও অপরাধী এবং তারও বিচার হওয়া দরকার। ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় এর আগেও একটা শিশু গৃহশ্রমিক ফেরদৌসী নবম তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আহত হয়। মেয়েটির মা মামলা করলেও সে বিচার আজও পান নি। আগের অপকর্মের বিচার হলে এমন নৃশংস ভাবে মেয়েটাকে মেরে ফেলতে পারতো না। এটা প্রকারান্তরে মৃত্যু নয় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড। তার যথাযথ বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সবসময় সোচ্চার আছে এবং একই সাথে চা জনগোষ্ঠীর সকল প্রকার ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন পাশে থাকবে।