ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ র‍্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • / ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমন ও আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার।

 

২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর দিনটিকে রেইজিং ডে হিসেবে পালন করে আসছে বাহিনীটি। তবে রমজানের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এগিয়ে আনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

 

প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু বাহিনীটি। বর্তমানে বাহিনীটির মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র‌্যাব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে র‌্যাবের জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা।

 

বর্তমানে সারা দেশে এই এলিট ফোর্সটির ব্যাটেলিয়ন সংখ্যা ১৫টি। যেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।প্রতিবছর সাহসিকতা ও সেবা দুই ক্যাটাগরিতে র‌্যাব কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনে র‌্যাব মেমোরিয়াল ডেতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

 

এদিন র‌্যাবে কর্মরত শহিদদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে নিহতদের পরিবারের সদস্য অংশ নেন।র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা বন্ধুর মতো সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এই দেশকে জঙ্গিমুক্ত করা; সেই সঙ্গে দেশ থেকে মাদক, অস্ত্রকারবারি ও সন্ত্রাস মুক্ত করা।

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সচেষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বেশ কিছু ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে। যার মধ্যে একটি দস্যুমুক্ত সুন্দরবন। দেড় যুগ পেরিয়ে দৃপ্ত পদক্ষেপে সাহসের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞায় আপনাদের দোয়া এবং শুভকামনা আমাদের একান্ত কাম্য।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ র‍্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

আপডেট সময় ১২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমন ও আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার।

 

২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর দিনটিকে রেইজিং ডে হিসেবে পালন করে আসছে বাহিনীটি। তবে রমজানের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এগিয়ে আনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

 

প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু বাহিনীটি। বর্তমানে বাহিনীটির মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।প্রতিষ্ঠার পর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও স্ব স্ব এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র‌্যাব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে র‌্যাবের জনবল ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা।

 

বর্তমানে সারা দেশে এই এলিট ফোর্সটির ব্যাটেলিয়ন সংখ্যা ১৫টি। যেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।প্রতিবছর সাহসিকতা ও সেবা দুই ক্যাটাগরিতে র‌্যাব কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনে র‌্যাব মেমোরিয়াল ডেতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

 

এদিন র‌্যাবে কর্মরত শহিদদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে নিহতদের পরিবারের সদস্য অংশ নেন।র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা বন্ধুর মতো সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এই দেশকে জঙ্গিমুক্ত করা; সেই সঙ্গে দেশ থেকে মাদক, অস্ত্রকারবারি ও সন্ত্রাস মুক্ত করা।

 

 

তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সচেষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বেশ কিছু ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে। যার মধ্যে একটি দস্যুমুক্ত সুন্দরবন। দেড় যুগ পেরিয়ে দৃপ্ত পদক্ষেপে সাহসের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞায় আপনাদের দোয়া এবং শুভকামনা আমাদের একান্ত কাম্য।